শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১২
‘ভাসছে পথে, আসছে আর যাচ্ছে কত সস্তায়।/ যেন পথের নীচু হোটেল, ভাতে কাঁকর তিনটে…/ তোমারও মন নিথর হল সকাল সাড়ে দশটায়/ আমারও গেল বাকি জীবন ফেরার পথ চিনতে।’ নতুন কবিতা।
‘ভাসছে পথে, আসছে আর যাচ্ছে কত সস্তায়।/ যেন পথের নীচু হোটেল, ভাতে কাঁকর তিনটে…/ তোমারও মন নিথর হল সকাল সাড়ে দশটায়/ আমারও গেল বাকি জীবন ফেরার পথ চিনতে।’ নতুন কবিতা।
‘এই আর এক অদ্ভুত জিনিস তোদের। একটুতেই হাঁপিয়ে উঠিস তোরা। আগেরদিনই লিখলাম তোদের ধৈর্য নেই। একটানা কোনও কাজ করতে পারিস না। মন তোদের চঞ্চল। শুধু মন? তোদের শরীরও দুর্বল! আমার পারফর্ম্যান্স নিয়ে খিল্লি করছিস? নিজেদের দিকে তাকিয়ে দেখেছিস? ছুটতে গিয়ে ক্লান্ত, সারাদিন অফিস করে ক্লান্ত, কিছুক্ষণ টাইপ করে ক্লান্ত, টিভি দেখে ক্লান্ত, রান্না করে ক্লান্ত, সেক্স করে ক্লান্ত— কী দিয়ে বানিয়েছে মাইরি তোদের?’
শুধু কান্ট্রি মিউজিক নয়, প্রকৃত অ্যামেরিকানা যাকে বলা যায়, সেই গানের কিংবদন্তী জন ডেনভার।
গায়ক-গীতিকার ডেনভারের গান বাঙালি ঘরে-ঘরে গায়। ‘টেক মি হোম, কান্ট্রি রোড্স’, ‘অ্যানিজ সং’, ‘লিভিং অন আ জেটপ্লেন– এই সব গানের সুর-কথা আজও বাঙালিমানসে উজ্জ্বল। কী ভাবে ডেনভার হয়ে উঠলেন বাঙালির প্রিয় আমেরিকান গায়ক?
‘ঋতু কোনও প্রসাধন করতে দিত না ওর অভিনেত্রীদের। কিরণ নিয়ে এসেছিল ম্যাক-এর কম্প্যাক্ট। সকালে এসেই লুকিয়ে লাগিয়ে নিত প্রলেপ। ঋতুর চোখেও ধরা পড়েনি সেই আস্তরণ। অবশেষে বারুইপুরে রূপা গাঙ্গুলি ধরে ফেলে কিরণের কীর্তি।’ ‘বাড়িওয়ালি’র শুটিং-অভিজ্ঞতা।
‘কোটি কোটি শুয়োরকে মেরে ফেলা হচ্ছে বেকন সসেজ হ্যামের লোভে, আর মাত্তর হাজারখানেক শুয়োরকে মারা হচ্ছে তাদের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ তুলে মানুষের দেহে বসিয়ে বাঁচাবার চেষ্টায়। শুয়োরকে যদি হৃৎপিণ্ডের জন্য মারা না হত, মাংসপিণ্ডের জন্য তো হতই, আজ নয় কাল।’ শুয়োর হত্যা ও কয়েকটা প্রশ্ন।
‘তাঁর আর একটি অলৌকিক ক্ষমতা ছিল— তিনি বোধহয় একই সময়ে সব জায়গায় উপস্থিত থাকতে পারতেন! এই বিশেষ ক্ষমতাটি তিনি প্রকাশ করে ফেলেন অনিচ্ছাকৃত ভাবেই। তিনি একই দিনে, একই সময়ে, এক শহরের বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠিত দুটি বা তার বেশি গানের আসরের রিভিউ করে বসলেন!’ সমালোচনায় কেলেঙ্কারি।
‘শেষমেশ সন্ধের আগে-আগে একটা মোটা সোয়েটার চাপিয়ে বাবার হাত ধরে বেরিয়ে পড়া। এই যে বেরিয়ে পড়লাম একবার, এখান থেকেই কিন্তু সার্কাস শুরু। অপেক্ষা করতাম, যদি বাবার সঙ্গে দেখে পাড়ায় কেউ জিগ্যেস করে, কোথায় যাচ্ছি। তাহলে সামান্য হেসে, ‘এই তো, সার্কাস দেখতে’ বলবার গৌরবটা পেয়ে যাওয়া যাবে।’ সার্কাস দেখার আনন্দ।
দামি গাড়ি রোলস রয়েস-এর রেকর্ড বিক্রি হল গত বছর। সারা পৃথিবী যখন আর্তনাদ করছে আর খরচা কমাচ্ছে, তখন বড়লোকরা কোটি কোটি টাকা খরচা করে গাড়ি কিনছেন কেন? এতে কি ধনী ও দরিদ্রের মূল মনোভঙ্গির তফাত বোঝা যায়?
খেয়াল করলে দেখা যাবে বৃষ্টির কবিতা সংখ্যায় বেশি। কেন? কারণ বৃষ্টির কাছে গচ্ছিত থাকে অতীত, স্মৃতি, অনেক রকম শহর, অনেক রকম বেদনা আরও অজস্র অনুভূতি। তা-ই কবিতা লিখতেও বোধ হয় বার বার বৃষ্টির কাছে ফিরে যেতে হয়। কবিতার আড্ডাঘর জুড়ে অবিশ্রান্ত বর্ষণ।
‘ আমাদের থিয়েটার কোনও মারাত্মক মার্কেট, বড় অঙ্কের আয়, দশতলা বাড়ি, চাড্ডি গাড়ি প্রভৃতির শর্ত দেয় না। সে একটু প্রান্তিক। এবং সেই প্রান্তিকতাই হল তার অন্যতম শক্তি। যেখানে এইসব হিসেব-নিকেশের বাইরে আছে সঠিকভাবে শিল্প চর্চা করার চাহিদা ও শিক্ষা। তাই কর্মী আর দর্শকের সমাগমের অভাব নেই।’ অতিমারী পেরিয়ে বাংলা থিয়েটার।
‘‘বাংলার খাবার’ নামে একটি অসামান্য নাতিদীর্ঘ গ্রন্থের প্রণেতা প্রণব রায়ের মতে বাগবাজারের নবীনচন্দ্র দাশের হাতে ১৮৬৮ সালে স্পঞ্জ রসগোল্লা সৃষ্টির বছর দুয়েক আগেই বেনিয়াটোলার সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটের দীনু ময়রার পূর্বপুরুষ ব্রজ ময়রা হাইকোর্টের কাছাকাছি এক দোকানে রসগোল্লা আবিষ্কার করেন।’ রসগোল্লার নানা কথা।
এ-গ্রহের অতি নির্বোধ লোকও মালুম পেয়েছে, কোভিড ধাঁ করে উবে যাবে না, একে সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে, একটু হাঁচো-কাশো, তারপর সাতদিন ঘরে কাটিয়ে ফের নাচো-হাসো, পরবর্তী সংক্রমণে ধুত্তোর বলে পুনরায় ঘরে ঢুকে পড়ো— এই প্যাটার্নই আগামীর থিম।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.