কলাম

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৭

‘আমার স্থবির মন হয়েছে আরেকটু স্থানীয়,/ এই বয়সে স্থৈর্য মানায়, বলেছে প্রত্যেকে।/ কিন্তু যখন শিরা অবশ, পিথাগোরাস খুলে/ কোন রেখা কোন রাস্তায় যায়, মিলিয়ে নিতে পারি।/ ঠোঁট কি তোমার ফারাক বোঝে, ডানায় ও মাস্তুলে?/ তোমার মধ্যে একটি পাখি অপহরণকারী।’ নতুন কবিতা।

শুভা মুদ্গল (Shubha Mudgal)

শুভারম্ভ: পর্ব ৮

‘আমি যতক্ষণ তালিমে ব্যস্ত থাকতাম, তখন বিদ্যাতাই শুধু আমার ছেলে দেখাশোনার দায়িত্বই নিলেন না, আদর করে তাকে প্রচুর জিনিসপত্র কিনে দিলেন। তাঁর এমন করুণা লাভ করেছে, এমন শিষ্য আমিই একা ছিলাম না। পুনায় যে ছাত্রছাত্রীরা শিখতে আসতেন, তাঁদের জন্য বিদ্যাতাইয়ের ছিল অবারিত দ্বার।’ গুরুপত্নীর স্নেহ-উদারতা।

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ: পর্ব ৬

‘এদেশে যা দেখছি, যদিও এ দেখার কোনও সারবত্তা নেই, সবার এক বাড়ি, গাড়ি, চেহারা। সবাই সায়েব। অনেকেই মেম। অনেককে দেখে সন্দেহ হয়, এরা বোধহয় এক ধরনের কালো। কত মিলিয়ন শেডস অফ গ্রে, ব্রাউন, হলুদ, সবুজ, ওরাং ওটাং ভরা ব্রিটিশ দুনিয়া।’ প্রবাসে দৈবের বশে।

শ্রীজাত

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ৭

অন্ধকার বেশির ভাগ সময়ই চেনা রূপে আসে। অবশ্য অচেনা রূপেও জীবনে হানা দেয়। চেনা অন্ধকারে তবু হাতড়ানো যায় জীবন, মোমবাতি বা দেশলাই বাক্স কিন্তু অচেনা অন্ধকারে অজানা ভয়ের সঙ্গে যুঝে যাওয়া ছাড়া বিশেষ কিছু করার থাকে না। এ বারের আড্ডাঘরে চতুর্দশপদী অন্ধকার লেখাগুচ্ছের আনাগোনা। শিরোনামহীন অন্ধকারের চর্চা।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ১৪

‘…গল্পগুলির মূল থিমটা হল, মেয়েদের কাছ থেকে সুবিধে নিংড়ে নাও এবং না পেলে তাদের মারো। মারো। হাড় ভাঙো, পোড়াও, পেটের মাংস কাটো। কারণ মেয়েরা নিচু। বোধহীন। পুরুষের অধীন।’ অ্যানুয়াল পুজো, ডেইলি নারী-নির্যাতন।

অনুপম রায়

ম্যাকি: পর্ব ৭

‘…শুধু ভয় পেয়ে পেয়ে বহু মানুষ সারা জীবন কাটিয়ে দেয়। একটা মানুষের চারিত্রিক সব রকম দোষগুণও দেখা যায় এই ভয়ের দ্বারা নির্ধারিত হয়। হয়তো শুধু ভয়ের চোটেই আপনি সারা জীবন চরিত্রবান হয়ে থেকে গেলেন। আপনার মনের ভেতর হাজার ইচ্ছে কিন্তু শুধুমাত্র সাহসের অভাবে আপনি চৌকাঠ পেরোতে পারলেন ন।।’ মেশিনের চোখে মানুষের ভয়।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ৭

লর্ডসে ইন্ডিয়া অসামান্য খেলে ম্যাচ জিতল, তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়, একইসঙ্গে তারা করল প্রবল অভদ্রতা ও দুর্ব্যবহার, তার জন্য কোনও নিন্দাই যথেষ্ট নয়। অনেকেই অবশ্য এই অভদ্রতাকে তীব্র সমর্থন জানিয়েছেন, আর বলেছেন, এই হচ্ছে দেখার মতো আগ্রাসন। কিন্তু এ হল কথার খেলা। আইকনদের বুঝতে হবে, যে কোনও মূল্যে ম্যাচ জিততেই হবে, এ প্রবণতা অসভ্যতাকে আশকারা দেয়।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৬

‘তোমাকে দেখিয়ে দেব, নিজেকেই দেখব বারবার/ তোমার যা আছে আজ, কাল থেকে আমার। আমার/ জল ক্ষেতে আসবে লাশ, রক্তে ভরে উঠবে এই হ্রদ—/ হে সভ্যতা, মায়াবী বিপদ/ কোথায় দাঁড়িয়ে আছি, বলে দাও, কারা চতুষ্পদ।’ নতুন কবিতা।

অনুপম রায়

ক্যাসেট কথা: পর্ব ৮

স্বপ্ন দেখার সময় চোখের তারার যে দ্রুত ঘোরাফেরা চোখের মধ্যেই, সেই চলন থেকেই ব্যান্ডের নাম। যে ব্যান্ডের গান আমাদের নিয়ে যেতে পারে স্বপ্নের মতো একটা অবস্থায়, সে গান ভরিয়ে রাখতে পারে স্বপ্নে। বেড়ে ওঠা সময়ের স্বপ্নের গান

বিন্দাসিনী: পর্ব ৯

‘…আমার ১৫ বছর বয়স। আমার এবং আমার সহপাঠীদের যৌনশিক্ষা সম্বন্ধে প্রচুর প্রশ্ন আছে। আমাদের স্কুলশিক্ষায় যদিও এটার জন্য কোনও আলাদা পিরিয়ড ঠিক করে দেওয়া নেই, কিন্তু স্কুল থেকে এই বিষয়ে বিশারদদের সঙ্গে বহু আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসবই খুবই সহায়ক, কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থায় এই বিষয়ে কিছু স্থায়ী বন্দোবস্ত করলে খুব ভাল হয়।’ যৌন শিক্ষার গুরুত্ত্ব।

সুদেষ্ণা রায়

ব্যাকস্টেজ: পর্ব ৬

‘রাত একটায় যখন ওঁর ঘরের পার্টি থেকে সবাই যে-যার ঘরে ফিরছি, প্রযোজক ভয়ে-ভয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কাল কি কল-টাইম পিছিয়ে দেওয়া হবে? মিঠুনদা বললেন, ‘কেন? এটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। মজাও আছে, ডিসসিপ্লিনও। কাল ভোর ছ’টাতেই দেখা হবে। আমাদের কোনও ক্লান্তি নেই।’’ মিঠুনদার স্মৃতি।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ১২

বিশেষ করে যৌনতা সংক্রান্ত কোনওরকম মন্তব্য যদি মূলধারার বিশ্বাসের বাইরে হয়, তাহলে বক্তাকে কালিমালিপ্ত করতে কেউ বাদ রাখবে না। আরও মজার ব্যাপার, এই প্রসঙ্গে কথা বলা একরকম পাপ বলেই ঠাওর করা হয়। লিঙ্গ নির্বাচনের স্বাধীনতা।