সামথিং সামথিং: পর্ব ১১

‘…এ আকাশ-পাঁইপাঁই সংবাদে তাই মৃদুহাস্যে হোয়াটসঅ্যাপ-চিত্রের প্রতীক্ষাই বিধেয়। মানুষ পপকর্ন খেতে খেতে ছায়াপথে রকেট-জগিং’এ গেলেও বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি লোক হাউহাউ করে মরে যাবে, না-গেলেও।’ চাঁদ বা ঝলসানো রুটি।

সামথিং সামথিং: পর্ব ১০

‘মঞ্চে বসে দু’কানকাটা কোশাকুশিতে গঙ্গোদকের ছিটে ছিটকে দিব্যি প্রেস-মিট উতরে যায়। ঝামেলা মুখপাত্রদেরও, স্টুডিওতে ঢুকেছেন সাড়ে সাতটায়, নিজের লোককে প্রশস্তি মাখিয়ে ও বিরোধী লোকের কাপড় খুলে দিয়ে সাতটা চল্লিশে বেরিয়ে দেখেন, দল পাল্টাপাল্টি হয়ে গেছে।’ বঙ্গ-রাজনীতির সার্কাস।

এক শালিক: পর্ব ৫

যাত্রা-পালা, থুড়ি, রিয়্যালিটি শো-এর মঞ্চে গরিবের টিআরপি বড়লোকের চেয়ে চিরকালই বেশি। কঠিন জীবনের মাঝেও অক্লান্ত সাধনার গল্প, করুণ মিউজিক, মাখো-মাখো আবহাওয়া, একটু কান্না- ব্যাস! কিন্তু আসল কথা হচ্ছে ফিকশনের কাছে নন-ফিকশনের হার।

সামথিং সামথিং: পর্ব ৯

‘ফাইনালে সবাই যখন ভাবছে, নাদালের সঙ্গে সেমিফাইনালে ওই বন্য মহিষের সংগ্রাম জকোভিচকে হা-ক্লান্ত করেছে এবং দু’সেট পিছিয়ে এমন প্রকাণ্ড টেনশনের ম্যাচ এমনিতেই কেহ জিততে পারে না, তখন তিনি বোধহয় মনের মিহি-মার্জিনেও সিঁদুরে মেঘ দেখতে পাননি।’ এ বছরের ফরাসি ওপেন।

কিছু মোলাকাত

‘একদিন বুদ্ধদেব তাঁর পরিচালিত ‘লাল দরজা’ ছবিটা দেখাবার জন্যে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গেলেন গোর্কি সদন-এ। আমি বসেছি ঠিক তাঁর সামনে। সে যে কী অস্বস্তি, এক পরিচালকের এতখানি কাছে বসে তাঁর ছবি দেখা। একবার হাই তুললে যদি উনি ক্ষুণ্ণ হন!’ বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর স্মৃতিচারণ।

সামথিং সামথিং: পর্ব ৮

‘একটা জানোয়ার, যে শুরু করেছিল অন্য সব্বার মতো স্রেফ খাদ্য অন্বেষণে দৈনিক হাওয়া-শোঁকাশুঁকি দিয়ে, সে গ্রহতারকার পাশ দিয়ে শাঁ করে বেরিয়ে যায়, আবার ঝামেলা হলে মহাকাশযানের ধারে পা রেখে মেরামত অবধি করে! এ প্রায় সুপার-একলব্যের মতো মার্কশিট।’ মানুষের বিবর্তন।

এক শালিক: পর্ব ৪

অনেকেই মনে করেন, এখন মানুষ জাতিটা যে এতটা অসহ্য হয়ে উঠেছে, তার প্রধানতম কারণ এই সোশ্যাল মিডিয়ার বিস্ফোরণ! সোশ্যাল মিডিয়াই শিখিয়েছে, জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত নথিবদ্ধ করে রাখা সকলের একমাত্র কর্তব্য। ‘প্রাইভেসি’ কথার অর্থ এখন, আমি Pry করব আর তুমি ভেসে যাবে!

সামথিং সামথিং: পর্ব ৭

করোনায় মৃত্যু হয়ে জলে ভাসছে এক-একটা লাশ। আর সেসব দেখছে ছানা-মাছ, বাবা-মাছ, মা-মাছ এবং তাদের আত্মীয়স্বজনরা। ছানার আনন্দ, কিন্তু বড়দের ভয়, যদি ওতে বিষ থাকে? সেই সূত্র ধরেই মাছেদের কথালাপ শুরু হয়। উঠে আসে মানুষের দেশ-কাল-সংস্কৃতির নানা ঘটনা।

সামথিং সামথিং: পর্ব ৬

‘একটা লোক যখন ভাবছে, আমার মৃত্যুর সম্ভাবনা আছে ঠিকই, কিন্তু তা স্বীকার করেই আমায় প্রিয় রাজনীতির দলটির প্রতি সমর্থন জানাতে হবে, বা আমার প্রিয় কবির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর শোকমিছিলে হাঁটতে হবে, তখনই কি সে বিশিষ্ট হয়ে উঠছে না?’ মৃত্যুভয় বনাম মতাদর্শ।

এক শালিক: পর্ব ৩

পাড়ায়-পাড়ায় ক’দিন পর থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু হবে, কো-ভ্যাকসিন একাদশ বনাম কোভিশিল্ড একাদশ। দুটো ভ্যাকসিন, যার কোনওটা সম্পর্কেই কারোর ধারণা নেই, অথচ দিয়ে বলা হচ্ছে ‘বেছে নাও’। এ কি নির্বাচনের স্বাধীনতা, না কনফিউশনের অত্যাচার?

অঙ্কুর ও আক্রোশ

দুটো সিনেমাই আসলে প্রতিবাদের ছবি। ‘অঙ্কুর’ প্রেমের ছবি হলেও একপক্ষ কীভাবে প্রেমের সহ-জ প্রতিজ্ঞার ভার বইতে পারল না, তাই নিয়ে গল্প। অন্যদিকে, ‘আক্রোশ’ রচনা করে এমন এক টুঁটি-মোচড়ানো পরিবেশ, যেখানে সকলেই নিশ্চিত, অন্যায় প্রতিকারহীন।

সামথিং সামথিং: পর্ব ৫

‘সংস্কৃতিমান বাংলায় এখন অশিক্ষা ও অভদ্রতার বাজার সাংঘাতিক, এবং ভোট-সম্ভাবনাও প্রকাণ্ড, অন্তত দলগুলোর তা-ই আন্দাজ, নইলে সমস্ত পার্টি তাদের পুরোভাগে মস্তানির দানবিক তর্জনী ডিসপ্লে করত না।’ দলীয় রাজনীতির নৃশংসতা।