কলাম

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৪

‘বাজারে নীল আপেল ওঠে বৃষ্টি ধরার পরে,/ সন্দেহ তার মিনার খোলে, সুযোগ নিজের ঝুলি/ হারানো মুখ কেউ আঁকে ঠিক গোয়েন্দা দফতরে/ডাইরি নিজের মধ্যে লুকোয় অচেনা অঙ্গুলি।/ ছুটছ তুমি। থামবে না। মন নির্দেশিকা শোনায়।/ বন্দি নজর এড়িয়ে ফের দেখতে পাব কবে?’ নতুন কবিতাগুচ্ছ।

শুভা মুদ্গল (Shubha Mudgal)

শুভারম্ভ: পর্ব ৬

এর পরের ছ’ঘণ্টা ধরে নির্মলার প্রত্যেকটি প্রচেষ্টাই হয়ে উঠল প্রহসন। যতবার এক পায়ের উপর ভর দিয়ে নানা মুদ্রা দেখানোর চেষ্টা করলেন, সারা শরীর থরথর করে কেঁপে উঠল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে

অনুপম রায়

ম্যাকি: পর্ব ৪

মানুষের মেমরিকার্ডের সঙ্গে আরও কিছু জড়িয়ে আছে, যা আমরা এখনও ঠিক ধরতে পারি না। সময় লাগছে বুঝতে। কী দিয়ে মাখিয়ে দেয় স্মৃতিগুলোকে? কম্পিউটার অনেক বেশি সত্ই, মানুষের চেয়ে

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ৮

‘একটা জানোয়ার, যে শুরু করেছিল অন্য সব্বার মতো স্রেফ খাদ্য অন্বেষণে দৈনিক হাওয়া-শোঁকাশুঁকি দিয়ে, সে গ্রহতারকার পাশ দিয়ে শাঁ করে বেরিয়ে যায়, আবার ঝামেলা হলে মহাকাশযানের ধারে পা রেখে মেরামত অবধি করে! এ প্রায় সুপার-একলব্যের মতো মার্কশিট।’ মানুষের বিবর্তন।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ৭

বোর্ড পরীক্ষার্থীরা একটি দীর্ঘ সময় ধরে নানা শিক্ষক-প্রতিষ্ঠান-শিক্ষাদানের ছোঁয়া পেয়েছে। স্কুল-জীবনের শেষের দিকে এই বদল একটি শূন্যতা তৈরি করে দিল ওদের মধ্যে। ফিনিশিং লাইনই থাকল না।

অনুষা বিশ্বনাথন (Anusha Vishwanathan)

বিন্দাসিনী: পর্ব ৭

এই দেশে বোর্ড-পরীক্ষার ফলই পরবর্তীর জীবন আর চাকরি নির্ধারক অথচ এ বছরের পরীক্ষার্থীরা এক নিরালম্ব অবস্থায়। তাদের ১২ বছরের তপস্যায় নির্দিষ্ট ইতি পড়ল না। পরীক্ষা বাতিল মানে ভবিষ্যৎ বাতিল?

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ: পর্ব ৩

‘ভোরবেলা সাত তলায় যে-মেয়েটা এক্সারসাইজ করে, তার শুধুমাত্র হাতদুটো চোখে পড়ে। আমার একেবারে উল্টোদিকের জানলায় যারা থাকে, তাদেরই একমাত্র চিনি। ও-বাড়ির একজন মহিলা মাঝে মাঝেই জানলায় এসে এদিক-ওদিক কী সব খোঁজেন। অন্য ফ্ল্যাটগুলোয় যারা থাকে, চিনি না।’ প্রতিবেশীর গল্প।

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ৪

‘ছুটির দিনগুলোতেই খেলা হত বেশি, মনে আছে। স্কুল থাকলে পড়ি কি মরি করে ফিরে বাড়িতে ব্যাগটা নামিয়েই মাঠে, আর না-থাকলে সাড়ে তিনটে বেজেছে কি বাজেনি, পাড়ায় ক্রিকেট বাহিনীর টহল শুরু। একে-তাকে বাড়ি থেকে ডেকে ডেকে বার করা, তারপর মাঠে হাজির।’ ছোটবেলার ক্রিকেট।

জয়ন্ত সেনগুপ্ত

হেঁশেলের হিস্‌সা: পর্ব ৫

‘…ভারতীয় খাওয়াদাওয়াকে যদি মহাকাব্যের সঙ্গে তুলনা করা যায়, তবে বিরিয়ানিই তার অবিসংবাদিত নায়ক, আদতে মুসলিম রান্না হলেও সে-ই আমাদের ‘ন্যাশনাল ডিশ’, সে আজ মুঘলসরাই ধাপ্পা দিয়ে নিজেকে ‘দীনদয়াল উপাধ্যায়’ বলে চালানোর যতই চেষ্টা করুক না কেন।’ বাঙালির পাতে মুঘল খানার ঋণ।

অনুষা বিশ্বনাথন (Anusha Vishwanathan)

বিন্দাসিনী: পর্ব ৬

এই যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী আর কিছু লড়াই যদি হেরেও যাই, তবুও সবারএই বিশ্বাস দরকার যে, এই অতিমারীর বিরুদ্ধে আমরা ভিতরের যুদ্ধ যেন চালিয়ে যেতে পারি। ফের কোভিডের হানা, আতঙ্কের দীর্ঘস্থায়ী সময়

সুদেষ্ণা রায়

ব্যাকস্টেজ: পর্ব ৪

‘মাঝেমধ্যে রশীদও এক-দু’লাইন বলতে চেষ্টা করেন, কিন্তু শক্তিদা বলে ওঠেন, ‘অ্যাই অর্বাচীন, চুপ! আমার কবিতা আমার থেকে ভাল তুই আবৃত্তি করবি? হবে না! পারবি না!’ আমি তখন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনছি, দেখছি, সবটা নিজের মধ্যে জমিয়ে রাখছি।’ শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের গল্প।

শুভা মুদ্গল (Shubha Mudgal)

শুভারম্ভ: পর্ব ৫

‘গোড়ালিতে ঘুংরুর নিচে ওই একই প্যাটার্নের চওড়া নুপূর, এবং হাতে ও পায়ে জটিল নকশায় আলতার চিহ্ন। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপে, কোমরবন্ধ-নুপূর-ঘুংরু-বালা-চুড়ি সব একে অপরের সঙ্গে লেগে ঝনাৎ-ঝনাৎ আওয়াজ তুলতে লাগল, যেন ব্যান্ডপার্টি!’ উদ্ভট নাচ।