কলাম

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ৩৮

এক আমলা তাঁর মোবাইল জল থেকে তুলতে জলাধারের ৪০ লক্ষ লিটার জল বের করে দেন। কিশোরীকে ছুরি মেরে ও পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করে যুবক প্রকাশ্যে। কেউ ফিরেও তাকায় না। এ দেশে আমরা নেতাদের ভুল ধরতে খুব ব্যস্ত, কিন্তু নিজেরা কি সমান নির্বিকার নিষ্ঠুর নই?

শ্রীজাত

দূরপাল্লা : পর্ব ১০

এমন ভয়াবহ অতিমারীর পর যে প্লেনে চড়ে ফের বিদেশ যাব, এ কল্পনাতীত ছিল। কিন্তু কোভিড কাটতে না কাটতেই অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার সুযোগ হল। সূবর্ণসুযোগও বলা চলে, কারণ কপালে জুটল সিডনি অপেরা হাউসে বলে ফ্রেঞ্চ অপেরা দেখার সৌভাগ্য।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ৪৩

সদা-প্রস্তুত এক মজা-মেশিন, যা তোমার নিমিত্ত এনেছে ক্রিকেট খেলার বেধড়ক সাসপেন্সের নির্যাসটুকু, যাতে খানদানি ক্রিকেটীয় শটও আছে, চামচের মতো বল তুলে উইকেট-কিপারের মাথার ওপর দিয়ে ছক্কাও আছে। আপিএল মাহাত্ম্য।

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ : পর্ব ২২

কর্মখালির বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল, ‘কাজে অনিচ্ছুক ব্যক্তি কোনো রকম বায়োডাটা ছাড়া এই ঠিকানায় সরাসরি চলে আসবেন। ফোন করবেন না। কোনো ইন্টারভিউ ছাড়াই চাকরি জুটে গিয়েছিল আপ্তসহায়কের।’ আজব চকরি

অনুপম রায়

সং স্টোরি শর্ট: পর্ব ৫

সিনেমায় বা অ্যালবামে আমার যে সব গান থাকে, তার বেশিরভাগ গানই অনেক আগে বানানো। মানে আমি গায়ক হওয়ার আগেই। এই গানটাও ২০০৭ সালে বানানো। সৃজিতদার গানের একটা লাইন পছন্দ হওয়ায় ২২শে শ্রাবণ সিনেমায় গানটা ব্যবহার করে। গান বানানোর গল্প।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ৩৭

মানুষের বাকস্বাধীনতা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যে অধিকারের মতো মানবধিকার যেমন রয়েছে, তেমন অপরকে বাধ্য হয়ে হত্যা না করারও অধিকার রয়েছে। রাশিয়ার বহু সৈন্য অখন ইউক্রনের বিরুদ্ধে লড়তে চাইছে না, সে দেশের মানুষদের মারতে চাইছে না। এ জন্য রাশিয়া সেই সৈন্যদের শাস্তি দিচ্ছে।

অনুপম রায়

ম্যাকি : পর্ব ২৭

‘আমি জানতে চাই আমি আর কতদিন জীবিত থাকব? আর কতদিন আমার ভ্যালু থাকবে? আমি একটা স্ট্রাকচার চাই। আমি গ্যারান্টি চাই যে আমার হার্ড ডিস্ক আগামী দশ বছর ক্র্যাশ করবে না। আমার অনেক প্রশ্ন। কেউ নেই যে বলে দিতে পারে।’ ম্যাকির অসহায়তা।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ২৭

‘হে অতীত, গুল্মপ্রাণ, জল দিই তোমাকে যে রোজ/ আমাকে ফুলের মতো ঘটনা ফিরিয়ে কিছু দাও।/ পড়োশির ঈর্ষা হই, পাখিদের পান্থশালা-খোঁজ…/ বদলে সময় যদি পেতে চাও, ফিরে দেব তাও।’ নতুন কবিতা।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

ছায়াবাজি : পর্ব ১৩

‘উচ্চপ্রশংসিত ছবি ‘ক্লোজ’ (পরিচালনা লুকাস ধোন্ত, ২০২২) দেখতে ভীষণ ভাল লাগে, কিন্তু শেষ অবধি তার বিরাট একটা আবেদন নেই। মানে, সময়ে সময়ে গলা ধরে আসে ঠিকই, কিন্তু ছবি শেষ হওয়ার পর বহুদিন ধরে বারবার দৃশ্যাংশ মনে পড়ে না।’ চিত্র-সমালোচনা।

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ২৬

রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে আমাদের যাদের দেখা হয়নি, তারা প্রায় প্রত্যেকেই জানি যে তাঁর সঙ্গে আমাদের রোজ দেখা হয়। তিনি আমাদের সাক্ষাৎ চেনেন না, কিন্তু তাঁর মতো করে আমাদের আর ক’জন চেনে? তাঁর লেখার মতো আমাদের কে-ই বা স্পর্শ করতে পারে?

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ৩৬

ভারত চিনকে টপকে জনসংখ্যায় প্রথম হওয়ার পর জার্মানির এক পত্রিকায় একটি কার্টুন বেরিয়েছিল। তাতে ভারতকে উন্নত দেশ দেখানো হয়নি। সেই নিয়ে গোঁসা ভারতের। অথচ জার্মানি কিন্তু নাৎসি চিহ্ন নিজের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলেনি। সমালোচনা গ্রহণ করতে শিখতে হবে।

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল : পর্ব ২৫

‘তারপরেই ঝোলা থেকে বেরোত যার-যার ডাইরি। কৌশিক আর আমি কবিতা লেখার চেষ্টা করছি তখন, সোমনাথ লিখছে অ্যানথ্রোপলজি বিষয়ক প্রবন্ধ, গম্ভীর আর চোস্ত ইংরেজিতে। পালা করে সেইসব পড়া হত।’ কৈশোরের লেখালেখি।