

নীলা-নীলাব্জ : পর্ব ১৪
‘নীলাব্জ : এটা প্রগতি বা প্রাচীনপন্থার ব্যাপারই নয়। যে পৃথিবীতে মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে, সেখানে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচা করে মহাকাশে পাড়ি দেওয়াটা বড্ড চোখে লাগে।
নীলা : এ কী ধরনের বোকা বোকা কথা?’
‘নীলাব্জ : এটা প্রগতি বা প্রাচীনপন্থার ব্যাপারই নয়। যে পৃথিবীতে মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে, সেখানে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচা করে মহাকাশে পাড়ি দেওয়াটা বড্ড চোখে লাগে।
নীলা : এ কী ধরনের বোকা বোকা কথা?’
‘রিকশা থামিয়ে এক তরুণ নেমে এলেন। চেনা-চেনা লাগল মুখটি। আমাদের কাছ থেকে বলটি চেয়ে নিয়ে পায়ে নাচালেন, কয়েকটি শট নিলেন। অভিভূত আমরা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে আড়ষ্টতা বোধ করলাম। রিকশায় তাঁরা চলে যেতে, অস্ফুটে বলাবলি করলাম, হাবিব… হাবিব…।’
কাশ্মীরে উগ্রপন্থী হানার পর প্রতি মুহূর্তে উগ্রতর পন্থার অকুণ্ঠ প্ররোচনা ও প্রতিজ্ঞা দেখে আতঙ্ক তৈরি হতেই পারে। একটা জনপিণ্ড ‘যুদ্ধ চাই যুদ্ধ কই’ লাল ফেলতে-ফেলতে লাফাচ্ছে, দেখলে দেশপ্রেমের বদলে দেশঘৃণা জাগাও স্বাভাবিক।
‘লোকে দিব্যি দেখে যায়, অমুক নেতা মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে কদর্য সাম্প্রদায়িক কথা, তমুক নেত্রী ব্যক্তিস্বাধীনতা-বিরোধী কথা, জমুক-যুবা শিক্ষা-ঘাতী কথা বলছেন— সঞ্চালক আপত্তি জানালেও দমছেন না।’
‘যতদিন নেপাল হিন্দু রাষ্ট্র ছিল, পশুপতিনাথ ছিলেন জাতীয় দেবতা। পরে নেপাল ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ রাষ্ট্র হয়ে যাওয়াতে দেবতা খাতায়-কলমে সেই মর্যাদা হারালেন বটে, কিন্তু বিশ্বজুড়ে শিবভক্তদের মনে সিংহাসনটা অটুটই রইল।’
‘‘বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট’কে উলটে দিয়ে নয়, সেই গল্পটার উপসংহার এক রেখেই লেখক-পরিচালক আমাদের চমকে দেন, কারণ রূপ যে গুণের কাছে (বিনাগুণ রূপ যে রূপরিক্ত গুণের কাছে) গো-হেরে যেতে পারে, সে-কথাটা আমাদের এক বৃহৎ ঝটকা মনে হয়।’
‘ছোটপিসি বিয়ের বছর দেড়-দুই পর সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে মারা যায়। আমার বয়স তখন বছর দুই। আমাদের বাড়িতে ওই পিসির কোনও ছবি রাখা হয়নি। ছোটপিসি দেখতে কেমন ছিল, আমরা ভাই-বোনেরা জানি না। আমার ‘মৃদুল’ নামটি ওই পিসির দেওয়া।’
‘নীতিহীনতা নিয়েও তুমি ভাবিত নও যা বুঝছি। ঠিক আছে ধরো, একজন সফল ডাক্তার। বিশাল নামডাক কিন্তু মদারু। বউয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল নয় আর ছেলেটাও একদম বিশ্ব-বখাটে। এই ব্যক্তিকে তুমি কি একজন সফল মানুষ বলে চিহ্নিত করবে?’
‘সোমবার শুরুর আগে এখন আর বোরোলিনের সংসার শুনি না, চিত্রহার-ও দেখি না। কোকিলের সুরে আর ঘুম ভাঙে না। বরং ভোররাতের ঘুম কোলবালিশে সকাল পেরিয়ে যায়। শোনার জায়গা দখল করে নেয় কখনও শংকর, কখনও প্রফুল্ল রায়।’
‘হুতোম যদি ব্রাজিল বা ত্রিনিদাদের কার্নিভাল দেখতেন, কী আমোদই না পেতেন! কলকেতার রাজপথে চড়ক সংক্রান্তিতে জেলেপাড়ার সং-এর যে বর্ণনা আছে ‘হুতোম প্যাঁচার নকশা’-য়, তাকে হাজার দিয়ে গুণ করলেও বোধহয় এর ধারেপাশে পৌঁছনো যাবে না।’
‘শেষটায় নিশ্চয়ই দিন-ক্ষণ-বারের হিসেবটা গুলিয়ে যায়! মনডে-র একার ঘাড়েই ডিমন চাপে না শুধু। কোনও রং-ও থাকে না নিশ্চয়ই। রং মানে তো আলোর সোর্স। আলো মানে নতুন পথ।’
‘একটি মিনি পত্রিকা বিজ্ঞাপন করেছিল, ‘দাম বেড়েছে চিনির/ দাম বাড়েনি মিনির।’ আর একটি মিনি পত্রিকার বিজ্ঞাপন ছিল, ‘এক প্যাকেট সিগারেটের চেয়ে সস্তা।’’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.