

ক্যাসেট কথা: পর্ব ৮
স্বপ্ন দেখার সময় চোখের তারার যে দ্রুত ঘোরাফেরা চোখের মধ্যেই, সেই চলন থেকেই ব্যান্ডের নাম। যে ব্যান্ডের গান আমাদের নিয়ে যেতে পারে স্বপ্নের মতো একটা অবস্থায়, সে গান ভরিয়ে রাখতে পারে স্বপ্নে। বেড়ে ওঠা সময়ের স্বপ্নের গান
স্বপ্ন দেখার সময় চোখের তারার যে দ্রুত ঘোরাফেরা চোখের মধ্যেই, সেই চলন থেকেই ব্যান্ডের নাম। যে ব্যান্ডের গান আমাদের নিয়ে যেতে পারে স্বপ্নের মতো একটা অবস্থায়, সে গান ভরিয়ে রাখতে পারে স্বপ্নে। বেড়ে ওঠা সময়ের স্বপ্নের গান
‘…আমার ১৫ বছর বয়স। আমার এবং আমার সহপাঠীদের যৌনশিক্ষা সম্বন্ধে প্রচুর প্রশ্ন আছে। আমাদের স্কুলশিক্ষায় যদিও এটার জন্য কোনও আলাদা পিরিয়ড ঠিক করে দেওয়া নেই, কিন্তু স্কুল থেকে এই বিষয়ে বিশারদদের সঙ্গে বহু আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসবই খুবই সহায়ক, কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থায় এই বিষয়ে কিছু স্থায়ী বন্দোবস্ত করলে খুব ভাল হয়।’ যৌন শিক্ষার গুরুত্ত্ব।
‘রাত একটায় যখন ওঁর ঘরের পার্টি থেকে সবাই যে-যার ঘরে ফিরছি, প্রযোজক ভয়ে-ভয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কাল কি কল-টাইম পিছিয়ে দেওয়া হবে? মিঠুনদা বললেন, ‘কেন? এটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। মজাও আছে, ডিসসিপ্লিনও। কাল ভোর ছ’টাতেই দেখা হবে। আমাদের কোনও ক্লান্তি নেই।’’ মিঠুনদার স্মৃতি।
বিশেষ করে যৌনতা সংক্রান্ত কোনওরকম মন্তব্য যদি মূলধারার বিশ্বাসের বাইরে হয়, তাহলে বক্তাকে কালিমালিপ্ত করতে কেউ বাদ রাখবে না। আরও মজার ব্যাপার, এই প্রসঙ্গে কথা বলা একরকম পাপ বলেই ঠাওর করা হয়। লিঙ্গ নির্বাচনের স্বাধীনতা।
‘যদু: ইন্ডিয়ার তুলনাটা বাড়াবাড়ি না? এখানে তো মেয়েরা মডেলিং করছে, মামলা করছে, ডিভোর্স করছে…’
‘নীতা: আমি পারছি, দেশের অনেক জায়গাতেই অনেকে পারে না। আর, মেয়েদের গুলি করে মারছে না বটে, কিন্তু পণ না দিলে পুড়িয়ে মারছে। মেয়েরা জন্মানোমাত্র জ্যান্ত পুঁতছে…’
সব দেশেই নাকি তালিবান?
আমাদের পাড়াতে অনেক বাজে ফ্ল্যাটবাড়ি হয়েছে। চারতলা হলেও সেখানে লিফ্ট বসানো আছে কায়দা করে। ফলপট্টির কাঠের প্যাকিং বাক্সের চেয়েও ছোট। জেলের মতো গরাদ লাগানো দরজা তার। টোল-বিশু বলেছিল, খরচ কমাতে এইসব বাড়ির তলাটা নাকি তৈরি হয় না। একগুচ্ছ জীবন।
‘…মানুষে মানুষে সব সম্পর্কই প্রায় সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় ইমেজ রক্ষার পর্যায় চলে গেছে। আমাদের মাধ্যমে যাই পোস্ট করা হয়, আমরা জানি তার ৯০% মিথ্যে। খালি পাবলিক রিলেশন বজায় রাখা। ইমেজ, ইমেজ আর ইমেজ। ভেতরে ভেতরে পাক্কা হারামি কিন্তু আমার ইমেজ বলছে আমি উচ্চ মার্গের সাধু পুরুষ।’ মানুষের মিথ্যের দুনিয়া।
মানুষই তো একমাত্র প্রাণী যে নিজের কাছে অতিমানুষতা দাবি করে ও আদায় করে ছাড়ে। সেই উদাহরণের বদলে আচমকা নিজের সীমাবদ্ধতা কবুলের উদাহরণকে উচ্চ-বেদীতে প্রতিষ্ঠা করছি কেন? মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব স্বীকার, আর মানসিক স্বাস্থ্য বেঠিক থাকায় ওয়াক-ওভার দেওয়াকে মাথায় তুলে নেত্য করা তো এক ব্যাপার নয়। টিম-স্পিরিট না নিজের অসুখ, কোনটা আগে?
আনলক-পর্বে যখন কোনও রকম চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা নেই, বা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, বারবার প্রেক্ষাগৃহ সেখানে শেষ স্থানে কেন? যদি ভাইরাস-সংক্রমণের চিন্তা থাকে, তাহলে রাজনৈতিক রোড-শো,
বা মিছিলে নিয়মের উল্লঙ্ঘন কেন?
আনলক-পর্বে উপেক্ষিত সিনেমা হল
পাড়ায় মাস্কহীন জমায়েত দেখলে বলি বে-আক্কেল, ইউরো কাপের মাস্কহীন জমায়েত দেখে মুগ্ধ। মা-মাসি সিরিয়ালে মজে থাকলে বলি গাঁইয়া, নিজেরা ওয়েব-সিরিজ (যা সিরিয়ালই) দেখে ভাবি, স্মার্ট। প্রেম-পাগলিনি রাধাকে পুজো করি, কিন্তু বাঙালি রাজনীতিক প্রেমের জন্য় সর্বস্ব ছাড়লে মিম বানাই।
‘…শেষমেশ কিন্তু দেখা যেত, সকলের রথ-সাজানোই হরেগড়ে প্রায় একরকম হয়েছে। আর হবে না-ই বা কেন! সকলেই মধ্যবিত্ত, সকলেই পাড়ার একই দোকান থেকে একটু কাগজ আর টুকিটাকি কিনেছে, আর রথও সকলের তিনফুটিয়া। এর মধ্যে কত আর আলাদা হবে কেউ?’ রথের কথা।
‘…মার্কিন খাদ্যাভ্যাসের ইতিহাসে কৃষ্ণাঙ্গদের এই অবদানের কাহিনির মধ্যে যে লুকিয়ে আছে দাসপ্রথার এক বিভীষিকাময় ইতিহাস, বহির্বিশ্বের কথা ছেড়েই দিচ্ছি, মার্কিনিদের অনেকেই সে-কথা জানেন না। এই রক্তাক্ত ইতিহাসের এক ব্যঞ্জনাময় অগ্রসৈনিক হল ‘ওকরা’।’ অলোকসামান্য ব্যঞ্জনে ঢ্যাঁড়স।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.