
ডেটলাইন : পর্ব ১৮
‘সেন্ট লুসিয়া কিন্তু আক্ষরিক অর্থে আগ্নেয়গিরির শিখরে পিকনিক। এই দ্বীপের জন্ম আগ্নেয়গিরির উদগীরণ থেকে।’
‘সেন্ট লুসিয়া কিন্তু আক্ষরিক অর্থে আগ্নেয়গিরির শিখরে পিকনিক। এই দ্বীপের জন্ম আগ্নেয়গিরির উদগীরণ থেকে।’
‘চ্যালেঞ্জিং মানে কি সবসময় যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে রিপোর্টিং? তা তো নয়। শুনতে নিরীহ মনে হলেও এক-একটা অ্যাসাইনমেন্ট ঘাম ঝরিয়ে দেয়।’
‘সত্যিই নেভিসে একবার এসেছিলেন ডায়না। দুই ছেলেকে নিয়ে সাঁতারও কেটেছিলেন। সৈকতে তাঁদের বন্দি করেছিল পাপারাৎজিদের লেন্স। ডায়নার আগুনে কমলা বিকিনি আর সানগ্লাস পাগল করে দিয়েছিল বিশ্বজোড়া ফ্যানেদের।’
‘সাক্ষাৎকার পর্ব শেষ হতে প্লেন ধরার তাড়ার মাঝেই নিপাট মধ্যবিত্ত ভদ্রলোকের মতো অনুরোধ করলেন ভিভ, ‘কত দূরের দেশ থেকে এসেছ তোমরা। মাই ফেভারিট প্লেস অন আর্থ, ইন্ডিয়া। প্লিজ বাড়িতে যেও।… ’
‘সাগরপাড়েই রয়েছে কলম্বাস পার্ক ওপেন এয়ার মিউজিয়াম। এখানে সাজানো ওই নোঙরটা কি সত্যিই কলম্বাসের? ভাবলাম, কলকাতার জাদুঘরে যদি মিশরের মমি থাকতে পারে, তাহলে ডিসকভারি বে-তে কলম্বাসের নোঙর তো অবিশ্বাস্য কিছু নয়!’
‘হ্যারি বেলাফন্টের সেই জাদু-গান জামাইকা ফেয়ারওয়েল সমানে পাক খাচ্ছিল মাথার ভেতর। এই সেই কিংস্টন টাউন বব মার্লে, ব্লু মাউন্টেনস, কফি আর রামের দেশ জামাইকার রাজধানী কিংস্টন!’
‘যখন ২০২৪-এর এপ্রিলে আবার দাঁড়ালাম রাজপ্রাসাদের গেটে, বুঝলাম এতটুকু ফিকে হয়নি ডায়না-ম্যানিয়া। হঠাৎ ভিড়ের মধ্যে গুঞ্জন, ক্যামিলা (‘কুইন’ কথাটা কিন্তু বলল না কেউ) আসছেন।’
জানুয়ারির বরফমোড়া সেই লন্ডন সফর, সংক্ষিপ্ত হলেও আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছিল, নার্ভাস ভাবটাও কিছুটা কেটে গেছিল। সে বড় সুখের সময়, তখন কলকাতা আন্তর্জাতিক উড়ান মানচিত্রে এতটা ব্রাত্য ছিল না।
‘এই মিউজিয়ামের যে-ব্যাপারটা আমাকে বেশি ভাবাল, তা হল এর চরিত্র। স্থানীয় প্রত্নসামগ্রীতে ভরা। যেহেতু এই এলাকা খুবই প্রাচীন, তাই অনেক ফসিল রয়েছে। কিছু প্রাগৈতিহাসিক ধরনের জিনিসপত্র দেখে প্রশ্ন করতে যে-উত্তরটা পেলাম, তাতে হাঁ হয়ে গেলাম।’
‘মধ্যযুগীয় স্যাঁতসেতে প্রায়ান্ধকার একতলা বাড়িটাতে ঢুকলে গা ছমছম করে, তার ওপর ওইটুকু জায়গায় যা সব জিনিসপত্র সাজানো, বা বলা ভাল ছড়ানো, মড়ার খুলি থেকে মরক্কো চামড়ার কার্পেট, স্টাফড পশু থেকে বিচিত্র রঙের পাথরের মালা, মনে হবে দম বন্ধ হয়ে আসছে।’
‘খুব পুরনো গির্জা পেরিয়ে ডানদিকে একটা গলি। চিনতে অসুবিধা হবে না, মুখেই পাঁচিলের গায়ে লেখা— হ্যাম্পস্টেড স্কোয়্যার এন ডব্লিউ থ্রি। বুকের ধুকপুক বেড়ে গেছে। শেষপর্যন্ত তাহলে আমরা পৌঁছতে পারলাম সেই তীর্থে!’
‘কতজন বিশ্বাস করবেন জানি না, আমি কয়েকটা দাঁত পেয়েছিলাম বৃষ্টিভেজা মাটিতে। মানুষের দাঁত। হাতে করে নিয়ে গিয়ে দেখিয়েছিলাম ওদের অফিসে। বিশেষ পাত্তা দেয়নি। বলল, ওরকম দাঁত বা হাড়ের টুকরো নাকি বৃষ্টি হলে মাঝে মাঝেই উঠে আসে জমির ওপর।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.