
এক শালিক: পর্ব ৪৪
সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো না করে অবান্তর ব্যাপার নিয়ে ব্যস্ত থাকা আমাদের অধিকাংশের অভ্যাস। এতে নিজেকে ভুল বোঝানো যায় যে আমি ফাঁকি মারছি না। কিন্তু রাষ্ট্র বা শাসক-গোষ্ঠী যদি একই কাজ করে, তবে তা দুর্ভাগ্যজনক।

সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো না করে অবান্তর ব্যাপার নিয়ে ব্যস্ত থাকা আমাদের অধিকাংশের অভ্যাস। এতে নিজেকে ভুল বোঝানো যায় যে আমি ফাঁকি মারছি না। কিন্তু রাষ্ট্র বা শাসক-গোষ্ঠী যদি একই কাজ করে, তবে তা দুর্ভাগ্যজনক।

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের এমন অনেক কবিতা আছে, যা এখন তত পঠিত বা আলোচিত নয়। তাঁর জনপ্রিয় কবিতাগুলির মধ্যে যে অহরহ ম্যাজিক আছে, তা হয়তো এই কবিতাগুলির মধ্যে নিয়ন্ত্রিত, ঈষৎ চাপা। যদি সেই জাদু ছোঁয়া না যায়, তা হলে আমাদের ক্ষতি।

ভিড়ের মন খুব সাংঘাতিক জিনিস। সে যদি একবার সুযোগ পায় কোনও কানাগলি দিয়ে ঢোকার, তাহলে আদত ভালমানুষের মধ্যে থেকে তার খারাপ সত্তাটা বের করে আনতে সক্ষম। ফলে দলে পড়ে অত্যন্ত ভাল মানুষটি যে কাল ভয়ানক হবে না, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।

যাব না, যাব না— করলেও পুরীর সমুদ্রের হাতছানি এড়ায় কার সাধ্যি। কোনও ছক কষে নয়, বরং ভ্রমণপিপাসু বাঙালি-র কাছে পুরী-দার্জিলিং বছরনামচার বাধ্যতামূলক অ্যাটেনডেন্স।

মানুষ প্রায়শই বলে থাকে, ‘আমাদের সময়’। এই ‘আমাদের সময়’ আসলে কী? অল্প বয়সের ভালো লাগা মনের ভেতর জমতে-জমতেই কি একদিন হয়ে ওঠে না ‘আমাদের সময়’! দেবাশিস-ও সেরকমই একজন চরিত্র, যার জীবনও আটকে আছে তার নিজস্ব ‘আমাদের সময়’-এ!

কবিতার প্রকাশভঙ্গিমাতেও যেমন, জীবনেও তিনি ছিলেন সবার থেকে আলাদা। যদিও দুর্বোধ্যতার অভিযোগ তাঁর কবিতার প্রতি বারংবার উঠেছে। উপেক্ষিত হয়েছে তাঁর কবিতার অন্তর্দর্শন। এই পর্বে বিনয় মজুমদারের কবিতা।

রোমে এক গানের জলসায় ফ্যানরা এমন লাফালাফি করলেন, মৃদু ভূমিকম্প হল। এ জিনিস প্রায়ই ঘটছে। এমন দিন দূরে নয়, যখন গায়কদের মাপা হবে, তাঁদের ফ্যানরা কটা ভূমিকম্পের জন্ম দিয়েছে সেই হিসেবে। তাতে ছাদ ভেঙে মানুষ মরব, কিন্তু টিআরপি বাড়বে।
ভ্রমণের দীর্ঘতা নয়, বরং তার বিচিত্র সব অভিজ্ঞতাই স্মৃতিতে থেকে যায়। মাত্র তিন দিনের ছোট্ট ট্যুর, কুরান্ডার জঙ্গল থেকে গ্রেট ব্যারিয়র রিফ— সেই কথাই আবারও মনে করিয়ে দিল।

মধ্যপ্রদেশের কয়েকটা ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেল, জনজাতির মানুষকে অকথ্য অত্যাচার করা হচ্ছে। এই অত্যাচার মোবাইলে রেকর্ড করলেও কেউ বিচলিত নয়। আবার, চূড়ান্ত অপমানিত জনজাতির মানুষ বলছেন, উচ্চবর্ণের মানুষকে তার এই সামান্য ভুলের জন্য ক্ষমা করতে বলছেন।

২০০৫ সালে ব্যাঙ্গালোরে বসে লেখা এই গান। কলকাতার প্রতি, নিজের শহরের টান, এই গানের মধ্যে ফুটে ওঠে। আর ফুটে ওঠে মায়ের কাছে ফেরার বাসনা। কোথাও একটু অভিমানও হয়তো-বা। ২০১৮ সালে সৃজিত মুখার্জি তাঁর ‘উমা’ ছবিতে এই গানটি ব্যবহার করেন।
তাঁর লেখায় দৈনন্দিন আটপৌরে দৃশ্যকল্প থেকেই আমরা চিনতে শিখি এই শহর, এই সমাজ আর তার অন্তর্নিহিত রাজনীতিকে। প্রচারের আলোর বাইরে থাকলেও তাই অচ্যুত মণ্ডলের কবিতা সিরিয়াস পাঠকের কাছে সাদরে সমাদৃত।

অনেক সময় গরিবের এক-একটা অভ্যাসকে তুলে নিয়ে ফ্যাশনে বসালে, তা হয়ে ওঠে নতুন হুজুগ । চিনে মাঝিরা খাবার না পেয়ে নদীর নুড়ি চুষতেন, তা হালে চিনের এক জনপ্রিয় খাবার। তবে, দরিদ্রদের ব্যাপারটা থেকে নিলেও, ইতিহাসটা কদিন পর খসে যায়, ফ্যাশনটাই শুধু থাকে।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.