

ম্যাকি : পর্ব ২৭
‘আমি জানতে চাই আমি আর কতদিন জীবিত থাকব? আর কতদিন আমার ভ্যালু থাকবে? আমি একটা স্ট্রাকচার চাই। আমি গ্যারান্টি চাই যে আমার হার্ড ডিস্ক আগামী দশ বছর ক্র্যাশ করবে না। আমার অনেক প্রশ্ন। কেউ নেই যে বলে দিতে পারে।’ ম্যাকির অসহায়তা।
‘আমি জানতে চাই আমি আর কতদিন জীবিত থাকব? আর কতদিন আমার ভ্যালু থাকবে? আমি একটা স্ট্রাকচার চাই। আমি গ্যারান্টি চাই যে আমার হার্ড ডিস্ক আগামী দশ বছর ক্র্যাশ করবে না। আমার অনেক প্রশ্ন। কেউ নেই যে বলে দিতে পারে।’ ম্যাকির অসহায়তা।
‘হে অতীত, গুল্মপ্রাণ, জল দিই তোমাকে যে রোজ/ আমাকে ফুলের মতো ঘটনা ফিরিয়ে কিছু দাও।/ পড়োশির ঈর্ষা হই, পাখিদের পান্থশালা-খোঁজ…/ বদলে সময় যদি পেতে চাও, ফিরে দেব তাও।’ নতুন কবিতা।
‘উচ্চপ্রশংসিত ছবি ‘ক্লোজ’ (পরিচালনা লুকাস ধোন্ত, ২০২২) দেখতে ভীষণ ভাল লাগে, কিন্তু শেষ অবধি তার বিরাট একটা আবেদন নেই। মানে, সময়ে সময়ে গলা ধরে আসে ঠিকই, কিন্তু ছবি শেষ হওয়ার পর বহুদিন ধরে বারবার দৃশ্যাংশ মনে পড়ে না।’ চিত্র-সমালোচনা।
রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে আমাদের যাদের দেখা হয়নি, তারা প্রায় প্রত্যেকেই জানি যে তাঁর সঙ্গে আমাদের রোজ দেখা হয়। তিনি আমাদের সাক্ষাৎ চেনেন না, কিন্তু তাঁর মতো করে আমাদের আর ক’জন চেনে? তাঁর লেখার মতো আমাদের কে-ই বা স্পর্শ করতে পারে?
ভারত চিনকে টপকে জনসংখ্যায় প্রথম হওয়ার পর জার্মানির এক পত্রিকায় একটি কার্টুন বেরিয়েছিল। তাতে ভারতকে উন্নত দেশ দেখানো হয়নি। সেই নিয়ে গোঁসা ভারতের। অথচ জার্মানি কিন্তু নাৎসি চিহ্ন নিজের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলেনি। সমালোচনা গ্রহণ করতে শিখতে হবে।
‘তারপরেই ঝোলা থেকে বেরোত যার-যার ডাইরি। কৌশিক আর আমি কবিতা লেখার চেষ্টা করছি তখন, সোমনাথ লিখছে অ্যানথ্রোপলজি বিষয়ক প্রবন্ধ, গম্ভীর আর চোস্ত ইংরেজিতে। পালা করে সেইসব পড়া হত।’ কৈশোরের লেখালেখি।
‘আহারে মন’ গানটা আমি নিজের খেয়ালেই বানিয়েছিলাম। নিজের মতো এক ভীরু প্রেমিককে কল্পনা করে। তারপর নতুন গান বানানোর উৎসাহে আমি চিত্রপরিচালককে শোনাই গানটা। আর তারপর তাদের মধ্যে গানটা কে নেবে, এই নিয়ে বেধে যায় গোর গন্ডগোল!
‘শিল্পী যদি বলেন আমার লেখাটা অন্যে লিখে দিলে বা গানটা অন্যে গেয়ে দিলে আপত্তি নেই, তাহলে তা শিল্পের অপমান, শিল্পীর আত্মমর্যাদার অপমান, কারণ তা শিল্পের গোড়ার প্রবৃত্তি ধ’রে এবং শিল্পবৃত্তিটার গোড়া ধ’রে টান মারে।’ অনৈতিক প্রস্তাব।
স্পেনের এক মহিলা ৫০০ দিন গুহায় একা থেকে বেরোলেন আনন্দিত হয়ে। নিজের সঙ্গে থাকা প্রসন্নতারও জন্ম দেয়। ‘আ টাইম টু কিপ সাইলেন্স’-এর লেখকও বলেছিলেন এক আশ্রমে গিয়ে সম্পূর্ণ নীরব থাকার কথা। প্রথমে কষ্ট হলেও পরে নীরবতা তাঁকে বেশি মনোযোগী করে তোলে।
কোনও কোনও গন্তব্যে পৌঁছনো একই সঙ্গে আনন্দ-বিষাদ-একাকীত্ব-গুমড়ে কান্না, সবই হাজির করে। সিলভিয়া প্লাথ-এর প্রিমরোজ হিল-এর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আমার তাই মনে হয়েছিল। আর বুঝেছিলাম, আমি আর সিলভিয়া সময়ের কোনও একটা ফাঁদে একসঙ্গে রয়েছি।
‘এই ছবিতে মূলত আছে প্রেমের ও যৌনতার সন্ধানে দুটি চরিত্র, যারা একই মেয়ের কাছে কিছুদিন সেগুলি যাচ্ঞা করে। মেয়েটিকে তারা দু’বার কামনা করে, পায় ও ত্যাগ করে। মেয়েটির কেমন লাগছে বা লাগতে পারে, তা নিয়ে তারা খুব ভাবিত নয়।’ যৌন মনস্তত্ত্বের জটিলতা।
বসাই টুডু আর দ্রৌপদী, মহাশ্বেতা দেবীর এই গল্পদুটো আমার মধ্যে একটা উথালপাতাল তৈরি করে এবং তার থেকেই এই গানটা তৈরি। আমারও মনে হয় শেষে গিয়ে জাস্টিস কখনই হয় না, বিশেষত, নীচের তলার মানুষদের সঙ্গে। তারা বিচারের আশায় কেবল দিন গোনে।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.