আগ্নেয়গিরির কোলে
‘পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান’। সুপারহিট আমেরিকান ফিল্ম সিরিজ, ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারোর ভূমিকায়, দুরন্ত জনি ডেপ। একসময় সত্যিই ক্যারিবিয়ান সাগর শাসন করত জলদস্যুর দল। তাদের মধ্যে নাকি মহিলা দস্যুরাও ছিল। আঠারো শতকে তাদের রমরমার সময় ব্ল্যাক বিয়ার্ড, কিড, রবার্টসের নামে কাঁপত নাবিকেরা। সেন্ট লুসিয়া দ্বীপে এসে শুনলাম পাইরেটদের কীর্তিকাহিনি। এই দ্বীপে প্রথম বসতি গড়েছিল নাকি ফ্রাসোঁয়া নামের এক জলদস্যু। তাহলে পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান শুধু সমুদ্রের বুকে লুঠতরাজ, খুনজখম করত না, ডাঙার প্রতিও কিছু টান ছিল তাদের! অবশ্য সিনেমায় জনি যেভাবে অন্য একটা গ্যাং-এর অপহরণ করা গভর্নর-কন্যার প্রেমে পড়েছিল, তাতে আমরা বিশ্বাস করতে বাধ্য, জলদস্যুরা যতই নির্মম হোক, তারাও আসলে আমাদের মতোই রক্তমাংসের মানুষ।
জলদস্যুর হাতে পত্তনের গল্পটা কতটা সত্যি আর কতটা লোককথা, জানি না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্য দ্বীপ-দেশগুলোর মত এখানেও উপনিবেশ তৈরি করেছিল প্রথমে ফরাসি আর তারপর ব্রিটিশরা। আফ্রিকা থেকে প্রচুর ক্রীতদাস এনেছিল ইংরেজরা, আখের ক্ষেতে অমানুষিক খাটানোর জন্য। স্বাধীনতা পাওয়ার পর প্রকৃতিকে আঁকড়ে পর্যটন ব্যবসার রমরমা তো যে-কোনও ক্যারিবিয়ান দেশের চেনা ছবি। সেন্ট লুসিয়াও সেই পথে হেঁটেছে। এর সঙ্গে আর একটা এমন ব্যাপারে নাম করেছে সেন্ট লুসিয়া, যা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। সিটিজেনশিপ বাই ইনভেস্টমেন্ট প্রকল্প। আরও কয়েকটা ক্যারিবিয়ান দ্বীপেও এই স্কিম চালু আছে, কিন্তু সেন্ট লুসিয়ার নামডাক বেশি। এই দেশে বড় মাপের লগ্নি করলে, বিশাল সম্পত্তি কিনলে কিংবা সরকারি তহবিলে বড় ডোনেশন দিলে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। তবে শুধুমাত্র নির্জন সৈকত আর বিলাসী ছুটির ফাঁদে পা দিয়ে ধনকুবেররা ছুটে আসেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্যারিবিয়ান নাগরিক হতে, এত সহজ নয় বিষয়টা। বরং তাঁদের টানে ঢিলেঢালা কর ব্যবস্থা, সরল ব্যাঙ্কিং পরিষেবা আর ক্যারিবিয়ান পাসপোর্টে বহু দেশে বিনা ভিসায় সফরের সুবিধা।
আরও পড়ুন : নেভিসে লেডি ডায়নার সাঁতার বন্দি হয়েছিল পাপারাৎজিদের লেন্সে! ‘ডেটলাইন’-এর আগের পর্ব…
রডনি বে-র একটা রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি। কিছু বোঝা গেল শুনে? এ তো দিল্লি, লন্ডন, নিউ ইয়র্ক নয়। আগেই বলেছি, ক্যারিবিয়ান দেশগুলোকে যাহবা নামে চেনে মানুষ, তাদের শহরগুলোর নাম কেউ জানে না। সেন্ট লুসিয়া একটা পুঁচকে দেশ, তার রাজধানী ক্যাস্ট্রিস বলুন কি এই সৈকত-শহর রডনি বে, এক-একটা বিন্দু বলা চলে। লোকসংখ্যা এতই কম যে, ট্যুরিস্টরা না থাকলে মানুষের মুখ দেখার জন্য হাঁ করে দাঁড়িয়ে থাকতে হত দিনের এই ব্যস্ত সময়েও।
