ডাকবাংলা

এক ডাকে গোটা বিশ্ব

 
 
  

"For those who want to rediscover the sweetness of Bengali writing, Daakbangla.com is a homecoming. The range of articles is diverse, spanning European football on the one end and classical music on the other! There is curated content from some of the stalwarts of Bangla literature, but there is also content from other languages as well."

DaakBangla logo designed by Jogen Chowdhury

Website designed by Pinaki De

Icon illustrated by Partha Dasgupta

Footer illustration by Rupak Neogy

Mobile apps: Rebin Infotech

Web development: Pixel Poetics


This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.

© and ® by Daak Bangla, 2020-2025

 
 
  • ডেটলাইন : পর্ব ১৬

    তপশ্রী গুপ্ত (February 16, 2025)
     

    ভিভ রিচার্ডসের দেশে

    আমার হাত এত কাঁপছিল যে, সহজ কাজটা কিছুতেই করতে পারছিলাম না। আসলে কাজটা সহজ না মোটেই। ক্যামেরায় কারও সাক্ষাৎকার রেকর্ড করার সময় ল্যাপেল, মানে যে ছোট্ট মাইক্রোফোন লাগানো হয় বুকের কাছে, সেটার ক্লিপ তো কোনওমতে লাগিয়েছি তাঁর টি-শার্টের খোলা বোতামের পাশে, কিন্তু চৌকোনা ব্যাটারিটা আর কিছুতেই গুঁজতে পারছি না জিনসের হিপপকেটে। একে স্কিনটাইট জিনস, তার ওপর মানুষটির নাম স্যর আইজ্যাক ভিভিয়ান আলেকজান্ডার রিচার্ডস। অকুস্থল অ্যান্টিগা এয়ারপোর্ট। সময় খুব অল্প। অন্য কোনও জায়গা থেকে নিজের শহরে ফিরেও তাঁর বাড়ি যাওয়ার সুযোগ নেই। একটু পরেই উড়ে যাবেন অন্য দেশে, কমেন্ট্রেটরের কাজে। মাঝখানের একচিলতে ফাঁকে আমাদের কিছু বলবেন আসন্ন বিশ্বকাপ নিয়ে। এই মহামূল্যবান সময়টুকু ছিনিয়ে নেওয়ার পুরো কৃতিত্ব সঙ্গের নামী সাংবাদিকের। প্লেন থেকে নেমেই তাঁকে দেখে বেজায় খুশি ভিভ। এমনকী, ডাকনামে ডেকে বুকে জড়িয়েও ধরেছেন। এই খেলার দুনিয়ায় আমি নাদান, নেহাতই মূর্খ।

    আগেই বলেছি, আমার কাজ এ-যাত্রায় ২০০৭ বিশ্বকাপের একটা জম্পেশ কার্টেন রেজার তৈরি করা। একটি জনপ্রিয় বাংলা টিভি চ্যানেলের জন্য। যাবতীয় ক্রিকেটীয় ইনপুট রিপোর্টারের দায়িত্ব। সফরের রঙে রাঙিয়ে পরিবেশনের দায় আমার। ক্যামেরা রেডি। ল্যাপেল সমস্যার জন্য যে শুধু দেরি হচ্ছে তা নয়, আকাশের তারাকে হাতের সামনে পেয়ে সাদা-কালো নির্বিশেষে কিছু যাত্রী, বিশেষ করে মহিলারা এমন ঝাঁপিয়ে পড়ছেন যে, ক্রাউড কন্ট্রোলের কাজও করতে হচ্ছে।

    ভিভ রিচার্ডস কিন্তু হাসিমুখে চ্যুইংগাম চিবতে চিবতে (একদা মিডিয়া বলত, সারাক্ষণ চ্যুইংগাম চিবনোর এই অভ্যেস আসলে প্রতিদ্বন্দ্বীকে চাপে রাখার কৌশল— দেখো, তোমাদের এভাবেই চিবিয়ে খেতে নেমেছি ক্রিজে) ফ্যানেদের খুশি করছেন, সে ছবি হোক কি সই। তাও তো তখনও স্মার্টফোন ও সেলফি জমানা শুরু হয়নি!

