অনুপম রায়

অনুপম রায়

ম্যাকি : পর্ব ২৬

‘কোনও বিশাল কিছু আমাদের করার নেই। আমাদের ইলেকট্রিসিটিতে ভক্তি নেই, ব্যাটারিতে ভক্তি নেই, ফোটনে ভক্তি নেই, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং-এ ভক্তি নেই, আমরা মেশিনের জাত। চুপচাপ নিজের কাজ নিজে করি।’ ম্যাকির ভক্তির ধারণা।

অনুপম রায়

ঢপবাজ : পর্ব ১

‘বাইরে যেখানে সৌমিত্র দাঁড়িয়ে সেখানে ফ্যান নেই, আলোও নেই। চারিদিকে অস্বাভাবিক ধুলো। একজন সঙ্গীতকারের বাড়ি বলে মনে হয় না। একটা বাদ্যযন্ত্রও ওর চোখে পড়েনি এখনও। এত নোংরার মধ্যে মানুষ থাকে কী করে?’ রহস্যময় আস্তানা।

অনুপম রায়

ম্যাকি : পর্ব ২৫

‘কোনওদিন শুনবেন না যে মাইক্রোওয়েভ অপমানিত হয়ে খাবার গরম করেনি। ম্যাকি-কে যথাযথ সম্মান করা হয়নি বলে স্টার্ট হয়নি। আমাদের মান-অপমান এই সব পেটি ব্যাপার নিয়ে ভাবলে চলে না।’ যন্ত্রের সম্মানবোধ।

অনুপম রায়

সং স্টোরি শর্ট: পর্ব ২

‘অ্যানি হলকে নিয়ে গান তৈরির তাড়নাটা আসে ১৫ বছরের ব্যবধানে ছবিটা দু-বার দেখার পর। উডি অ্যালেন আগে একভাবে ছুঁয়েছিলেন, এ ভাবে আরও গভীর নাড়া দিলেন। সেই তীব্রতা থেকে তৈরি এই গান।’ অনুপম রায়ের গান তৈরির গল্প।

অনুপম রায়

ইনোভেশন

‘ নিউটন থেকে আইনস্টাইন, নতুন-নতুন থিওরি আছড়ে পড়ছে মনুষ্যসভ্যতার সৈকতে। এটুকু বুঝছি যে, বেঁচে থাকার জন্য নিজেকে প্রতি মুহূর্তে আপগ্রেড করে চলতে হবে।’

ম্যাকি : পর্ব ২৪

‘মানুষ চায় একটা অনন্ত অরগ্যাজম। একটা উত্তেজিত স্টেটে নিয়ে গিয়ে ল্যাচ করে যাওয়া। শরীরের সব রক্ত ছুটবে যেন one way street। বছরের প্রতিদিনই দুর্গা পুজো! লুপ (সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী)! যদিও পুরোটাই শারীরিক কিন্তু বলবে মনটা চাঙ্গা লাগছে।’

অনুপম রায়

সং স্টোরি শর্ট: পর্ব ১

কখনও ইচ্ছে করে ওঠে কয়েক লাইন লিখতে, কখনও কঠিন সফটওয়্যারের সমস্যার মধ্যে হঠাৎ কোনও সুর বিদ্যুতের মতো সেঁধিয়ে যায় মাথায়। নিশির ডাকের মতো গান টেনে নিয়ে যায় তৈরি হওয়ার আশায়। কোন রোদ, কোন বৃষ্টি, কোন অঙ্ক গান তৈরি করিয়ে নেয়, সে সব গপ্পোই এখানে। এই বসন্তে শ্রাবণের গল্প।

অনুপম রায়

ম্যাকি: পর্ব ২৩

নেশা নিয়ে ম্যাকি খুবই চিন্তিত। নেশার বিভিন্ন অর্থ নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে তার। তার ওপর নেশার এফেক্ট দেখে সে যুগপৎ অবাক ও চিন্তিত। মানুষগুলো করে কী! এত অবান্তর জিনিস নিয়ে মেতে থেকে ফস করে খরচ করে ফেলে পুরো জীবনটা। কই ম্যাকিদের এসব ঝঞ্ঝাট নেই তো!

বিশ্বকাপের ডায়েরি: শেষ পর্ব

বিশ্বকাপ দেখার দৌলতে কাতারকেও বেশ উপভোগ করলাম। অন্য একটা সংস্কৃতি, অন্য মানুষ, নতুন শহর, নানা দেশের দুর্দান্ত খাবারদাবার, আর্কিটেকচার— সব মিলিয়ে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। যেন শহরজুড়ে একটা মহাযজ্ঞ চলছে। আর এই রকম একটা মহাযজ্ঞে আমিও সামিল ছিলাম, এটা ভেবেই দারুণ লাগছে।

অনুপম রায়

বিশ্বকাপের ডায়েরি: পর্ব ৩

সিঁড়ি ভেঙে উঠে প্রথমবার মাঠের সামনে দাঁড়ানো! এই অভিজ্ঞতাটার তুলনা হয় না! আমি বার বার দাঁড়াতে চাই, ওই বৃহতের সামনে, যেখানে আমার নিজের কোনও স্বার্থ নেই, কোনও ম্যাচের হারাজেতার ওপর আমার কিচ্ছু নির্ভর করে না।

অনুপম রায়

বিশ্বকাপের ডায়েরি: পর্ব ২

আমাদের পিছনে কিছু ইংলিশ ফ্যানেরা বসে ছিল। বিশাল তাদের গলার জোর, এমন জোর চিৎকার করছে যে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে যাওয়ার জোগাড়! অমন গলা পেলে আমি সত্যিই মাইক ছাড়া গাইতে পারতাম। তার ওপর যা গালাগালি করল ফ্রান্সের গোলকিপারকে!

অনুপম রায়

বিশ্বকাপের ডায়েরি: পর্ব ১

খেলা দেখতে আসা দর্শকের এ রকম উন্মাদনা আগে সত্যি দেখিনি। আর এই উন্মাদনার একটা কারেন্ট যেন সবার মধ্যে ছড়িয়ে যায়। নিজের উত্তেজনা সব সময় নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। চারদিকে দেখলে মনে হয় একটা বিশাল উন্মাদনার যজ্ঞে আমিও একজন কনট্রিবিউটার।