

শ্লেষ্মা পিত্ত মধ্যবিত্ত
আমাদের ধারণায় যে মধ্যবিত্ত শ্রেণি রয়েছে, তার সঙ্গে এখনকার মধ্যবিত্তের পার্থক্য কী? বাইরের জীবনযাপনে ফারাক তৈরি হলেও, মানসিকতায় কি কোনও বদল এসেছে? মধ্যবিত্ত-মননের সেই সব খুঁটিনাটি নিয়েই এই বক্তৃতা ‘শ্লেষ্মা পিত্ত মধ্যবিত্ত’।
আমাদের ধারণায় যে মধ্যবিত্ত শ্রেণি রয়েছে, তার সঙ্গে এখনকার মধ্যবিত্তের পার্থক্য কী? বাইরের জীবনযাপনে ফারাক তৈরি হলেও, মানসিকতায় কি কোনও বদল এসেছে? মধ্যবিত্ত-মননের সেই সব খুঁটিনাটি নিয়েই এই বক্তৃতা ‘শ্লেষ্মা পিত্ত মধ্যবিত্ত’।
একজন যত অসামান্য শিল্পই রচুক, তার শিল্প জনতার মধ্যে স্পন্দমান বেশিদিন থাকে না, কিন্তু দীক্ষিতদের মধ্যে থাকে বহুযুগ। সত্যজিৎ বারংবার দেখে চলবে চলচ্চিত্র-রসিকরা, যাদের সংখ্যা হয়তো একশো বা চুয়াল্লিশ, কিন্তু ভিড় তাঁকে নিয়ে আদিখ্যেতা করবে না।
‘আজ বুধবার,/
তুমি দেখতে এসেছিলে থিয়েটার,/ এক তরুণীর প্রেম ও দুঃসময়ের বিপ্লবের গাথা।/
কে তোমাকে বলে দেবে,/
চারপাশে চলমান এই শহরই/
আসলে সেই থিয়েটার নয়?’
‘দূরপাল্লা’ দৃশ্য-শ্রাব্য ডায়েরি হলেও এমন অনেক স্মৃতিই আছে যা কবির ফোনে নয়, শুধুই তাঁর মনে বন্দি হয়ে আছে। সেইসব স্মৃতি মাঝে মাঝে প্রশ্ন করে— শিল্পর আদৌ কোনও সংজ্ঞা হয় কি না? এই পর্বে শিকাগো’র তেমনই এক রাতের কাহিনি।
‘শেষ শটে দেখা যায় গাড়িতে গান চালিয়ে লোকটা কখনও হাসছে, কখনও কাঁদছে। একটা টানা জয়ের গল্প তাহলে নয় এটা? এতে এক স্বেচ্ছানির্বাসিত মানুষের অল্পময় জীবনের একবগ্গা জয়গান গাওয়া হয়নি?’
‘কিন্তু এসব গান শুনতে চাইলে ‘সুরধুনি’ ছাড়া উপায় নেই। তাই আমি সন্ধের মুখটায়, বাড়ি ফেরার আগে ওখানে গিয়ে দাঁড়াতাম। ওইসব গোমড়া বাচ্চারাই হয়তো আগামীর সন্ধ্যা-আরতি-প্রতিমা-নির্মলা, বা ভবিষ্যতের হেমন্ত-মান্না-শ্যামল-মানবেন্দ্র। কে বলতে পারে?’
ধর তক্তা মার পেরেক-এর এই যুগে শিল্প থেকে খেলাধুলোর ধরনধারণ, সব কিছুরই রিমোট কন্ট্রোল ‘বাজার’-এর হাতে। তবে শুধুমাত্র বিনোদন বা চটজলদি জনপ্রিয়তার জন্য কি রীতি, প্রথা, চরিত্র, আদর্শ এসব বর্জন করা যায়?
দুটো ভিন্নমত, যতই বিপরীতধর্মী হোক না কেন, তাদের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখাই প্রকৃতির ধর্ম। আনকোরা নতুন এই গানটাও সেই বহুত্ববাদের কথাই বলে। শোনা যাবে সদ্য মুক্তি পেতে চলা ‘আলাপ’ ছবিতে, অনুপম রায় ও লগ্নজিতা চক্রবর্তীর কণ্ঠে।
‘কে বলে দেবে, কতটা সাহচর্য কতটা নজর কতটা শাসন আইসম্মত রকমের ভাল? কেউ যদি সারাক্ষণ সন্তানের মাথার ওপর ভনভনিয়ে উড়তে থাকে এবং চোখ পাকিয়ে বকুনি দেয়, তাকে ভাল বাপ-মা বলে? না কি যে সন্তানকে অনেকটা স্বাধীনতা দেয়… সে আরও ভাল?’
বাঘাযতীন মোড়। এক সোমবারের সকালে অফিস যাওয়ার পথে নীলার দেখা হয় নীলাব্জর সঙ্গে। তবে শুধুই নীলাব্জ নয়, দেখা হয় জীবনের সেই গভীর দার্শনিক প্রশ্নটার সঙ্গেও, ইঁদুরদৌড় জীবনের শেষ কথা কি না।
দিনের মধ্যে অন্তত একবার ফিরে যেতেই হয় তাঁর কবিতার কাছে। ‘কবির সঙ্গে দেখা’র এই পর্বে আবারও ফিরে দেখা তাঁকে— তিনি বাংলা কবিতার অবিসংবাদিত সম্রাট শক্তি চট্টোপাধ্যায়।
‘যে-কোনও উত্তীর্ণ শিল্পকর্মের মতোই ‘পান্চ’-ও তার বিষয়বস্তু ও প্রকাশভঙ্গি— দু-দিকেই সমান গুরুত্ব দিয়েছিল। লেখার গুণমানের সঙ্গে অসামান্য সব ক্যারিকেচারধর্মী অলংকরণের সহাবস্থান ‘পান্চ’ পত্রিকার গৌরবময় অতীতকে আজও অমলিন করে রেখেছে।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.