    আরও পড়ুন : জামাইকার আশ্চর্য কিসসা! পড়ুন তপশ্রী গুপ্তর কলমে ডেটলাইন পর্ব ১৫…

    শেষকালে বাঁচালেন ভিভ নিজেই। পাড়ার দিদি গোছের এক মধ্যবয়সি পৃথুলা কৃষ্ণাঙ্গী বিমানবন্দর কর্মীকে দেখতে পেয়ে ডাকলেন। তার চোখপাকানো আর হেঁড়ে গলার দাপটে মুহূর্তে ভিড় পাতলা।

    সাক্ষাৎকার পর্ব শেষ হতে প্লেন ধরার তাড়ার মাঝেই নিপাট মধ্যবিত্ত ভদ্রলোকের মতো অনুরোধ করলেন ভিভ, ‘কত দূরের দেশ থেকে এসেছ তোমরা। মাই ফেভারিট প্লেস অন আর্থ, ইন্ডিয়া। প্লিজ বাড়িতে যেও। মায়ের বাড়ি আর আমার বাড়ি, দু’জায়গাতেই। আমি নেই তো কী হয়েছে? খাওয়াদাওয়া ক’রো।’

    স্যর ভিভিয়ান রিচার্ডসের বাড়ি

    আমি নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। স্যার ভিভ রিচার্ডস, সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান, বিধ্বংসী বোলারদের মুখোমুখি সেই হেলমেট না-পরার ঔদ্ধত্য, মাঠে যাঁকে দেখামাত্র বিপক্ষের প্রাণপাখি উড়ে যেত, সেই টল, ডার্ক অ্যান্ড হ্যান্ডসাম কিনা আপ্যায়ন করছেন এমন বিনীত ভঙ্গিতে! যেন আমরা নেমন্তন্ন গ্রহণ করে বাধিত করব ওঁকে।

    তখনও অবশ্য ভাবিনি, সত্যিই আমরা ভিভের বাড়িতে যাব আর সেখানে আজীবন মনে রাখার মতো কিছু ঘটবে। যেজন্য দু’বারের বেশি তৃতীয়বার আর অ্যান্টিগা না গেলেও সেটা আমার দ্বিতীয় ‘বাপের বাড়ি’, এই ঠাট্টার নামে পরিচিত হয়ে থাকবে অনেকের কাছে। সেই প্রসঙ্গে পরে আসছি।

    অ্যান্টিগা, বারবুডা আর রেডোন্ডা— এই তিনটি দ্বীপ নিয়ে একটাই দেশ। তার রাজধানী সেন্ট জনস এই অ্যান্টিগাতেই। ১৪৯২-’৯৩ সালে কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কারের সমুদ্র-সফরে এখানেও এসেছিলেন। এক স্প্যানিশ গির্জার নামে তাঁর দেওয়া নাম অ্যান্টিগা কিন্তু রয়ে গেছে। দেশটি ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা পেয়েছে ১৯৮১ সালে। ক্যারিবিয়ান্স সফরে আমরা এখানে এসেছি মূলত আসন্ন বিশ্বকাপ নিয়ে ভিভ রিচার্ডসের মতামত জানতে। সফরসঙ্গী সাংবাদিক ক্রিকেট-তারকাদের নাড়িনক্ষত্র এত ভাল জানেন যে, ঠিক তুমুল ব্যস্ততার ফাঁকফোকরে খপাৎ করে ধরে ফেলেন। যেমন যাতায়াতের পথে ধরলেন ভিভকে।

