February 12, 2022

সুপ্রিয় রায়

কোথায় পাব তারে

বিদেশে হলে হয়তো তাঁর পড়া বই, বইয়ে দেওয়া দাগ, মার্জিনের নোট এবং সবাইকে লেখা চিঠিপত্রও ইতিমধ্যে দেখতে পাওয়ার সুযোগ হত। এদেশে তিনি শুধুই ভারতরত্ন, শুধুই শতবর্ষীয়ান, শুধুই অতীত— আজকের চিত্রনাট্যকার ন্যূনতম সুযোগেই তাঁর ছবির জনপ্রিয় দৃশ্য বা সংলাপগুলিকে যত্রতত্র ট্রিবিউট দেবেন, এই তো প্রাপ্তি। সত্যজিতের কাজ করার পদ্ধতি।

তৃণাঙ্কুর বন্দ্যোপাধ্যায়

এলেভূত

‘ম্যাপ যে কী দেখাচ্ছে! অঙ্কুরের নিজের ফোনেও দেখেছে, পুরো ভুলভাল। কানেক্টিভিটি তো পুরো, সব ক’টা বার আছে, কিন্তু কোথায় যাচ্ছে, কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। অ্যাপের ওপর ভরসা আছে? খেয়াল না করলেই আরেক জায়গায় এনে ফেলবে। এ তো হল এলেভূত, ভেবে আবার হেসে ফেলল সে।’ নতুন গল্প।

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১৩

অমিয় চক্রবর্তী বাংলা সাহিত্যের এক অসামান্য কবি, যাঁর কবিতায় আমরা পাই অভিনব চিত্রকল্প, পুরনো ও সমসাময়িক শব্দ পাশাপাশি সাজিয়ে তৈরি করা আশ্চর্য আবেদন, সময় নিয়ে অপূর্ব খেলা। মাত্র একটা শব্দের স্থান বদলে তিনি জাদু সৃষ্টি করেন, নরম অথচ সপ্রতিভ কবিতায় কখনও মিলিয়ে দেন ঝোড়ো হাওয়া আর পোড়ো দরজার বৈপরীত্যও।

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ১২

‘একজন অন্তর্মুখী মানুষ যে উপায় নিতে পারেন কাজী আনোয়ার হোসেন তাই করলেন। কুয়াশা নামে একটা রহস্যভেদী চরিত্র তৈরি করে দুই খণ্ড রহস্যকাহিনী লিখলেন। শুরু হলো প্রকাশকদের দুয়ারে দুয়ারে ঘোরা। এক প্রকাশক দুই বইয়ের বিনিময়ে দুইশ টাকা দিতে চাইলেন। কিন্তু দুইশ টাকায় তো রাইফেল কেনার পয়সা উঠবে না। অতএব তিনি পাণ্ডুলিপি ফেরত নিয়ে এলেন। লেখালেখিতে আপাতত কিছুটা বিরতি। শিকারী হওয়া আর হলো না। তবে, মাছ শিকারের নেশা ছাড়তে পারেননি সমস্ত জীবন। মাছ শিকার করতে তো আর বিলেতি রাইফেল লাগে না।’ কাজী আনোয়ার হোসেন এবং তাঁর রহস্যকাহিনি।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ১৩

রাশিয়ায় এক আর্ট গ্যালারিতে এক প্রহরী একটা ছবিতে দুটো মুখে ছোট্ট চোখ এঁকে দিল। হুলুস্থুলু। সে বলল, কী করব, বোর লাগছিল। এই স্বীকারোক্তি এত সরল ও ভানহীন, চমক জাগায়। আর মনে হয়, একঘেয়েমি থেকেই কি নষ্টামির মতোই, সমস্ত শিল্প বা বিনোদনেরও জন্ম নয়?

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৫১

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।