Dateline Episode 13 by Tapashree Gupta a Travelogue of London

ডেটলাইন : পর্ব ১৩

‘যখন ২০২৪-এর এপ্রিলে আবার দাঁড়ালাম রাজপ্রাসাদের গেটে, বুঝলাম এতটুকু ফিকে হয়নি ডায়না-ম্যানিয়া। হঠাৎ ভিড়ের মধ্যে গুঞ্জন, ক্যামিলা (‘কুইন’ কথাটা কিন্তু বলল না কেউ) আসছেন।’

ডেটলাইন : পর্ব ১১

‘এই মিউজিয়ামের যে-ব্যাপারটা আমাকে বেশি ভাবাল, তা হল এর চরিত্র। স্থানীয় প্রত্নসামগ্রীতে ভরা। যেহেতু এই এলাকা খুবই প্রাচীন, তাই অনেক ফসিল রয়েছে। কিছু প্রাগৈতিহাসিক ধরনের জিনিসপত্র দেখে প্রশ্ন করতে যে-উত্তরটা পেলাম, তাতে হাঁ হয়ে গেলাম।’

ডেটলাইন : পর্ব ১০

‘মধ্যযুগীয় স্যাঁতসেতে প্রায়ান্ধকার একতলা বাড়িটাতে ঢুকলে গা ছমছম করে, তার ওপর ওইটুকু জায়গায় যা সব জিনিসপত্র সাজানো, বা বলা ভাল ছড়ানো, মড়ার খুলি থেকে মরক্কো চামড়ার কার্পেট, স্টাফড পশু থেকে বিচিত্র রঙের পাথরের মালা, মনে হবে দম বন্ধ হয়ে আসছে।’

ডেটলাইন : পর্ব ৯

‘খুব পুরনো গির্জা পেরিয়ে ডানদিকে একটা গলি। চিনতে অসুবিধা হবে না, মুখেই পাঁচিলের গায়ে লেখা— হ্যাম্পস্টেড স্কোয়্যার এন ডব্লিউ থ্রি। বুকের ধুকপুক বেড়ে গেছে। শেষপর্যন্ত তাহলে আমরা পৌঁছতে পারলাম সেই তীর্থে!’

ডেটলাইন : পর্ব ৮

‘কতজন বিশ্বাস করবেন জানি না, আমি কয়েকটা দাঁত পেয়েছিলাম বৃষ্টিভেজা মাটিতে। মানুষের দাঁত। হাতে করে নিয়ে গিয়ে দেখিয়েছিলাম ওদের অফিসে। বিশেষ পাত্তা দেয়নি। বলল, ওরকম দাঁত বা হাড়ের টুকরো নাকি বৃষ্টি হলে মাঝে মাঝেই উঠে আসে জমির ওপর।’

ডেটলাইন : পর্ব ৭

‘কোনও মহিলার হ্যান্ডব্যাগ এভাবে খুলতে পারে কেউ দেখিনি আগে। এদিকে আমার তো আত্মারাম খাঁচাছাড়া, ভেতরের চেনে একটা খামে রাখা আছে ডলার। অত ধৈর্য অবশ্য নেই দেখলাম পুলিশের। যে-ছোট চেনটায় টাকাপয়সা থাকে, সেটা খুলে সব রাখল টেবিলের ওপর।’

ডেটলাইন : পর্ব ৬

‘আঙ্কর ভাটের দেবদাসী অবশ্য আদৌ সুন্দরী নন, এই সকালেই বেশ নেশাগ্রস্ত এবং তাঁর শরীরের আন্দোলনকে আর যাই বলা যাক, নাচ বলা ঠিক নয়। চারপাশে শ্বেতাঙ্গ ট্যুরিস্টদের ‘ওয়াও’ শুনে, অসংখ্য ক্যামেরার ক্লিক-ক্লিক শব্দে আরও উৎসাহ পেয়ে গেলেন মাঝবয়সি মহিলা।’

ডেটলাইন : পর্ব ৫

‘প্রাণ থাকে কি না সন্দেহ। মর্টারের আঘাতে প্রাচীন বাড়ির কোনদিক ধুসে পড়বে কেউ বলতে পারে? গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কাঁপছে সবাই। কথা বলার শক্তিও নেই। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছি আমরা ক’টি প্রাণী, পরস্পরের দিকে।’