    ভাবলাম, আসল কাজ যখন হয়েই গেছে, তখন দেড়দিন চুটিয়ে শ্যুটিং করা যাবে। পুঁচকে একটা দ্বীপ, মাত্র ২৮১ বর্গকিলোমিটার, সেখানে আছে ৩৬৫টা সৈকত। হ্যাঁ, ভুল লিখিনি, বছরে রোজ একটা করে নতুন বেলাভূমি ঘুরতে পারেন ইচ্ছে করলে। আর কী বাহারি নাম তাদের ডার্কউড, পিজিয়ন, রানঅ্যাওয়ে। সাগরের রং যে এমন আশ্চর্য নীল হতে পারে, সৈকতের সাদা বালু আর তীরের ঘন সবুজ রেনফরেস্টের কনট্রাস্টে যে বোনা হতে পারে স্বপ্নের ধূপছায়া, চোখে না দেখলে বোঝানো মুশকিল। কোথাও কোথাও আবার স্বচ্ছ জলের নিচে পরিষ্কার দেখতে পাবেন প্রবাল প্রাচীর। এর পরেও বিলাসবহুল ক্রুজ ভর্তি করে আসবে না সাহেব-মেমের দল? শুধু অ্যান্টিগা কেন, গোটা ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের অর্থনীতিই দাঁড়িয়ে আছে পর্যটনের ওপর। অ্যান্টিগার রূপে মজে এখানে বাড়ি কিনে ফেলেছেন ফ্যাশন ডিজাইনার জর্জিও আরমানি থেকে জেমস বন্ড পিয়ার্স ব্রসনান, গায়ক এরিক ক্ল্যাপটন থেকে টিভি সঞ্চালক ওপরা উইনফ্রে। আর ক্রিকেটের কথা যদি তোলেন, ভিভ ছাড়াও স্যর অ্যান্ডি রবার্টস, স্যর রিচি রিচার্ডসন, স্যর কার্টলি অ্যামব্রোস এই ছোট্ট দেশটারই ভূমিপুত্র।

    আন্টির কাছে দুনিয়াটাই অ্যান্টিগার মতো পুঁচকে। সেজন্য উনি দু-চার কথার পরই ফিসফিস করে বললেন, ‘তুমি ইন্ডিয়ান যখন, তখন তো নীনা গুপ্তাকে চেনো, ওকে বোলো আমার কাছে আসতে।’ আমি কীভাবে বোঝাই, কলকাতা থেকে মুম্বই কত দূর, নীনা আমার মতো সামান্য রিপোর্টারের ধরাছোঁয়ার বাইরের নক্ষত্র, আর সবচেয়ে বড় কথা, ভিভ-নীনার সম্পর্কের রসায়ন সাদা-কালো ঘর গেরস্থালির অনেক বাইরে ডাকাতিয়া বাঁশির সুরে বাঁধা।

    স্যর ভিভিয়ান রিচার্ডস স্ট্রিটের ওপর ভিভের পৈতৃক বাড়িটি নেহাতই সাদামাটা। তার থেকেও বেশি সিধেসাদা এর বাসিন্দারা। বিশেষ করে গ্রেটেল রিচার্ডস, দুনিয়া-কাঁপানো ক্রিকেট তারকার মা।

    দেখলাম, ছোট্ট বসার ঘরে সাধারণ কাঠের সোফায় রঙিন ড্রেস পরে বসে থাকেন দিনের বেশিরভাগ সময়। বাবা ম্যালকম রিচার্ডস প্রয়াত। ভাল ক্রিকেট আর ফুটবল খেলতেন, যদিও পেশায় ছিলেন জেলের ওয়ার্ডেন। গ্রেটেল আন্টিকে দেখে, আলাপ হওয়ার পরমুহূর্তেই যিনি বললেন ‘আন্টি’ ডাকতে, সত্যি মনে হল, এই দূর বিদেশে যেন কোনও আপনজনের কাছে এলাম। দু-চারবার তপশ্রী নামটা উচ্চারণের চেষ্টা করে বললেন, ‘তোমার কোনও ডাকনাম নেই?’ ‘পিঙ্কি’ শুনে যেন হাতে চাঁদ পেলেন, শিশুর মতো হাসতে লাগলেন। তারপর থেকে এই নামেই আমাকে ডেকেছেন চিরকাল, ওই ক’দিনেই এত ভালবেসে ফেলেছিলেন যে বলেই দিয়েছিলেন, ‘তুমি কিন্তু আমার মেয়ে।’ আর সেজন্যই আমার সহকর্মীদের অনেকে বলেন, অ্যান্টিগা আমার দ্বিতীয় ‘বাপের বাড়ি’। ফিরে আসার পর কতবার যে ফোন করেছেন। সময়টা গুলিয়ে যেত আন্টির, তাই কলকাতায় মাঝরাতে ঘুমের মধ্যে বেজে উঠত ফোন, শুনতাম, ‘হাউ আর ইউ হানি? আবার কবে আসবে?’

