বিনিদ্র: পর্ব ৮

‘অনেক সময় গুরুকে দেখেছি জন্তু-জানোয়ার নিয়ে মাসের পর মাস মেতে থাকত। হঠাৎ, কোথাও কিছু নেই, একদিন গুরু বাড়িতে একটা কুকুর কোলে করে এসে হাজির। গীতাও অবাক, বাড়ির চাকর-ঝি দারোয়ানও অবাক।’ গুরু দত্তের খেয়াল।

বিনিদ্র: পর্ব ৭

‘মনে আছে তখন দুপুরবেলা। দুটো কি তিনটে বেজেছে। হঠাৎ বড়-বড় করে আওয়াজ হল। বাইরে চেয়ে দেখি বৃষ্টি পড়ছে। গুরুও চেয়ে দেখল, হ্যাঁ বৃষ্টি পড়ছে। গুরুর চোখে মুখে ছেলেমানুষের মতো আনন্দ ফুটে উঠল।’ গুরু দত্তের ছেলেমানুষি।

বিনিদ্র: পর্ব ৬

‘হয়তো কোনো ছুটির দিন সেটা। স্টুডিওতে কেউ নেই। ফাঁকা সব। কিন্তু আমরা দুজনে গিয়ে বসতাম সেই ঘরে। চারদিকে অসংখ্য বই আর ম্যাগাজিন। তখন গুরু আর আমি একাকার হয়ে যেতাম গল্পের জগতের মধ্যে!’ বন্ধুত্বের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত।

বিনিদ্র: পর্ব ৫

‘এখনও এক-একবার ভাবি লোনাভালায় সেই দেড় মাস কী আনন্দে কেটেছে। অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করার পর সবাই যখন বেলা দশটা-এগারোটা-বারোটা পর্যন্ত ঘুমোচ্ছে, আমি তখন আমার নিজের ঘরে বসে ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ লিখছি।’ লোনাভালার দিনযাপন।

বিনিদ্র: পর্ব ৪

‘গুরুর একটা ভালো গুণ ছিল— সে কখনও বেশি কথা বলত না। যখন অন্য লোক চুপ করে থাকত, সে-ও চুপ করে থাকত। অনেকক্ষণ চুপ করে থাকার পর হঠাৎ নিঃশব্দে কখন ঘর থেকে কাউকে না বলে চলে যেত।’ অন্য মেজাজের গুরু দত্ত।

বিনিদ্র: পর্ব ৩

‘গুরু বললে— আমাকে ‘সাহেব বিবি গোলাম’ ছবিটা করতে সবাই বারণ করেছে। এমনকী আমার স্ত্রী পর্যন্ত বারণ করেছে। কিন্তু আমি এ ছবি করবোই। আমি ভীষণ একগুঁয়ে মানুষ।… আমি কারো কথা শুনবো না। আমার নিজের মতেই আমি চলি।’ গুরু দত্তর মনমেজাজ।

বিনিদ্র : পর্ব ২

‘জীবনে নিজের লেখা সম্বন্ধে এত নিন্দে শুনেছি যে তা একসঙ্গে করলে তাও আর একটা ‘সাহেব বিবি গোলাম’ হয়ে যেত। কিন্তু সেদিন গুরু দত্ত যেসব কথা বলতে লাগল আর কারও কাছ থেকে তা শুনিনি।’ গুরু দত্তের সঙ্গে প্রথম আলাপ।

বিনিদ্র: পর্ব ১

‘এক-এক সময়ে ভাবি, গুরু দত্তের জীবনে কীসের অভাব ছিল? কেন সে এত অসুখী ছিল, কীসের তার এত যন্ত্রণা, কেন সে রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে কাটাত?’ গুরু দত্তের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্কের কথা, ধরা রয়েছে এই লেখায়।