শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৩

‘এই গ্রামে যে-পাহাড়, সে কোন উপকথার নাতি/ যে-মেঘ আসে প্রান্তরে, কোন সমীকরণ শোনায়/
সান্ধ্য জমায়েতের মাথায় ঠান্ডা সড়কবাতি/ বাকিটা যাক কোলাহলে এবং আবর্জনায়।/ সরে দাঁড়াও। ঘর ভাঙো। তার জানলা খুলে ওড়াও/বাতাস কেবল ছুড়ো না ওই ক্ষুধার্তদের দিকে…’ নতুন কবিতা।

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ৩

কবিতা কখন কীভাবে আসে, তা আগে থেকে কেউ বলতে পারে না। কারণ কবিতা তৈরি করা করা খুবই শক্ত! অনেক সময়ে দিনের পর দিন খাতা খালি থেকে যায়, আবার অনেক সময়ে তা তোড়ের মতো আসতে থাকে। আগল খোলার অপেক্ষা কেবল। ‘বান্ধবীগাছ’ও লেখা হয়েছিল সেইরকমই একটা ঘোরের মধ্যে।

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ৩

‘সুযোগ পেয়েছি যখন, প্রণামের লোভ ছাড়ব না। পায়ে হাত ঠেকাতেই মাথায় পেলাম ওঁর হাতের স্পর্শ। সোজা হয়ে উঠে দাঁড়াতে আমার কাঁধে রাখলেন একখানা হাত। বললেন, ‘তোমার লেখা তো পড়েছি আমি। কখনও বাড়িতে এসো।’ এই বলে অতি মৃদু হাসলেন।’ শঙ্খ ঘোষের সান্নিধ্য।

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ২

কফি তো শুধুমাত্র কোনও নেশার বস্তু নয়, তা এক ধরনের জীবনযাপনও বটে! জীবনের নানান মুহূর্তের সঙ্গী যেখানে কফি, লেখাতেও বারে বারে তার অনুষঙ্গ উঠে আসবে এ আর আশ্চর্য কী! এই পর্বে রইল স্বয়ং কবির কণ্ঠে কফির গন্ধমাখা একগুচ্ছ কবিতা।

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ২

‘আরতি। প্রার্থনাগান। সংখ্যা নিয়ে জড়ো হয় লোকে।/ বিষের অমৃত ছোটে রোম থেকে বারাণসী, কাবা…/মানুষ আতর মাখে। কুকুর গায়ের গন্ধ শোঁকে।/ সেই একই ঘুঁটি দিয়ে একই চালে খেলা হচ্ছে দাবা।’ নতুন কবিতা।

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ৩

বাংলায় যে কয়েকটা কবিতা আজ প্রবাদে পরিণত হয়েছে, তার একটা হল ‘ফুল ফুটুক, না ফুটুক’। এক আশ্চর্য বোধে, জীবনে উজ্জীবিত সেই কবির নাম সুভাষ মুখোপাধ্যায়। আমরা যতটা জল-আলো-হাওয়ার কাছে ঋণী, বাংলা কবিতারও তাঁর কাছে ঠিক ততটাই ঋণ।

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ২

‘বুড়ি পোড়ানোয় আমাদের অতিরিক্ত আনন্দ ছিল সেই আগুনে আলু পুড়িয়ে, আচ্ছা করে জম্পেশ মেখে সেটাকে খাওয়া। তাই এত আয়োজন। কিন্তু সেই সন্ধের মুখে হবে বুড়ি পোড়ানো, তার জন্য দুপুর থেকেই আমাদের লেগে পড়তে হত কাজে।’ শৈশবের ন্যাড়া পোড়ার স্মৃতি।

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ১

কবিতা উপভোগ বহু রকম হয়, পাঠকের নিজের মনে পড়া, আবৃত্তিকারের মুখে শোনা, কবির স্বকণ্ঠে শোনা। শেষ রকমটায় সম্মোহন সবচেয়ে বেশি, কারণ এতে বোঝা যায় কবি কেমন ভাবে দেখতে চেয়েছেন কবিতাটাকে, আবার থাকে তাঁর নিজস্ব স্বর ও উচ্চারণ।

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১

‘পালাতে পালাতে শেষে বর্গি ঢুকে এল দেশে/ তারপর জুড়িয়ে গেল পাড়া…/ মানুষ ঘুমোতে চায়। প্রতি রাতে ঘুমপাড়ানি শোনে।/ শান্ত এই পৃথিবীর অন্তহীন বসন্তের বনে/ কী আর উপায় আছে, প্রেমের কবিতা লেখা ছাড়া?’ নতুন একগুচ্ছ কবিতা, নতুন কলাম।

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ২

ওরে আমার বাঁদর নাচন আদর গেলা কোঁতকা রে, অন্ধ বনের গন্ধ গোকুল ওরে আমার হোঁতকা রে…এর পরে আনন্দ আর হাসির ফোয়ারা, খিলখিল সময় বেশ কিছু ক্ষণ। আর ঘুরতে ফিরতে যখনই মনে পড়বে ভুসভুসিয়ে হাসি উঠে আসবে আপনাআপনি। সেটাই তো ম্যাজিক।

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ১

‘সরস্বতী যে আলাদা রকম পুজো চান, বসন্তই সে-কথা বুঝিয়ে দিত বরাবর। ওই সাহসী বাতাসের চুল ওড়ানো বিলাসিতায়, ওই রোদ্দুরের কাঁচা গন্ধে মাতোয়ারা সকালে পুজো কি কেবল পুজো হয়েই থাকতে পারে?’ নতুন কলাম।

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১

কিছু কিছু নাম আছে, যা নানা অছিলায় উচ্চারণ করতে ভাল লাগে। যাঁরা কবিতা লেখেন বা পড়েন, তাঁদের কাছে শক্তি চট্টোপাধ্যায় এমনই একটি নাম। দিনের মধ্যে কতবার যে তাঁর নানা কবিতার লাইনের কাছে মুগ্ধ হয়ে ঘুরেফিরে আসা, তার ইয়ত্তা নেই।