আমার এ-মুহূর্তে কোনও কাজ নেই হাতে, হোটেল থেকে বেরিয়ে একটু হেঁটে এসে চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলাম চার রাস্তার মোড়ে। ঝকঝকে মসৃণ রাজপথে দু-চারটে গাড়ি যাচ্ছে, ট্রাফিক না থাকলেও নিয়ম মেনে দাঁড়াচ্ছে সিগনালে। পিছনে কথার আওয়াজ শুনে ঘুরে তাকালাম। জনাচারেকের একটা পরিবার আসছে ফুটপাথ ধরে। ভারতীয় চেহারা দেখে তাকিয়েই রইলাম। কাছে এসে ভদ্রলোক ইংরেজিতে জিজ্ঞেস করলেন, ‘স্পাইস অফ ইন্ডিয়া রেস্তরাটা কোথায় বলতে পারেন?’ শতকরা একশো ভাগ কনফিডেন্সের সঙ্গে আমার জবাব, ‘ডানদিকে একটু এগিয়েই বাঁদিকের রাস্তা।’ কাল রাতেই খেয়েছি ওখানে। সেন্ট লুসিয়াতে এসে এই নিরামিষ ভারতীয় রেস্তরাঁয় না খাওয়াটা নাকি পাপের পর্যায়ে পড়ে, এমনটাই শুনেছিলাম। নান আর পনিরের পদ, মন্দ ছিল না স্বাদ, তবে রেস্তরাঁর সাজসজ্জা ভারি সুন্দর।
এই বিদেশ-বিভুঁইয়ে অপ্রত্যাশিতভাবে আর-এক ভারতীয়র সাক্ষাৎ পাওয়ার সম্ভাবনায় মনে হয়, ওঁদের কৌতূহল ধারালো হয়ে উঠেছিল। তাই একটু দাঁড়িয়ে গেলেন ওরা, এবার ভদ্রমহিলা প্রশ্ন করলেন, একসঙ্গে দুটো। ‘আপনি কি ভারতীয়? এখানে কতদিন আছেন?’ জবাবে ‘হ্যাঁ’ শোনার পরই উজ্জ্বল হয়ে উঠল বাবা-মা আর দুই কিশোরী মেয়ের মুখ। বললাম, ‘এই তো গতকাল এসেছি।’
এরপর ওঁদের সঙ্গে হেঁটে হেঁটে স্পাইস অফ ইন্ডিয়া পর্যন্ত গেলাম। খুব চাপাচাপি করলেন ওঁরা লাঞ্চ করার জন্য। আমি জানালাম, এখন খেতে বসলে আমার সহকর্মীরা ভাববে, আমি নির্ঘাত হারিয়ে গেছি। একগ্লাস করে ধাবা-মার্কা মোটা দুধ চা খেলাম সবাই মিলে। ওরা মারাঠি, চাকরির সূত্রে ত্রিনিদাদে থাকেন। ছুটিতে কয়েকটা দ্বীপে ঘুরছেন। এত আড্ডা হল যে, মনেই হচ্ছিল না, মাত্র মিনিট দশেকের আলাপ। এরকম আগেও হয়েছে। বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে আপনা থেকেই এসে যায় এই বোধ, আমরা প্রথমে ভারতীয়, তারপর বাঙালি কি মারাঠি কি তামিল।
ক্যারিবিয়ান যে ডিশটা সেন্ট লুসিয়াতে খুব জনপ্রিয়, সেটা যতদূর মনে পড়ছে সামুদ্রিক মাছ আর কাঁচকলা জাতীয় কিছু দিয়ে তৈরি গ্রেভি। মাছে-ভাতে বাঙালির রসনায় খুব একটা সুবিধের লাগেনি। শুধু সোনালি সৈকত নয়, রডনি বে বিখ্যাত তার নাইট লাইফের জন্য। সন্ধে হলেই ভোল পাল্টে যায় তার। শহর জুড়ে বার, পাব, ডিস্কো, নাইট ক্লাবের ছড়াছড়ি। আলো-আঁধারি নিশিনিলয়ে এই পৃথিবীর সব ইন্দ্রিয়সুখের আয়োজন। আকাশের তারার মতোই অন্ধকারে ফুটে ওঠে, সকাল হলেই ভ্যানিশ। দিনের আলোয় রডনি বে-র রাস্তায় ঘুরলে আপনার মনে হবে, ঘুমন্ত পুরী।
