Vlog

শ্রীজাত

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ৮

এই কবিতাগুচ্ছের মধ্যে দিয়ে আসলে নিজের মৃত্যু এবং মৃত্যু-পরবর্তী পৃথিবীকে দেখতে পাওয়া যায়। কখনও স্বপ্নে, কখনও কল্পনায়, কখনও বাস্তবে। আশা-উজ্জ্বলতার কথা ছেড়ে আচমকা মৃত্যুর কথা কেন? আসলে চারপাশটা বর্তমানে এমনই হয়ে উঠেছে, মৃত্যুকে কিছুতেই আর অস্বীকার করা যাচ্ছে না।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ৮

ঘন ঘন রং বদলনোর হিড়িক দেখে ডারউইন সাহেব পড়েছেন মহা ফ্যাসাদে। কষ্ট করে, দাড়ি চুমড়ে ইয়াব্বড় তত্ত্বখানি যে বলেছিলেন, তা এখনকার মনুষ্যপ্রজাতি এদিক এদিক ফিরতে নস্যাৎ করে দিচ্ছে। এই তৃণমূল তো এই বিজেপি, এই বিজেপি তো এই সিপিএম। ডারউইন প্রায় মিথ্য়েবাদী প্রমাণ হতে চলেছেন আর এদিকে গিরগিটি রেগে লাল। তবে সিপিএম হয়নি এখনও সে।

অনুপম রায়

ক্যাসেট কথা: পর্ব ৯

হ্যাঁ, এ কথা ঠিকই যে আমি ব্রিটিশ ব্যান্ড বেশি ভালবাসি। অনেকগুলো ব্রিটিশ ব্যান্ডের মধ্যে ওয়েসিস আমার খুব বেশি রকমের প্রিয়। ওদের গান লেখার স্টাইল আমার মনকে খুব নাড়া দেয়। আমার লেখার স্টাইল খানিকটা ইনফ্লুয়েন্সড। ওদের গান মনে হয় যেন আমায় ডিফাইন করে।

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ৮

বাংলাভাষা কয়েক জন যে বিরল এবং একই সঙ্গে একা কবি রয়েছেন, গীতা চট্টোপাধ্যায় তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য। আর্দ্রতার সঙ্গে দৃঢ়তার এক অদ্ভুত মিশেল রয়েছে তাঁর কবিতা। স্বঘোষিত নারীবাদী না হয়েও পরতে পরতে প্রতিবাদ কিন্তু পুরুষের সঙ্গে বৈরিতার আভাস কোথাও নেই। এমন আশ্চর্য কবিতা ও কবি সত্যি বিরল।

উপল সেনগুপ্ত, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ৭

রাজা জিজ্ঞেস করলেন, আমাকে কীসের মতো ভালবাসো? এক মেয়ে বলল, নুনের মতো। হাসাহাসি পড়ে গেল, রাজা রেগে লাল। তখন সেই মেয়ে তখন খুব ভেবেচিন্তে বিরাট ভোজের আয়োজন করল, কোনও রান্নায় নুন দিল না। খেয়েদেয়ে সবাই কী বলল? আর গানে, সামুদ্রিক লাল কাঁকড়া বিষয়ে নিরবচ্ছিন্ন কৌতূহলের সরল-সাদা প্রকাশ।

শ্রীজাত

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ৭

অন্ধকার বেশির ভাগ সময়ই চেনা রূপে আসে। অবশ্য অচেনা রূপেও জীবনে হানা দেয়। চেনা অন্ধকারে তবু হাতড়ানো যায় জীবন, মোমবাতি বা দেশলাই বাক্স কিন্তু অচেনা অন্ধকারে অজানা ভয়ের সঙ্গে যুঝে যাওয়া ছাড়া বিশেষ কিছু করার থাকে না। এ বারের আড্ডাঘরে চতুর্দশপদী অন্ধকার লেখাগুচ্ছের আনাগোনা। শিরোনামহীন অন্ধকারের চর্চা।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ৭

