
বাংলার নিজস্ব ‘ফাদার’
‘দুরন্ত মেধার সঙ্গে কৌতুক মিশে গেলে যা হয়, অচিরেই তিনি প্রিয় হয়ে ওঠেন সকলের। নিজেকে দেখিয়ে বলতেন, ‘আমি ফরসা নই- অ্যালবিনোস, যাকে সবাই সাদা খরগোশ বলে।’
‘দুরন্ত মেধার সঙ্গে কৌতুক মিশে গেলে যা হয়, অচিরেই তিনি প্রিয় হয়ে ওঠেন সকলের। নিজেকে দেখিয়ে বলতেন, ‘আমি ফরসা নই- অ্যালবিনোস, যাকে সবাই সাদা খরগোশ বলে।’
‘এক জীবনে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন পর্বের ঝিনিদের, তাই সে সরিয়ে রাখল দূরে। তার মনে পড়ল ছোটবেলায় পড়া একটা বইয়ের কথা। সে-বইটার গল্পের সঙ্গে ছাপা ছবিগুলো তার বাবারই আঁকা। একটা ছোট ছেলে; তার কাকা তাকে শেখাতে লাগল চাষবাস…’
‘তার মিয়াঁ একবার বলেছিল, সব আগুনই যে বাতাস পেয়ে জ্বলে, তা নয়; বুকের মধ্যে যে তোলপাড় সেই ধড়ফড়ানিতেও নাকি জ্বলে ওঠে; তার মনে হল, এই আগুনটাও সেরকমই কিছু ; এখনও যে আলোয় হয়ে আছে বাইরেটা, সে কি তার মনের মধ্যে জেগে ওঠা ওই ভয়ানক তোলপাড়ে”
‘শহুরে একটা ফ্ল্যাটের, একতলার ঘরে ঝিনি যেন ছুটে-ছুটে ছবি আঁকছে; ছোটবেলায় যেমন সে ছবি আঁকত কখনও মেঝেতে, কখনও দেওয়ালে, কখনও-বা বাবার বিছানায় রাখা তাকিয়ায়, কখনও আবার খালি গায়ে বসে থাকা বাবার লম্বা পিঠে।’
‘সেই প্রথম রুনা বুঝেছিল যে, সে আর ঝিনি— একে অপরের প্রাণের বন্ধু হলেও, আসলে কিন্তু তারা এক নয়। কেন যে এক নয়, পরে সেটা সে বুঝতে পারলেও একটা ব্যাপার কিন্তু আজও রুনা জানে না যে, ঝিনির মা কেন তাকে নিজের মেয়ের মতো টানতেন!’
‘ভূতেশ এখন বিশেষ ব্যস্ত, বাড়ির হাতায় একটা সান্ধ্য কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক খোলবার জন্য; সেই সঙ্গে একেবারে উঠে পড়ে লেগেছেন, বাড়ির থেকে মাইলখানেক দূরে পড়ে থাকা কিছু বাস্তুজমি উদ্ধার করে, সেখানেই একটা সবজিখামার বানাতে।’
‘ছোট-বড় অ্যালুমনিয়ম ট্রাঙ্ক ছাড়াও আরও একটা খালি ট্রাঙ্ক, সেখানে গিয়ে খোকার আঁকা নতুন ছবিগুলো রাখবার জন্য। যাবতীয় বিক্রিবাবদ সব টাকাটাই রণেন তার মায়ের হাতে তুলে দিলে, তখনই সে-টাকার গোছাটি না গুনেই মিতার হাতে দিয়ে দিলেন তরুলতা।’
‘সিমলায় এ-চাকরি নিলে মিতা নিশ্চিত যে, সেখানে গিয়ে তার সঙ্গে কখনওই থাকবে না রণেন। ফলে অনিবার্য হয়ে দাঁড়াবে তাদের বিচ্ছেদ, যা মিতা ভাবতেও পারে না। অন্যদিকে তার বাবা জানলে তো আনন্দে মেলা বসিয়ে দেবেন।’
‘ইতিমধ্যে মিতার বাবা প্রস্তাব দিলেন, মুরগি-পালনে সময় নষ্ট না করে দিল্লির সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউটে গিয়ে এমএড পড়বার। মিতাও নিমরাজি দেখে আবার চটল রণেন। রণেন বুঝতে পারল যে, বাবার সঙ্গে বিরোধ করে চলে এলেও দিল্লির বাপের বাড়িতেই তার মন পড়ে আছে।’
‘এমনিতে রণেন এত চিঠি লেখে যে, মিতাকে মাঝে-মাঝে লজ্জায় পড়ে যেতে হয়; ভাইবোনেদের তির্যক মন্তব্যে সে বুঝতেও পারে, সুযোগ পেলেই চিঠি খুলে তারা যে সেগুলো পড়ে; আবার আঠা লাগিয়ে বন্ধ করে মিতাকে দেয়; ফলে বাবার কানেও সবই যায়।’
‘বদ্রুনাথ জানতেও পারল না যে, কেন তিনি আজ তার নৌকোতে উঠেছিলেন। তরঙ্গনাথের মনে পড়ল যে, দস্যু রত্নাকরের পাপের ভাগও তো কেউ নেয়নি; তাঁর প্রতি চিরকৃতজ্ঞ বদ্রুনাথও বোধহয় ক্ষমা করতে পারবে না তাঁকে।’
‘ভূতেশ তার নিজের পড়ুয়া সত্তাটাকেই যেন দেখতে পায় মিতার মধ্যে। ভূতেশ বুঝতে পারে যে, মিতা তার দুই দিদি বা মায়ের মতো সুন্দরী না হলে ব্যক্তিত্বে বোধহয় সবাইকে ছাপিয়ে যাবে।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.