আগ্নেয়গিরির শিখরে পিকনিক— এই লাইনটা কিন্তু কোনও কবিতার নয়। বরং একটি প্রবন্ধের শিরোনাম। সম্ভবত ছয়ের দশকে অর্থনীতিবিদ অশোক রুদ্র এই নামে একটা প্রবন্ধ লিখেছিলেন, যার বিষয় ছিল বেহাল অর্থনীতি ও সরকারি উদাসীনতা। জনগণের ক্ষোভে দেশটা একটা আগ্নেয়গিরি হয়ে রয়েছে আর শাসক আনন্দে আছে। এই সেন্ট লুসিয়া কিন্তু আক্ষরিক অর্থে আগ্নেয়গিরির শিখরে পিকনিক। এই দ্বীপের জন্ম আগ্নেয়গিরির উদগীরণ থেকে। লাভা জমে তৈরি মাটি খুব উর্বর বলেই এমন সবুজ এই দ্বীপ। সেই আগ্নেয়গিরি আবার পুরোপুরি মরে যায়নি, বিশ্রাম নিচ্ছে, ডরম্যান্ট যাকে বলে। আমি ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলাম হোটেল ম্যানেজারকে, ‘শেষ কবে লাভা উদগীরণ হয়েছিল?’ জানা গেল, ১৭৬৬ সালে শেষবার জেগে উঠেছিল সুফ্রিয়ের ভলক্যানো, চলতি নাম সালফার স্প্রিংস। যাক বাবা, ২৪১ বছর পর নিশ্চয়ই আমাদের মত নিরীহ প্রাণীদের দেখে রেগে আগুন হবেন না ভলক্যানো বাবাজি! এখানে দরকার ছিল জটায়ুর, ফেলুদাকে হয়তো প্রশ্ন করতেন, ‘ডিটেকটিভ দেখলে কি চিত্তচাঞ্চল্য হতে পারে আগ্নেয়গিরির?’ তারপর লালমোহন গাঙ্গুলি লিখে ফেলতেন পরের উপন্যাস, ‘সেন্ট লুসিয়ায় শয়তানি’।
দুপুরবেলা ঠা ঠা রোদ মাথায় নামলাম সালফার স্প্রিংস-এর একেবারে সামনে। পৃথিবীর একমাত্র ড্রাইভ ইন ভলক্যানো, অত্যন্ত গর্বিত সুরে জানালেন গাড়ির চালক। ড্রাইভ ইন রেস্তরাঁ দেখেছি, মোটরেবল বিচ দেখেছি, কিন্তু বিশ্বের এই আশ্চর্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে একেবারে হতবাক হয়ে গেলাম।
রাজধানী ক্যাম্ব্রিস-এর যে কোনও জায়গায় পা রাখলেই কমবেশি সালফার অর্থাৎ গন্ধকের কটু গন্ধ নাকে আসবে। প্রথমে আমরা পাত্তা দিইনি। গাড়িতে মাত্র মিনিট চল্লিশেক দূর শুনে বুঝলাম, সত্যি আগ্নেয়গিরির একেবারে কোলে চড়ে বসে আছি। মনে মনে যত উত্তেজিত হই না কেন, এবার আর আমি প্রকাশ করছি না। দু’দিন আগেই সেন্ট কিটসের ঝামেলা ভুলিনি। সেই প্যাসিফিক-আটলান্টিক-ক্যারিবিয়ানের সঙ্গম দেখার স্বপ্নে বিভোর হয়ে স্টেডিয়ামে পিচের ওপর পা দিয়ে মারাত্মক বকুনি খাওয়া! সকাল সকাল ঘুরে এলাম ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট গ্রাউন্ড, আসন্ন বিশ্বকাপের ভেন্যু। ১৯৮৩ সালে জন্ম স্যামির, মানে ২০০৭-এ বয়স মাত্র ২৪। এই বয়সে কারও নামে এত বড় স্টেডিয়াম হয়? আমার এই ক্রিকেটীয় কৌতূহলে বেশ খুশি হলেন সিনিয়র সাংবাদিক। জানালেন, সেন্ট লুসিয়া থেকে প্রথম স্যামিই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে যান। এই ব্যাপারটাকে সম্মান জানাতেই তাঁর নামে স্টেডিয়াম। আহা রে! ভারতে এত ক্রিকেট প্রতিভা যে, কোনওদিন এরকম চান্স আসবে না কারওরই।
দুপুরবেলা ঠা ঠা রোদ মাথায় নামলাম সালফার স্প্রিংস-এর একেবারে সামনে। পৃথিবীর একমাত্র ড্রাইভ ইন ভলক্যানো, অত্যন্ত গর্বিত সুরে জানালেন গাড়ির চালক। ড্রাইভ ইন রেস্তরাঁ দেখেছি, মোটরেবল বিচ দেখেছি, কিন্তু বিশ্বের এই আশ্চর্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে একেবারে হতবাক হয়ে গেলাম। ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় যেমন সালফারের গন্ধ বেরয়, তাকে যদি কয়েক হাজার গুণ বাড়ানো যায়, তবে এই জায়গাটার সঙ্গে তুলনা চলে। এত বাষ্প আর গরম ভাপ উঠছে যে, রেলিং-এর এপারে দাঁড়িয়ে দু-এক মিনিটে মনে হবে, সনা বাথ নিলেন। গাইডের মুখে শুনলাম, যে এলাকা দিয়ে গাড়ি যাচ্ছে, সেটা আসলে ভলক্যানিক ডিপ্রেশনের ফলে তৈরি, যার বয়স ৩২,০০০ থেকে ৩৯,০০০ বছর। এর মাত্র দু’কিলোমিটার নিচেই রয়েছে হট চেম্বার। সেই তাপে ওপরের পাথর এমন গরম হয়ে থাকে যে, বৃষ্টির জল কিংবা ক্যারিবিয়ান সাগরের যে জল চুঁইয়ে ঢুকছে, তা ফুটতে শুরু করে। তৈরি হয় উষ্ণ প্রস্রবণ বা হট স্প্রিং। ৭০ থেকে ৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার সেই জল থেকেই সালফার স্প্রিংস পার্কে পর্যটকদের জন্য তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটা মাড পুল। পুরনো ব্যথা, বাত ছাড়াও বহু রোগ সেরে যায় এই পুলে স্নান করলে।
উষ্ণ প্রস্রবণের পুকুরের নাম, পুল অফ লাভ। সেখানে ন্যূনতম পোশাকে নামাটাই বিধান, যাতে সারা গায়ে ঠিকমতো লাগে কাদা-কাদা জল। ব্ল্যাক ওয়াটার পুল মাড বাথ। বছরে লাখদুয়েক ট্যুরিস্ট আসে শুধু এই স্বাস্থ্য-স্নানের টানে। চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রি তাপমাত্রায় মিনিট পনেরো-কুড়ির বেশি থাকা যায় না। আঁজলা ভরে খনিজ সম্পদে ভরা মিনারেল মাড নিয়ে মুখে-গায়ে মাখুন। রূপচর্চার মাস্কের মতোই শুকিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পাশেই রয়েছে শাওয়ার, স্নান করে নিলেই সাফ। খুব বেশি টাকা লাগে না। সব বয়সের লোক দলে দলে আসছে পার্কে। শুধু শরীর হালকা হয়ে যায় এই স্নানে, তাই নয়, মনটাও ফুরফুরে লাগে। মনে পড়ল, ছোটবেলায় বক্রেশ্বরে উষ্ণ প্রস্রবণে স্নান করেছিলাম। সেখানেও সালফারের গন্ধ ছিল।
আগ্নেয়গিরি দেখার উত্তেজনায় আর একটা দুর্ধর্ষ জিনিস মন দিয়ে দেখিইনি আসার পথে। যদিও চালক বারবার বলছিলেন, ‘উই আর ড্রাইভিং থ্রু আ ভেরিইইই ড্রামাটিক রোড’, কিন্তু খেয়াল করিনি সেভাবে। ফেরার পথে দেখে ভাবলাম, ‘কী হেরিলাম, জন্মজন্মান্তরেও ভুলিব না।’ মনে হবে, সাগরের নীল থেকে উঠে এসেছে জোড়া পাহাড়, এতই অলীক তারা, যেন ড্রইং খাতার পাতা জুড়ে আঁকা। আর ঘন সবুজে ছাওয়া তাদের গা। গ্রস পিটন আর পেটিট পিটন। ফরাসি ভাষায় পিটন মানে, পাহাড়চুড়ো। বেশি উঁচু না, আড়াই হাজার ফিট মতো হবে। বহু ট্যুরিস্ট ট্রেকিং করে।
কাছের শহরের নামও আগ্নেয়গিরির নামে, সুফিয়ের। এত পুঁচকে শহর যে, হাজারদশেক লোক থাকে কিনা, সন্দেহ। হোটেলে ফেরার পরও মাথাটা ছেয়ে ছিল আগ্নেয়গিরি আর পাহাড়। হঠাৎ কী মনে হল, সন্ধের চা খেতে খেতে আমি জানতে চাইলাম বিখ্যাত স্পোর্টস জার্নালিস্টের কাছে, ‘আচ্ছা, এই যে এত দেশে খেলতে যান সচিন-সৌরভ-দ্রাবিড়েরা, ওরা ঘুরে দেখেন আশপাশটা?’ একটু থমকে গেলেন উনি, তারপর বললেন, ‘না রে, বেশির ভাগ সময় ওদের প্রায় কিছুই দেখা হয় না। কড়া নিরাপত্তা, সময় কম। জানিস, ঢাকায় ৩২ নম্বর ধানমন্ডি মানে শেখ মুজিবের বাড়িতে গিয়ে আমার এমন অনুভূতি হয়েছিল যে, আমি সচিনকে গল্পটা বললাম। ও খুব আগ্রহ দেখাল যাওয়ার জন্য। কিন্তু পরে বোঝা গেল, সম্ভব না। হি ওয়াজ সো স্যাড।’