লর্ডসে ইন্ডিয়া অসামান্য খেলে ম্যাচ জিতল, তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়, একইসঙ্গে তারা করল প্রবল অভদ্রতা ও দুর্ব্যবহার, তার জন্য কোনও নিন্দাই যথেষ্ট নয়। অনেকেই অবশ্য এই অভদ্রতাকে তীব্র সমর্থন জানিয়েছেন, আর বলেছেন, এই হচ্ছে দেখার মতো আগ্রাসন। কিন্তু এ হল কথার খেলা। আইকনদের বুঝতে হবে, যে কোনও মূল্যে ম্যাচ জিততেই হবে, এ প্রবণতা অসভ্যতাকে আশকারা দেয়।

অনুপম রায়

ক্যাসেট কথা: পর্ব ৮

স্বপ্ন দেখার সময় চোখের তারার যে দ্রুত ঘোরাফেরা চোখের মধ্যেই, সেই চলন থেকেই ব্যান্ডের নাম। যে ব্যান্ডের গান আমাদের নিয়ে যেতে পারে স্বপ্নের মতো একটা অবস্থায়, সে গান ভরিয়ে রাখতে পারে স্বপ্নে। বেড়ে ওঠা সময়ের স্বপ্নের গান

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ৭

প্রকৃত অর্থে একেবারেই নিরাভরণ তাঁর কবিতা। অথচ দেখার দৃষ্টি তাকে অনন্য করেছে। আমাদেরই চেনাজানা পৃথিবীকে একটা বৈঠকী ঢঙে দীর্ঘকাল ধরে নতুন করে চিনতে শিখিয়েছেন তিনি। কবি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের এটাই নিজস্ব ধরন। আজ এই পর্বে তাঁরই কিছু কবিতা রইল।

উপল সেনগুপ্ত, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ৬

একটা জাদু-আয়না। এক রূপের গরবিনি রানি। এক ধবধবে ফর্সা রাজকন্যা স্নো হোয়াইট। জঙ্গল। জল্লাদ। সাত বামন। এক রাজপুত্র। রাজপুত্রের সঙ্গে স্নো হোয়াইটের বিয়ে, তারপর ফুলশয্যায় রাজপুত্রের ধারালো সব প্রশ্ন। ওদিকে নতুন গান ‘ছোট্ট মিথ্যে’: ‘পুরুলিয়া টুরে উদ্দাম গাঁজা/ পাপের অহং-এ গল্পেরা ভাজা/ হুট করে বলে দাও প্লিজ/ একটা ছোট্ট মিথ্যে/ আমার সুবিধে হয়/ জুয়াখেলা জিততে।’

শ্রীজাত

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ৬

সময় এখন দীর্ঘদিন ধরে মেঘের মধ্যে আটকে আছে। দীর্ঘ বর্ষাকাল, বিলম্বিত লয়ের গানের মতোই, ঢিমে তালে এগিয়ে চলেছে। এই শহরে এমন একটাও দিন যাচ্ছে না, যেদিন আকাশ কালো করে বৃষ্টি নেই! সেই কারণেই উঠে এল বর্ষার অনুষঙ্গে লেখা সেইসব কবিতার কথা, যাদের গায়ে আজও মেঘের মায়া জড়ানো!

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ৬

পাড়ায় মাস্কহীন জমায়েত দেখলে বলি বে-আক্কেল, ইউরো কাপের মাস্কহীন জমায়েত দেখে মুগ্ধ। মা-মাসি সিরিয়ালে মজে থাকলে বলি গাঁইয়া, নিজেরা ওয়েব-সিরিজ (যা সিরিয়ালই) দেখে ভাবি, স্মার্ট। প্রেম-পাগলিনি রাধাকে পুজো করি, কিন্তু বাঙালি রাজনীতিক প্রেমের জন্য় সর্বস্ব ছাড়লে মিম বানাই।