    অ্যান্টিগা থেকে কলকাতা যে ঠিক কতটা দূর, সে-সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না আন্টির। তাই অভিমান করে বলতেন, ‘তুমি চাইলেই আসতে পার। আমাকে ভুলেই গেছ।’ ঠিক যেমন ওঁর ধারণা ছিল না, ‘ইন্ডিয়া’ দেশটা ঠিক কত বড়। আন্টির কাছে দুনিয়াটাই অ্যান্টিগার মতো পুঁচকে। সেজন্য উনি দু-চার কথার পরই ফিসফিস করে বললেন, ‘তুমি ইন্ডিয়ান যখন, তখন তো নীনা গুপ্তাকে চেনো, ওকে বোলো আমার কাছে আসতে।’ আমি কীভাবে বোঝাই, কলকাতা থেকে মুম্বই কত দূর, নীনা আমার মতো সামান্য রিপোর্টারের ধরাছোঁয়ার বাইরের নক্ষত্র, আর সবচেয়ে বড় কথা, ভিভ-নীনার সম্পর্কের রসায়ন সাদা-কালো ঘর গেরস্থালির অনেক বাইরে ডাকাতিয়া বাঁশির সুরে বাঁধা। আন্টি আবার অভয় দিতেন, ‘নেভার মাইন্ড। আমাদের দেশে সবাই মিনিমাম দুটো বিয়ে করে। ভিভের বাবার দুটো বিয়ে। ছেলের হলে কী সমস্যা?’ যে ক’দিন আমরা অ্যান্টিগাতে ছিলাম, রোজ যেতাম আন্টির কাছে, রোজ আন্টি আমার হাতে হাত বোলাতে বোলাতে বলতেন, ‘আমার ফরসা লোক খুব ভাল লাগে। নীনা কত ফরসা। ফরসা লোকরা খুব ভাল হয়। আচ্ছা, ও যদি না আসে, মেয়ে যেন একবার আমার সঙ্গে দেখা করে যায়। আফটার অল, শি ইজ মাই গ্র্যান্ডডটার।’

    গ্রেটেল রিচার্ডসের সঙ্গে লেখক

    ২০১১ সালে যখন আন্টির মৃত্যু সংবাদ পেলাম, আত্মজন হারানোর বেদনা টের পেয়েছিলাম। সত্যি, পৃথিবীর কোন প্রান্তে যে লেখা হয় ঘরের ঠিকানা!

