চিত্রকলা

দেবাশীষ দেব

শিল্পী সত্যজিৎ

‘…সত্যজিতের শতবর্ষে এটা অবশ্যই মনে রাখা দরকার যে, ভারতবর্ষের গ্রাফিক ডিজাইনের জগতে দীর্ঘদিন পরিশ্রম করে সম্পূর্ণ একা হাতে সত্যজিৎ যে অভাবনীয় একটা উত্তরণ ঘটিয়ে গেছেন, তার কোনও তুলনা আজও খুঁজে পাওয়া অসম্ভব।’ শিল্পীর চোখে পরিচালকের শিল্পসত্তা।

গণেশ হালুই

যে পথ ধরে

‘…অবনীন্দ্রনাথ হলেন বেঙ্গল স্কুল অব আর্ট-এর জনক। পরে যাঁরা এসেছেন, বা আমরা যারা এসেছি, তাঁরা সবাই এক অর্থে তাঁর সন্তান। সন্তানদের মধ্যে পিতার অনেক ছাপ থাকে। হাবভাব-ব্যবহারে মিল থাকে। কিন্তু ভাবনাচিন্তার ধরন ও তা প্রকাশের ভঙ্গি অন্যরকম হয়।’ প্রাসঙ্গিক অবনীন্দ্রনাথ।

জয়ন্ত সেনগুপ্ত

আমার অবন

‘…ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের নিজস্ব সংগ্রহে রয়েছে তরুণ অবনীন্দ্রনাথের – সতেরো-আঠারো থেকে শুরু করে তেইশ-চব্বিশ বছর বয়স অবধি – আঁকা পঞ্চাশটির বেশি ছবি, আর সেখানে সংরক্ষিত রবীন্দ্রভারতী সোসাইটির সংগ্রহে এক পরিব্যাপ্ত সম্ভার, অর্থাৎ প্রায় সাড়ে পাঁচশো ছবি, যার সৃষ্টিকাল ১৮৯০ থেকে শুরু করে প্রায় তার পর অর্ধশতাব্দী জুড়ে।’ শিল্প সংগ্রহে অবনীন্দ্রনাথ।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

জলে ধোওয়া সময়ের স্মৃতি

‘অবনীন্দ্রনাথের ব্যবহৃত সরঞ্জামের ভিতর জাপানি তুলি দেখে ধারণা হয়, তিনি জাপানের তুলি ব্যবহার করতেন। ১৯২০ সালের মাঝামাঝি অবনীন্দ্রনাথের আঁকা গাছের ডালে বসা পাখি আর চাঁদের ছবি একেবারে জাপানি ছবি বলে ভুল হতে পারে।’ অবনীন্দ্রনাথের ছবিতে জাপানি প্রভাব।

অমিতাভ পুরকায়স্থ

জননায়ক কালকেতু

‘…অবনীন্দ্রনাথ যে চণ্ডীমঙ্গলকে বিষয় হিসেবে বেছে নেন, তার আরেকটি কারণ ধরা পড়ে সে সময়ের জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপট থেকে। তখন জাতীয় রাজনীতিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অংশীদারি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছিল।’ মঙ্গলকাব্যে অবনীন্দ্রনাথ।

সুজান মুখার্জি

মূর্তি ভাঙার অর্থ কী?

‘…মনে রাখতে হবে যে, যখন কোন স্ট্যাচুকে আক্রমণ করা হয়, সেটা শুধুমাত্র ইতিহাসকে লক্ষ্য করে তা নয়। তার মধ্যে লুকিয়ে আছে সেই শহরের অধিকারের ওপর বিক্ষিপ্ত মানুষদের দাবি।’ মূর্তি গড়া-ভাঙার সেকাল-একাল।

পৃথ্বী বসু

ওয়ার্ডটুন

‘অবাক লাগলেও একথা না মেনে উপায় নেই, যে কোনও শব্দকে তারই অনুষঙ্গে ছবিতে বদলে ফেলতে চিত্রশিল্পী শুভেন্দু সরকারের সময় লাগে গড়ে পাঁচ মিনিট থেকে সাত মিনিট। আর এ এমনই এক পদ্ধতি, যা শুভেন্দুরই মস্তিষ্কপ্রসূত। ছবি আঁকার এই পদ্ধতির নাম তিনি রেখেছেন ‘ওয়ার্ডটুন’।’ ছবির ম্যাজিক।

অর্ক দাশ (Arka Das)

উল্কিতে যামিনী রায়, নন্দলাল!

পিঠ জুড়ে আলপনা, হাত পেঁচিয়ে সরা বা কাঠখোদাইয়ের নকশা, কালীঘাটের পটচিত্র অনুসারে দুর্গা-গণেশ-সরস্বতী এবং যামিনী রায় বা নন্দলাল বসুর বিখ্যাত কাজ — কলকাতা থেকে জার্মানির মানহেইমে ট্যাটুশিল্পী অভিনন্দন বসুর অসামান্য উল্কির জয়জয়কার।

অদীপ দত্ত (Adip Dutta)

গন্ধর্বের খোঁজে

‘বস্তুর দিক থেকে, এই দুই বিশালাকার ফিগার রামকিঙ্করের পূর্ববর্তী কাজের চেয়ে একেবারেই আলাদা। রামকিঙ্কর এতদিন কাজ করেছেন কংক্রিটে, কিন্তু এই দুটি কাজ ছিল পাথরের। আঙ্গিকের দিক থেকে না হলেও, বস্তু এবং তার গাত্রত্বক-এর বিন্যাসে কাজদুটি রামকিঙ্করের বাকি ভাস্কর্যের তুলনায় দৃশ্যত পৃথক হয়ে উঠেছিল।’ রামকিঙ্করের ‘যক্ষ-যক্ষী’।

ঋষি বড়ুয়া

রবীন্দ্রনাথ ও রামকিঙ্কর

‘একদিন ওই মূর্তিটা চোখে পড়াতে, নন্দলালের কাছে জানতে পারলেন যে ওটা কিঙ্করের করা। পরের দিন তলব হল— গুরুদেব ডেকেছেন। বকুনি খাওয়ার আশঙ্কায় ভয়ে-ভয়ে হাজির হলেন। বকুনি দূরের কথা— আদেশ দিলেন, আশ্রম ভরিয়ে দিতে হবে ওই রকম বড়-বড় মূর্তি দিয়ে!’ রবীন্দ্রনাথ-রামকিঙ্কর প্রসঙ্গ।

সৌরভ রায়চৌধুরী

কাঁচা মাটির গন্ধ

‘আমরা তখন অ্যান্ড্রুজ পল্লীর বাড়িতে প্রথম এসেছি। কিঙ্করদা আমাদের ঠিকানা জানেন না, উনি একটা রিকশা চড়ে প্রতিটি বাড়ির সামনে হাঁক দিচ্ছেন: ‘শর্বরী, শর্বরী!’… আরও একবার ভরদুপুরে একটা এঁচোড় নিয়ে হাজির, সঙ্গে ছিলেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়।’ স্মৃতিতে রামকিঙ্কর।

অর্ক দাশ (Arka Das)

ইতিহাসের পুনর্নির্মাণ

‘আধুনিক ভারতের অন্যতম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ধারার যে মূলত পুরুষকেন্দ্রিক ইতিহাস, তার একটি সমান্তরাল ইতিহাসস্থাপন আমরা …এই বইতে পাই।’ ডক্টর অপর্ণা রায় বালিগার ‘ট্রান্সেন্ডিং দ্য গ্লাস কেস’-এর একটি সমালোচনা।