কলাম

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ: পর্ব ৩

‘ভোরবেলা সাত তলায় যে-মেয়েটা এক্সারসাইজ করে, তার শুধুমাত্র হাতদুটো চোখে পড়ে। আমার একেবারে উল্টোদিকের জানলায় যারা থাকে, তাদেরই একমাত্র চিনি। ও-বাড়ির একজন মহিলা মাঝে মাঝেই জানলায় এসে এদিক-ওদিক কী সব খোঁজেন। অন্য ফ্ল্যাটগুলোয় যারা থাকে, চিনি না।’ প্রতিবেশীর গল্প।

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ৪

‘ছুটির দিনগুলোতেই খেলা হত বেশি, মনে আছে। স্কুল থাকলে পড়ি কি মরি করে ফিরে বাড়িতে ব্যাগটা নামিয়েই মাঠে, আর না-থাকলে সাড়ে তিনটে বেজেছে কি বাজেনি, পাড়ায় ক্রিকেট বাহিনীর টহল শুরু। একে-তাকে বাড়ি থেকে ডেকে ডেকে বার করা, তারপর মাঠে হাজির।’ ছোটবেলার ক্রিকেট।

জয়ন্ত সেনগুপ্ত

হেঁশেলের হিস্‌সা: পর্ব ৫

‘…ভারতীয় খাওয়াদাওয়াকে যদি মহাকাব্যের সঙ্গে তুলনা করা যায়, তবে বিরিয়ানিই তার অবিসংবাদিত নায়ক, আদতে মুসলিম রান্না হলেও সে-ই আমাদের ‘ন্যাশনাল ডিশ’, সে আজ মুঘলসরাই ধাপ্পা দিয়ে নিজেকে ‘দীনদয়াল উপাধ্যায়’ বলে চালানোর যতই চেষ্টা করুক না কেন।’ বাঙালির পাতে মুঘল খানার ঋণ।

অনুষা বিশ্বনাথন (Anusha Vishwanathan)

বিন্দাসিনী: পর্ব ৬

এই যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী আর কিছু লড়াই যদি হেরেও যাই, তবুও সবারএই বিশ্বাস দরকার যে, এই অতিমারীর বিরুদ্ধে আমরা ভিতরের যুদ্ধ যেন চালিয়ে যেতে পারি। ফের কোভিডের হানা, আতঙ্কের দীর্ঘস্থায়ী সময়

সুদেষ্ণা রায়

ব্যাকস্টেজ: পর্ব ৪

‘মাঝেমধ্যে রশীদও এক-দু’লাইন বলতে চেষ্টা করেন, কিন্তু শক্তিদা বলে ওঠেন, ‘অ্যাই অর্বাচীন, চুপ! আমার কবিতা আমার থেকে ভাল তুই আবৃত্তি করবি? হবে না! পারবি না!’ আমি তখন মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনছি, দেখছি, সবটা নিজের মধ্যে জমিয়ে রাখছি।’ শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের গল্প।

শুভা মুদ্গল (Shubha Mudgal)

শুভারম্ভ: পর্ব ৫

‘গোড়ালিতে ঘুংরুর নিচে ওই একই প্যাটার্নের চওড়া নুপূর, এবং হাতে ও পায়ে জটিল নকশায় আলতার চিহ্ন। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপে, কোমরবন্ধ-নুপূর-ঘুংরু-বালা-চুড়ি সব একে অপরের সঙ্গে লেগে ঝনাৎ-ঝনাৎ আওয়াজ তুলতে লাগল, যেন ব্যান্ডপার্টি!’ উদ্ভট নাচ।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ৭

করোনায় মৃত্যু হয়ে জলে ভাসছে এক-একটা লাশ। আর সেসব দেখছে ছানা-মাছ, বাবা-মাছ, মা-মাছ এবং তাদের আত্মীয়স্বজনরা। ছানার আনন্দ, কিন্তু বড়দের ভয়, যদি ওতে বিষ থাকে? সেই সূত্র ধরেই মাছেদের কথালাপ শুরু হয়। উঠে আসে মানুষের দেশ-কাল-সংস্কৃতির নানা ঘটনা।

সাকিব আল হাসান

অলরাউন্ডার: পর্ব ৩

‘গত বছর দর্শকশূন্য মাঠ, এ বছর বায়োবাবলে আটকে থেকে নিজেদের প্রস্তুত করা। খেলা শেষে একা মাইক ধরে ইন্টারভিউ দেওয়া, ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলন। সায়েন্স ফিকশনের চেয়ে কম কী! কে বলতে পারে, এর পর কী নতুন ধরন আসতে চলেছে।’ ক্রিকেটে বদল।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ৬

‘২০২১ সালে দাঁড়িয়ে আবার নিজেদের একটা অচেনা লড়াইয়ে যোগদান করতে হয়েছে। সেই যুদ্ধ আমরাই ডেকে এনেছি হয়তো। তবে যুদ্ধের ময়দানে যাঁদের সামনে থেকে আশ্বাস জাগানোর কথা ছিল, তাঁরা নিভৃতে, নিরাপদে। শুধু নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য আজ এই চিৎকার করে গলা ফেটে যাচ্ছে।’ অচেনা লড়াই।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৩

‘এই গ্রামে যে-পাহাড়, সে কোন উপকথার নাতি/ যে-মেঘ আসে প্রান্তরে, কোন সমীকরণ শোনায়/
সান্ধ্য জমায়েতের মাথায় ঠান্ডা সড়কবাতি/ বাকিটা যাক কোলাহলে এবং আবর্জনায়।/ সরে দাঁড়াও। ঘর ভাঙো। তার জানলা খুলে ওড়াও/বাতাস কেবল ছুড়ো না ওই ক্ষুধার্তদের দিকে…’ নতুন কবিতা।

বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত

এলেবেলে: পর্ব ৩

‘শেষে যখন হাল ছেড়ে দেওয়ার অবস্থা, অরুণবাবু বললেন— ‘একটা লাস্ট ট্রাই নেওয়া যাক, আমাকে একটা টেবিল জোগাড় করে দে।’ টেবিল এল, তাতে চড়ে অরুণবাবুর সে কী নাচ আর গান! সঙ্গে নানা রকম অঙ্গভঙ্গি। লোকাল আর্টিস্টরা হেসে খুন, হাততালির হররা, ওকে টেক।’ অ্যাসিস্ট্যান্টের কথা।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ৬

‘একটা লোক যখন ভাবছে, আমার মৃত্যুর সম্ভাবনা আছে ঠিকই, কিন্তু তা স্বীকার করেই আমায় প্রিয় রাজনীতির দলটির প্রতি সমর্থন জানাতে হবে, বা আমার প্রিয় কবির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর শোকমিছিলে হাঁটতে হবে, তখনই কি সে বিশিষ্ট হয়ে উঠছে না?’ মৃত্যুভয় বনাম মতাদর্শ।