কলাম

সুদেষ্ণা রায়

ব্যাকস্টেজ: পর্ব ৯

যে মানুষটি ‘গল্প হলেও সত্যি’র মতো জনপ্রিয় ছবি ভাবতে পারেন, তিনিই আবার নাটক থেকে নিয়ে ‘বাঞ্ছারামের বাগান’ ছবি করে তাক লাগিয়ে দেন। আমি যখন দেখা করি ওঁর সঙ্গে, সেই সময় উনি ‘বৈদূর্য রহস্য’ ছবিটি নিয়ে ভাবছেন। বাঙালির আত্মীয় তপন সিনহা।

শুভা মুদ্গল (Shubha Mudgal)

শুভারম্ভ: পর্ব ১১

অনেকরকমের পৃষ্ঠপোষক আছেন, শিল্পীর সহায়তা বিষয়ে তাঁদেরও ধারণাও অনেকরকম। এবং সেই পৃষ্ঠপোষকরা তাঁদের মতো করে সৃষ্টিশীল হয়ে উঠতে পারেন বা হয়ে ওঠার চেষ্টা করতে পারেন, আর চূড়ান্ত ব্যর্থও হতে পারেন। মার্গসংগীতে পৃষ্ঠপোষকতার অবদান।

অনুপম রায়

ক্যাসেট কথা: পর্ব ১১

গায়িকা-গীতিকার বিরল শিল্পী, বিরল শিল্পী মৌসুমী ভৌমিক। কথায়-গানে, মননে, রাজনৈতিক সচেতনতায় মৌসুমী ভৌমিকের সৃষ্টি বাংলা গানের জগতে অনন্য, বহু ধারণা ভেঙে নতুন স্বপ্ন গড়ে তোলার অন্যতম উদাহরণ। যারা এখনও স্বপ্ন দেখি, এখনও গল্প লিখি, তাদের জন্য, নাগরিক অন্বেষণে, মৌসুমী ভৌমিকের গান।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ১৯

‘ফ্রিডা বা জেডি, সবাই প্রণম্য স্মরণীয় ও ঝুঁকে পড়ে অনুধাবনীয়, কিন্তু ভারতের একটা জঙ্গলে রাতদুপুরে সন্তানের কঙ্কালের পাশে এলিয়ে পড়ে থাকা, পচা-গলা নারীর করোটি এঁদের (ও অন্য আরও বহু চিরজ্যোতির্ময়ের) শিল্পগুলোর দিকে এক নির্ভেজাল খ্যাঁকখ্যাঁক ছুড়ে দেয়, ক্রমাগত।’ শিল্প বনাম জীবন।

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১০

অল্পে যিনি অনন্ত দেখাতে পারেন তিনিই সার্থক কবি। তেমনই একজন বরেণ্য কবি বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়। যাঁর অনায়াস যাতায়াত সাধু-চলিত ভাষায়। একটি চলিত শব্দের পাশে এমন ভাবে একটি সাধু শব্দ বসিয়ে তিনি ভাবের বৃত্ত সম্পূর্ণ করতে পারতেন, তা সত্যিই মুন্সিয়ানার পরিচয় দেয়। অদেখা কবির কবিতার স্বাদ।

উপল সেনগুপ্ত, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ৯

হ্যানসেল ও গ্রেটেল সারাদিন খায় এবং ফোন দ্যাখে। শোধরাতে না পেরে, বাবা তাদের জঙ্গলে রেখে আসে। তারপর একসময় তারা বাড়ি ফেরে বটে, কিন্তু বাবা-মা’র পক্ষে তা খুব ভাল হয় না। আর গানে, বাঙালিকে বলা হয় নস্টালজিয়া নট্ট, পিছমুখো রায়– মানে যারা ষাটের দশকেই এখনও শোয়, সত্তরের দশকেই ঢুলতে থাকে। রোমন্থনই যাদের একমাত্র কাজ।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৯

‘রুটির দোকান থেকে যতদূর খিদের ধারণা/ তোমাকে তো তারও দূরে ছেড়ে দিয়ে এসেছি কবেই।/ এখন বাজারে সন্ধে, কিশোরীর পথগান শোনা…/ প্রার্থনার চেয়ে আর বড় কোনও অপরাধ নেই।’ এই পর্বে রয়েছে এরকমই চার লাইনের নতুন আটটি কবিতা।

জয়ন্ত সেনগুপ্ত

হেঁশেলের হিস্‌সা: পর্ব ৯

‘ব্রিটিশ ভারতে চলমান ট্রেন ও রেল স্টেশন, সর্বত্রই খাবার ও পানীয়ের জোগাড় করতে হত জাতপাত ও ধর্মের ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে। পৃথগন্নের ব্যবস্থা ছিল শুধু হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যেই নয়, নিরামিষাশী আর আমিষভোজী হিন্দুদের মধ্যেও। স্টেশনে ট্রেন থামলেই ‘হিন্দু চা, মুসলিম চা’— হাঁক পেড়ে ছুটতেন বিক্রেতারা।’ রেলযাত্রার খাওয়া-দাওয়া।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ১৪

‘তৈরি হচ্ছে ‘রিলস’ ও অনলাইনে ‘গেমস’। আপনি বাড়িতে বসে সেই খেলা খেলতে পারেন ও তার ভিডিও প্রকাশ করতে পারেন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়। যে কোরিয়ার মানুষের দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির আতঙ্কজনক চিত্র ছিল এই নির্মাণে, সেগুলো এখন মোবাইলে গেম হিসেবে খেলা হচ্ছে।’ সমাজে ওয়েব সিরিজের প্রতিক্রিয়া।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ১৮

আজ ইজরায়েল আর প্যালেস্তাইনের মধ্যে ক্রিকেট খেলা হলে, বা আফগানিস্তান ও আমেরিকার মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচ হলে, অথবা জার্মান বনাম ইহুদি কবাডি টুর্নামেন্ট হলে, তা শুধু স্কোরবোর্ড-সর্বস্ব হয়ে থাকবে? খেলা কেবল খেলা নয় হয়তো।

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ: পর্ব ৮

‘আমি আবার একা হয়ে গেছি। এদিক-ওদিক দেখছি। আবার যদি সেই ভ্যানটা ফিরে আসে? নিষিদ্ধ বই বিক্রির খবর কি চাপা থাকে নাকি? ঝামেলায় জড়ানোর কোনও মানে হয় না। এক-পা দু-পা করে পিছিয়ে চম্পট দেবার তাল করতেই সবাই মিলে দৌড়ে এসে আমাকে ধরে ফেলল।’ আচমকা ঘেরাও।

শ্রীজাত

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ৯

অসহায়তা যখন অক্ষম আক্রোশে ফেটে পড়ে, জন্ম নেয় কবিতা। সর্বনাশের পরেও সাহসের কুঁড়ি ফোটে, জন্ম নেয় কবিতা। বিদীর্ণ মন কুঁকড়ে যখন ছোট্ট হয়ে আসে, জন্ম নেয় কবিতা। সে কবিতায় স্ফূরণ থাকলেও ফূর্তি থাকে না। ধ্বংস কাব্যগ্রন্থে তাই বিদীর্ণতার সমাহার।