    স্যর ভিভ রিচার্ডসের নিজের বাড়িটি একেবারে উল্টো মেজাজের। অভিজাত পাড়ায় বেশ বড় বাড়ি, সামনে লন, বিরাট গেট। কোনও রক্ষী চোখে পড়ল না। ভিভের ভাইয়ের স্ত্রীর থেকেই শুনে এসেছিলাম, এই সময় অফিস থেকে বাড়ি ফেরেন মিরিয়াম। ভিভের স্ত্রী অ্যান্টিগা সরকারের পর্যটন দপ্তরে কাজ করেন। লন পেরিয়ে বাড়ির দিকে এগতে এগতে শুনলাম, ভেতরে নারীকণ্ঠের চেঁচামেচি। কোনও ব্যাপারে খুবই বিরক্ত হয়েছেন। এই প্রথম দেখলাম, দাপুটে ক্রীড়া সাংবাদিকও ঘাবড়ে গেছেন, ইশারায় বললেন, এখন ঢোকার দরকার নেই। লনে একটা গাছের নিচে বেদিতে বসে ফোন করলেন কারওকে। পরে বুঝলাম ফোনের ওপারে মালি, ভিভের ছেলে, বেশ নাম-করা ক্রিকেটার। আর এক ছেলে বাইরে থাকে। মালিও পরামর্শ দিলেন, এখন মায়ের কাছে যাওয়াটা ঠিক হবে না। কেবল ফল্টের কারণে গত রাত থেকে বিদ্যুৎ নেই বাড়িতে। ফ্রিজে অনেক মাংস রাখা ছিল, সব পচে গেছে। বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও কাজ হয়নি। উনি ভীষণ রেগে আছেন। একে নীনা গুপ্তা এপিসোডের পর থেকে ভারতীয়দের খুব একটা পছন্দ করেন না মিরিয়াম, তার ওপর এই বিদ্যুৎ কেলেঙ্কারি!

    আমি তো পত্রপাঠ চলে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করলাম। তেড়েফুঁড়ে উঠলেন নামী রিপোর্টার। ‘দাঁড়া, মালি আসছে। ও আমাদের নিয়ে যাবে ভেতরে।’ বলে তিনি ক্রিকেট খেলতে লাগলেন, লনের ধারে ব্যাট-বল রাখা ছিল। ক্যামেরাম্যান বোলার আর রিপোর্টার ব্যাটসম্যান। আমি দর্শক। ভয়ে কাঁটা হয়ে ছিলাম। এই বুঝি মিরিয়াম ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে এসব দেখে আরও খেপে ওঠেন।

    সৌভাগ্যক্রমে, তেমন কিছু হল না। মিনিটদশেক পর মালি এলেন বাইরে। খুবই ভদ্র ছেলে। ভেতরে নিয়ে বসালেন আমাদের। সত্যি, পচা মাংসের গন্ধে টেকা দায়। মিরিয়াম এলেন, তখনও রাগে গনগন করছে মুখ। সাংবাদিক তাঁর হাতে দিলেন তিনটি প্যাকেট, কলকাতা থেকে নিয়ে যাওয়া খাদির পাঞ্জাবি, ভিভ, মিরিয়াম আর মালির জন্য। মিরিয়াম খুশি হলেন কিনা বোঝা গেল না, অল্প হাসলেন। মালি অবশ্য প্যাকেট খুলে সবুজ রঙেরটা বের করে নিজের গায়ে ফেলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে বারবার ধন্যবাদ জানালেন। এবার রিপোর্টারের বিনীত নিবেদন মিরিয়ামের কাছে, ‘বিশ্বকাপ আসছে। আপনি যদি কিছু বলেন।’ মিরিয়ামের সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘আমি কে বলার? আমার সঙ্গে ক্রিকেটের কোনও সম্পর্ক নেই।’ মালি অবশ্য চমৎকার ইন্টারভিউ দিলেন।

    স্যর ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম

    সেন্ট জনস শহরের একটু বাইরে নর্থ সাউন্ডে তৈরি হচ্ছে স্যর ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়াম। দেখলাম, কাজ চলছে একেবারে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। আর মাত্র কয়েকমাস বাদেই ওয়ার্ল্ড কাপ। শুনলাম, তার আগেই ফেব্রুয়ারিতে উদ্বোধন হবে। কিন্তু ক্রিকেটপ্রেমীরা জানেন, ঝাঁ চকচকে হলেও কোনওদিনই জনপ্রিয় হয়নি এই নতুন স্টেডিয়াম। সেই আদি অকৃত্রিম অ্যান্টিগা রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ডই রয়ে গেছে ফেভারিট। সবসময় কি আর ‘পুরাতন প্রেম ঢাকা পড়ে যায় নব প্রেমজালে?’

     
      পূর্ববর্তী লেখা পরবর্তী লেখা  
     

     

     



 

Rate us on Google Rate us on FaceBook