কলাম

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ২২

এ-গ্রহের অতি নির্বোধ লোকও মালুম পেয়েছে, কোভিড ধাঁ করে উবে যাবে না, একে সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে, একটু হাঁচো-কাশো, তারপর সাতদিন ঘরে কাটিয়ে ফের নাচো-হাসো, পরবর্তী সংক্রমণে ধুত্তোর বলে পুনরায় ঘরে ঢুকে পড়ো— এই প্যাটার্নই আগামীর থিম।

অনুপম রায়

ম্যাকি: পর্ব ১১

‘কিছুতেই কারও মন নেই। শুধু ইন্টারেস্ট হারিয়ে ফেলে। একটু ফেসবুকটা দেখি, একটু ইনস্টাগ্রামটা চেক করি। ক’টা লাইক পড়ল, ক’টা কমেন্ট। আরে! প্রবলেম কেয়া হ্যায় ভাই? মানুষগুলোর এমন অবস্থা হয়েছে, টানা পাঁচ মিনিট গানও শুনতে পারে না আজকাল।’ ধৈর্যের অভাব।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১১

‘হতে যে নিকট চাই, সে তুমি দূরের থেকে বোঝো।/ গলার রুশতী মালা খুলে রাখো হাটের বন্দরে/ এখানে পণ্যের দাম বাতাসিয়া। বিরহ সহজও।/ কলমগাছের নীচে চিঠি লেখানোর কথা ঝরে…’ নতুন কবিতা।

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ: পর্ব ১০

‘ক্রিসমাসের রাতে ওকে দেখতে পেলাম সেন্ট পলসের পাশের অন্ধকার রাস্তাটায়। দৌড়ে গিয়ে বললাম, ‘এই তো, কোথায় ছিলেন এতদিন?’ লোকটা বলল, ‘জানুয়ারির ফার্স্ট উইকে যাচ্ছি। যাবেন?’ হ্যাঁ বলে দিলাম। পাহাড়ের ব্যাপারটা তখনই শুনলাম। তারপর এই রাতের ট্রেন।’ উদ্ভট অ্যাডভেঞ্চারের পূর্বাভাস।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এ বছর কী কী ঘটবে

‘উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের গাদা-গাদা ব্রণ গজাবে মাস্কে, এবং এই মানবেতিহাসে প্রথম, কান থেকে সুতো ছিঁড়ে একটি জিনিস টান মেরে ফেলে দিলেই গুচ্ছের ব্রণদাগ নিমেষে হাপিস। আবার উল্টোও হবে, ছেলে কলেজ যাওয়ার কালে হাঁকবে, মা! আমার ব্রণভরা মাস্কটা ফেলে দিয়েছ না কি!’ আগামীতে যা ঘটবে।

শ্রীজাত

আলোকিত ছায়াপথের শেষে

‘যিশুখ্রিস্ট সাহেবদের দেবতা, সেই খোদ সাহেবদের দেশেও এমন বাঁধনহারা উদযাপন হয় না বড়দিনে। হ্যাঁ, মানুষজন ঘরবাড়ি সাজায়, নতুন কেনাকাটা করে, বাড়িতে-বাড়িতে ভোজ বসে ঠিকই। কিন্তু এই যে শহরের রাজপথে লাখো মানুষের ভিড় বইয়ে দেবার পাগলামি, সে এমনকী তাঁদের ফর্সা দেশেও নেই।’ বাঙালির যিশুপ্রীতি।

অর্ক দাশ (Arka Das)

কারো পৌষমাস, কারো ক্রিসমাস

‘কলকাতার ক্রিসমাসের খাবারটা একটু গতানুগতিক হয়ে পড়েছে, জনমানসে ক্রিসমাস ব্যাপারটাই এখন যেন ‘নিউ মার্কেট উৎসব’। আমাদের ছেলেবেলায় নাহুমের কেক যে প্রচুর খেয়েছি, তা মনে পড়ে না— যদিও কেক খাওয়া হত প্রচুর।’ নতুন স্বাদের ক্রিসমাস।

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ১০

‘বুকের ভেতরটা হত নরম, একটু তাতিয়ে নিলে তার সুগন্ধী ওম গুঁড়ো-গুঁড়ো হয়ে লেগে থাকত হাতে। সেই কেক কি একখানা কেনা হবে এবার, আমাদের বাড়িতে? বড়দিনের আগে আগে এই প্রশ্ন জামার পকেটে লুকিয়ে আমরা সকলেই পাড়া বেড়াতাম হাসিমুখে।’ বড়দিনের স্মৃতি।

অনুপম রায়

ক্যাসেট কথা: পর্ব ১২

পল সাইমন এবং আর্ট গারফাঙ্কেল— মধ্য-পঞ্চাশের দশক থেকে ১৯৭০ অবধি একের পর এক অসাধারণ গানের সৃষ্টিকর্তা এই যুগলবন্দির রেখে যাওয়া কিছু ক্লাসিক গানের কথা আর সুর নিয়ে আলোচনা।

শ্রীজাত

গন্তব্যে পৌঁছয় গল্পের শুরু

যখন হাত দিলেন ছোটগল্পে, তখন কল্পনার জগতকে সরিয়ে রেখে, নেহাতই বাস্তব পারিপার্শ্বিককে বেছে নিলেন গল্প শোনাবার পটভূমি হিসেবে।কাহিনির আকৃতিকে তিনি বেঁধে রাখলেন নির্দিষ্ট একটি সীমায়।জোর দিলেন কাহিনির বুননে। সত্যজিতের ছোটগল্প হয়ে উঠল অনন্য।

শুভা মুদ্গল (Shubha Mudgal)

শুভারম্ভ: পর্ব ১২

‘গ্র্যামি পুরস্কারের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে মনোনীত হয়েছে তিন ভারতীয় শিল্পীর সঙ্গীত। এঁরা স্বাধীন শিল্পী অর্থাৎ কিনা, এঁদের মাথার উপর বড় সংস্থা বা প্রযোজকের ছাতা নেই। অথচ যাঁদের সেই খুঁটির জোর আছে, তাঁদের গান গ্র্যামির জন্য জমা পড়ে না।’ ভারতীয় সঙ্গীত জগতে বৈপরীত্য।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ২১

ইরানে বলা হচ্ছে, অন্য জন্তুর প্রতি ভালবাসা খরচা করে মানুষ তার হৃদয়স্থিত প্রেমের অপব্যবহার করছে, কারণ ওই শুদ্ধ আবেগ মানুষের আধারে প্রদত্ত হয়েছে তো পরিবারের অন্য সদস্যদের, গোষ্ঠীর অন্য মানুষের প্রতি ধাবিত হবে বলেই। তাই পোষ্য রাখার অভ্যাস ‘ক্ষতিকর সামাজিক সমস্যা’।