সামথিং সামথিং: পর্ব ২৫

এক রুশ খবরকাগজের সম্পাদক (যাঁর কাগজ এখনও সরকারের কাছে বিকিয়ে যায়নি) বললেন, পুতিনের এই কাজের এক বিশ্রী ফল: এবার রাশিয়ানরা হয়ে উঠবে সারা পৃথিবীর কাছে ভিলেন। কিছু ভুল নয়, এভাবে সব রুশকে পুতিনপন্থী ভাবাও অন্যায়, কিন্তু এই হল যুদ্ধের বহুমুখো করাত। পুতিনের সাইডএফেক্ট।

এক শালিক: পর্ব ১৩

রাশিয়ায় এক আর্ট গ্যালারিতে এক প্রহরী একটা ছবিতে দুটো মুখে ছোট্ট চোখ এঁকে দিল। হুলুস্থুলু। সে বলল, কী করব, বোর লাগছিল। এই স্বীকারোক্তি এত সরল ও ভানহীন, চমক জাগায়। আর মনে হয়, একঘেয়েমি থেকেই কি নষ্টামির মতোই, সমস্ত শিল্প বা বিনোদনেরও জন্ম নয়?

সামথিং সামথিং: পর্ব ২৪

‘নির্জীব আগাছা-ল্যান্ডে একমাত্র পরিত্রাণ করতে পারত কৃষ্ণনগরের স্কুলে দুই শিক্ষকের পরস্পরকে হাঁইহাঁই পেটানোর ভাইরাল ভিডিও। একজন আরেকজনকে চড় কষাতেই আক্রান্তের তুরন্ত তেড়ে যাওয়া ও প্রায় ফাস্ট-ফরোয়ার্ডে ঝটিতি প্রতি-আক্রমণ। তারপর আবার প্রশ্ন ধেয়ে আসছে, আপনি তো হেডস্যার, আপনি গায়ে হাত দিলেন কেন? এই রে, ফের বৃত্ত সম্পূর্ণ। প্রায়-সুমন-ঘটনা। প্রবৃত্তির পানে ধাইব, না নিবৃত্তি?’

সামথিং সামথিং: পর্ব ২৩

‘কোটি কোটি শুয়োরকে মেরে ফেলা হচ্ছে বেকন সসেজ হ্যামের লোভে, আর মাত্তর হাজারখানেক শুয়োরকে মারা হচ্ছে তাদের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ তুলে মানুষের দেহে বসিয়ে বাঁচাবার চেষ্টায়। শুয়োরকে যদি হৃৎপিণ্ডের জন্য মারা না হত, মাংসপিণ্ডের জন্য তো হতই, আজ নয় কাল।’ শুয়োর হত্যা ও কয়েকটা প্রশ্ন।

এক শালিক: পর্ব ১২

দামি গাড়ি রোলস রয়েস-এর রেকর্ড বিক্রি হল গত বছর। সারা পৃথিবী যখন আর্তনাদ করছে আর খরচা কমাচ্ছে, তখন বড়লোকরা কোটি কোটি টাকা খরচা করে গাড়ি কিনছেন কেন? এতে কি ধনী ও দরিদ্রের মূল মনোভঙ্গির তফাত বোঝা যায়?

সামথিং সামথিং: পর্ব ২২

এ-গ্রহের অতি নির্বোধ লোকও মালুম পেয়েছে, কোভিড ধাঁ করে উবে যাবে না, একে সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে, একটু হাঁচো-কাশো, তারপর সাতদিন ঘরে কাটিয়ে ফের নাচো-হাসো, পরবর্তী সংক্রমণে ধুত্তোর বলে পুনরায় ঘরে ঢুকে পড়ো— এই প্যাটার্নই আগামীর থিম।

এ বছর কী কী ঘটবে

‘উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের গাদা-গাদা ব্রণ গজাবে মাস্কে, এবং এই মানবেতিহাসে প্রথম, কান থেকে সুতো ছিঁড়ে একটি জিনিস টান মেরে ফেলে দিলেই গুচ্ছের ব্রণদাগ নিমেষে হাপিস। আবার উল্টোও হবে, ছেলে কলেজ যাওয়ার কালে হাঁকবে, মা! আমার ব্রণভরা মাস্কটা ফেলে দিয়েছ না কি!’ আগামীতে যা ঘটবে।

এক শালিক: পর্ব ১১

মানুষ যখনই নিজেকে ভাবে স্বাধীন, ঠিক তখনই সে একটা ভাল জাতের শেকল এনে নিজেকে শক্তপোক্ত করে বেঁধে নেয়। শৈশবের পরাধীনতার দিকে তাকিয়ে সে যেমন আক্ষেপ করে সুখের দিন চলে গেল বলে, আবার নিজের রোজগারে লাগামছাড়া জীবন কাটালেও অস্বস্তি বোধ করে কেউ কিছু না বললে!

সামথিং সামথিং: পর্ব ২১

ইরানে বলা হচ্ছে, অন্য জন্তুর প্রতি ভালবাসা খরচা করে মানুষ তার হৃদয়স্থিত প্রেমের অপব্যবহার করছে, কারণ ওই শুদ্ধ আবেগ মানুষের আধারে প্রদত্ত হয়েছে তো পরিবারের অন্য সদস্যদের, গোষ্ঠীর অন্য মানুষের প্রতি ধাবিত হবে বলেই। তাই পোষ্য রাখার অভ্যাস ‘ক্ষতিকর সামাজিক সমস্যা’।

সামথিং সামথিং: পর্ব ২০

‘বিবাহ প্রাথমিক ভাবে যৌন চুক্তি, ফলে এক কুমার ও এক কুমারীর বিয়ে হবে, তারা প্রথম যৌনতার স্বাদ পাবে পরস্পরের কাছ থেকে, শয্যাতুলুনিতে রক্ত দেখে মেয়ের ব্যাপারটায় আত্মীয় ও প্রতিবেশীরাও নিশ্চিত হবে (কারণ তার সতীত্বই বেশি গুরুত্বপূর্ণ), এরপর বাচ্চা হবে এবং কোনও সন্দেহই থাকবে না এটি কার বাচ্চা।’ বিবাহের উদ্দেশ্য।

এক শালিক: পর্ব ১০

পাশ্চাত্যে বিভিন্ন দেশে চলছে কোভিড-বিধি-বিরোধী-আন্দোলন। ভ্যাকসিন নিতে আপত্তি, লকডাউনে আপত্তি, মাস্ক পরতে আপত্তি। ভারতে অনেকেই হয়তো কোভিড বিধি মানে না, কারণ অনুশাসনের ব্যাপারে তারা একটু উদাসীন টাইপের। কিন্তু ইউরোপ বা আমেরিকায়, এ হল ব্যক্তিস্বাধীনতার প্রকাশ। ভ্যাকসিন নিতে বাধ্য করা, তাদের মতে, মানবাধিকার লঙ্ঘন।

সামথিং সামথিং: পর্ব ১৯

‘ফ্রিডা বা জেডি, সবাই প্রণম্য স্মরণীয় ও ঝুঁকে পড়ে অনুধাবনীয়, কিন্তু ভারতের একটা জঙ্গলে রাতদুপুরে সন্তানের কঙ্কালের পাশে এলিয়ে পড়ে থাকা, পচা-গলা নারীর করোটি এঁদের (ও অন্য আরও বহু চিরজ্যোতির্ময়ের) শিল্পগুলোর দিকে এক নির্ভেজাল খ্যাঁকখ্যাঁক ছুড়ে দেয়, ক্রমাগত।’ শিল্প বনাম জীবন।