Article on re-release of retro hit and cult movies written by Santanu Chakrabarty.

‘ইয়াদোঁ কি বরাত’

‘ট্রেড-বিশ্লেষক, পণ্ডিতরা, মাল্টিপ্লেক্স চেইনের মালিকপক্ষ বলছেন, নস্টালজিয়া! নস্টালজিয়া! জিয়া নস্টাল, হিয়া টুপটাপ— স্মৃতিমেদুরতার বানভাসিরাই নাকি রি-রিলিজের লাইফবোটে ভিড় জমাচ্ছেন!’

সিনেমার ভাইবোন আসলে সত্যি

নীতা তার শ্রম দিয়ে একদা শঙ্করের স্বপ্নকে আগলে রেখেছিল। ভারত-বিখ্যাত গায়ক হয়ে ফিরে আসা শঙ্করও অসুস্থ বোনকে শিলং পাহাড়ে যক্ষ্মা রোগীদের স্যানেটোরিয়ামে নিয়ে যায়। এখানে বোনের প্রতি ভালবাসা ও কর্তব্যের পাশাপাশি কোথাও হয়তো ঋণশোধের একটা জায়গাও ছিল।

পরিমিতির শৈলী

‘গত বছরেই ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা-র রেপার্টরি ‘তমস’ নিয়ে নাট্যপ্রযোজনার কথা ভেবেছিল; তখনও হিন্দুত্ববাদীদের তরফে সেই পুরনো অভিযোগ উঠেছিল— সাহনি বামপন্থী, সুতরাং নিরপেক্ষ নন। তাই তাঁর সাহিত্য থেকে কোনও প্রযোজনা করা চলবে না, করা যায়ওনি।’

আঞ্চলিকতার ময়দানে পথহারা ফুটবল

‘গোটা ছবিতে রহিমসাহেব সারাক্ষণ একটা বিছিন্ন দ্বীপের মতো একলা জেগে রইলেন। একা-একাই ভাবলেন, একা-একাই সইলেন! কখনওই টিমের সঙ্গে তাঁর আত্মার যোগটা খুঁজে পাওয়া গেল না।’

কুমার সাহনি : এক বিরল উত্তরাধিকার

‘ফর্ম নিয়ে ভাঙচুর ‘তরঙ্গ’ ছবিতে নেই। এটা আপাতভাবে প্রথামাফিক সোজাসাপটা নিটোল টানা ন্যারেটিভের ছবি। এমনকী গানের দৃশ্যও আছে কয়েকটা। কিন্তু তারপরেও আজীবন মার্কসবাদী কুমার ‘তরঙ্গ’-এ একটা ডায়ালেকটিক্স-এর খেলা খেলেছেন।’

ছোটলোকের বিটি লো!

‘‘দহাড়’ বা ‘কাঠাল’-এর অঞ্জলি বা মহিমা কোনও আগমার্কা ‘অ্যাক্টিভিস্ট’ বা সমাজ-সংস্কারক নয়। ‘ভিড়’-এর সুজয় সিং টিকাস-ও নয়। কিন্তু এরা সবাই মিলে একটা অন্য রকম ‘পুলিশের গপ্পো’ (যাকে ‘কপ-স্টোরি’ বললে একটু ছকে পড়ে যেতে হবে!) বলছে।’

বসন্তের মিতালি

‘দোলের দিনে হস্টেলের ঘরে স্বাধীন মেয়েদের নিজেদের একান্ত বসন্তোৎসব, একে-অন্যকে আবির মাখিয়ে মিষ্টিমুখ করানোর মতো এমন আধুনিক দৃশ্য এই ছবিটার আগে বাংলা সিনেমায় কখনও দেখা গেছে বলে মনে পড়ে না।’ ছবির মূল্যায়ন।

মূর্তিমান অপ্রত্যাশিত

‘তাঁর পুরু চশমার কাচের আড়ালে ঝকঝকে চোখদুটোয় একইসঙ্গে মেধা আর কৌতুকের ঝলক। দর্শকের সঙ্গে এই মেধাবী কৌতুকের খেলাটা গোদার চিরকালই খেলে গেছেন।’ গোদারের নিজস্বতা।

ছবির এ যৌবন

গত সত্তর বছর ধরে বাঙালি ‘‌সাড়ে চুয়াত্তর’‌ চুটিয়ে দেখেছে আর প্রাণভরে হেসেছে। ১৯৫৩-র ২০ ফেব্রুয়ারি যখন ছবিটা মুক্তি পাচ্ছে, তখন ছবির রোমান্টিক নায়ক উত্তমকুমারের ক্রেডিটে মাত্র দেড়খানা হিট!‌ কিন্তু এ ছবির সত্যিকারের নায়ক-নায়িক তুলসী চক্রবর্তী, মলিনা দেবী। যাঁদের দেখে এখনও বাঙালির আশ মেটে বা। এ ছবি কালজয়ী। সাড়ে চুয়াত্তর বাঙালি অস্তিত্বের স্বাক্ষর।

থালা-বাটি-সমাজ

‘‌পথের পাঁচালী’ থেকে ‘‌আগন্তুক’‌ অবধি সত্যজিতের লম্বা সিনে-সফরে খিদে, খাবার আর খাবারের রাজনীতিটা নানা ভাবে এ-কোণ সে-কোণ দিয়ে বারবারই ঢুকে পড়েছে। ‌সত্যজিৎ জানতেন, রান্নার ধরন, কী রান্না হচ্ছে, সেই রান্না করা খাবার কীভাবে পরিবেশন হচ্ছে, এবং বিভিন্ন চরিত্র সে খাবার কীভাবে খাচ্ছে, এ-ব্যাপারগুলো একটা গোটা অঞ্চল, সেই অঞ্চলের জীবন-যাপন-সংস্কৃতির পরিষ্কার ছবি তুলে ধরে।’ সত্যজিতের ছবিতে খাদ্য রাজনীতি ও সমাজ।

পঞ্চাশেও ব্যাটিং ধন্যি মেয়ের

‘‌শুধু হাফসেঞ্চুরি নয়— সিনেমা দেখানোর বাংলা চ্যানেলে টি আর পি-র হিসেবমতো এখনও ব্যাপক ‘‌ব্যাটিং’!‌ মানে অপরাজিত ৫০। ছবির কনটেন্ট ও গড়নে ফুটবলকে এতটা সম্পৃক্ত করে কোনও সিনেমা ‘‌ধন্যি মেয়ে’‌র আগে বা পরে বাংলায় তৈরি হয়নি।’‌ বাঙালির আবেগের সিনেমা।

কিছু দূরত্ব কিছু যুদ্ধ

‘‌বুদ্ধদেব এই লম্বা সময়টা জুড়ে যেন একটাই ছবি বানিয়ে গেছেন বিভিন্ন পর্বে। সিনেমার হাড়ে-মাংসে, মানে ফর্ম আর কনটেন্টে এভাবে আমূল পাল্টে যাওয়ারও অবশ্যই একটা দর্শন আছে। শুধুই প্রকৃতি, পরিবেশ, স্মৃতি আর প্রান্তিক জীবন দিয়ে যাকে ব্যাখ্যা করা যাবে না।’‌ চলচ্চিত্রের মূল্যায়ন।