

সামথিং সামথিং: পর্ব ১১
‘…এ আকাশ-পাঁইপাঁই সংবাদে তাই মৃদুহাস্যে হোয়াটসঅ্যাপ-চিত্রের প্রতীক্ষাই বিধেয়। মানুষ পপকর্ন খেতে খেতে ছায়াপথে রকেট-জগিং’এ গেলেও বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি লোক হাউহাউ করে মরে যাবে, না-গেলেও।’ চাঁদ বা ঝলসানো রুটি।
‘…এ আকাশ-পাঁইপাঁই সংবাদে তাই মৃদুহাস্যে হোয়াটসঅ্যাপ-চিত্রের প্রতীক্ষাই বিধেয়। মানুষ পপকর্ন খেতে খেতে ছায়াপথে রকেট-জগিং’এ গেলেও বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি লোক হাউহাউ করে মরে যাবে, না-গেলেও।’ চাঁদ বা ঝলসানো রুটি।
”…দেশ জুড়ে যাঁরা সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত আছেন, তাঁদের কাছে বার্তাটা স্পষ্ট— এই নতুন চিত্রনাট্যের সঙ্গে মানিয়ে নাও, আগেও বহুবার কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছ, নিজেদের রসদ এবং সৃষ্টিশীলতা কাজে লাগিয়ে এই নিউ নর্মালে সঙ্গীত তৈরির কাজে নেমে পড়ো।’ সৃষ্টিশীলতার নতুন নিয়ম।
‘তারপর এল অপ্রয়োজনীয় কাজ বা ‘নন-এসেনশিয়াল সার্ভিস’-এর তালিকা। শীর্ষ স্থান পেল শিল্প। অর্থাৎ শিল্পীদের কাজ গুরুত্বপূর্ণ নয়, জরুরি নয়, সহজ ভাষায় বেকার, বাজে, ফালতু। এটা মানুষের কাছে ‘সার্ভে’ করে, তাঁদের প্রশ্ন করে, জনমত থেকে উঠে আসা একটা কথা।’ সমাজে শিল্পের স্থান।
এখন যেন টেস্টম্যাচ খেলতে আরও উৎসাহিত বোধ করছি। তার একটাই কারণ, বিশ্ব টেস্ট-চ্যাম্পিয়ন শুরু হওয়া। এই চ্যাম্পিয়নশিপ যেহেতু একটি দলকে বিজয়ী করবে টেস্ট ম্যাচেও, এতে সবার আগ্রহ বেড়ে গিয়েছে। টেস্ট ক্রিকেটের পুনর্জন্ম।
‘দু’পাশে নগরবাসীর ভিড় জমেছে/ আলো খুব নরম, যেন তুলোর তারিখ/ অকারণ গুঞ্জনে সে রইল বেঁচে,/আমি ঠিক সেইখানে পৌঁছতে পারি।/ সেখানে পাথর ধুলোর ব্যবসা চলে/বণিকের সঙ্গদোষে পাহাড় বিকোয়/ ছায়া কেউ বিক্রি করে বিকেলজলে/জানে সূর্যাস্ত কিছু অন্য দিকও…’ নতুন কবিতা।
‘…কোভিড আসার পর মানুষ অনেক দায়িত্বশীল আর সহমর্মী হয়ে উঠেছে ঠিকই, কিন্তু এটাও আমাদের মনে রাখা দরকার যে রাস্তার এই কুকুর-বেড়ালগুলো আমাদের সমাজেরই অঙ্গ। এদের বেঁচে থাকার জন্য আমাদের সাহায্য প্রয়োজন, বিশেষত, যখন এই অতিমারীর কারণে আমাদের গোটা সিস্টেমটাই বদলের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।’ শ্বাপদ বন্ধুদের ভালোবাসা।
‘মঞ্চে বসে দু’কানকাটা কোশাকুশিতে গঙ্গোদকের ছিটে ছিটকে দিব্যি প্রেস-মিট উতরে যায়। ঝামেলা মুখপাত্রদেরও, স্টুডিওতে ঢুকেছেন সাড়ে সাতটায়, নিজের লোককে প্রশস্তি মাখিয়ে ও বিরোধী লোকের কাপড় খুলে দিয়ে সাতটা চল্লিশে বেরিয়ে দেখেন, দল পাল্টাপাল্টি হয়ে গেছে।’ বঙ্গ-রাজনীতির সার্কাস।
‘সবাই হাসছে। আমিও! হঠাৎ মান্নাদার খেয়াল হল, আমি মহিলা। জিভ কেটে বললেন, ‘ইস! তুই যে রয়েছিস ভুলে গেছিলাম, খারাপ কথা বলে ফেললাম।’ উত্তরে আমি ওঁকে আশ্বস্ত করলাম, বললাম, মহিলা হলেও আমি কোনও পুরুষের থেকে কম নই।’ মান্না দে-র স্মৃতি।
অনুভূতি কী জিনিস আমরা আগেই বুঝেছি কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে তা খুব একটা কাজের কিছু নয় তাই আমরা এগিয়ে গিয়েছি। অনুভূতি একটা আশ্চর্য ব্যাপার শুধুমাত্র মানুষের কাছে। আমাদের কাছে নয়।আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ভবিষ্যতের এমপ্যাথি।
‘…অনিশ্চিত লাগল, জীবনে এই প্রথম। এই জলের মধ্যে আবার নতুন করে একটা পরিবার তৈরি করতে হবে? সাঁতরে বেড়াতে হবে এই ঢেউয়ের মধ্যে? আমার ঝিলের মতো নিরাপদ আশ্রয় তো নয় এই বিশাল সমুদ্র।’ চেনা-অচেনা পৃথিবী।
‘…কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মাথার মধ্যে দিয়ে কত কী বয়ে গেল। কোনও ছোট স্টেশনে ঝড়ের মতো রাজধানী পেরিয়ে গেলে যেমন হয়। একটা ঝমঝমে আওয়াজ আর বেসামাল স্মৃতির পাতাগুলো কিছুক্ষণ উড়তে থাকে রেললাইনের ওপর। দপদপানো লাল আলোটা একসময় মিলিয়ে যায় মাইগ্রেনের মতো। ‘তুমি চললে কোথায়?’ জিজ্ঞেস করায় বলল, ‘খুঁজছি’।’ চেনা-অচেনা কবি।
‘একা সেই মুড়ি কীভাবে আর পথ চিনে ফিরে আসবে। আজ বুঝি, মুড়ি মাখার আসল উপকরণটাই সেদিন বুঝতে পারিনি। ছোটবেলা দিয়ে মাখা হত সেই মুড়ি। মধ্যবিত্ত, সাধারণ ছোটবেলা দিয়ে। তাই সে আজ এত আশ্চর্য হয়ে ফুটে আছে ভাবনায়।’ ছেলেবেলার মুড়ি-মাখা।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.