February 5, 2022

দেবশঙ্কর হালদার

স্পটলাইট: পর্ব ৩

নান্দীকার-এ যেদিন পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম, সেদিন জানতাম না যে নির্বাচিত হব। লিস্ট দেখতে গিয়ে দেখি নীচ থেকে কয়েকটি নাম ছেড়ে আমার নাম রয়েছে। আর লিস্ট-এ আরও একজন হালদার পদবীর ছেলে ছিল। তার নাম গৌতম হালদার। দুজনের যাত্রাশুরু।

পূর্ণিমা দত্ত

ভিড়ের মধ্যে একক

বার্লিনে দেখেছি, পৃথিবীখ্যাত সব ফিল্ম ডিরেক্টর এবং ফিল্ম-ব্যক্তিত্বরা মানিকদাকে কী অসম্ভব শ্রদ্ধা করেন। প্রত্যেকে এসে কথা বলছেন, হাত মেলাচ্ছেন, গল্প করছেন। যেন মানিকদার সঙ্গে কথা বলা, দেখা করাটা অবশ্যকর্তব্য। আর মানিকদার টাওয়ারিং পার্সোনালিটি!

দীপশেখর দালাল

কয়েকটি কবিতা

‘বন্যাত্রাণে আমি পাঠিয়েছি বেশ কিছু কলার মান্দাস/ আর কিছু চাতকপাখির দল/ তারা মেঘকে গালাগালি দিয়ে পাঁজরে ফিরবে আমার/ তোমার তাতেও রাগ?/ কেন? আমি কি সমস্ত ডুবন্ত মানুষকে আগুন শেখাব?/ সেইটেই হবে আমার শাস্তি?’

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ২৪

‘নির্জীব আগাছা-ল্যান্ডে একমাত্র পরিত্রাণ করতে পারত কৃষ্ণনগরের স্কুলে দুই শিক্ষকের পরস্পরকে হাঁইহাঁই পেটানোর ভাইরাল ভিডিও। একজন আরেকজনকে চড় কষাতেই আক্রান্তের তুরন্ত তেড়ে যাওয়া ও প্রায় ফাস্ট-ফরোয়ার্ডে ঝটিতি প্রতি-আক্রমণ। তারপর আবার প্রশ্ন ধেয়ে আসছে, আপনি তো হেডস্যার, আপনি গায়ে হাত দিলেন কেন? এই রে, ফের বৃত্ত সম্পূর্ণ। প্রায়-সুমন-ঘটনা। প্রবৃত্তির পানে ধাইব, না নিবৃত্তি?’

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়েরি: পর্ব ১২

‘শপথ-গ্রহণের দিন এসে গেল এবং তিনি যত্নসহকারে তাঁর পোষাক বেছে নিয়েছিলেন। কর্তব্যক্ষেত্রের পরিধানে যেন সাংস্কৃতিক গর্ব সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে, এই ছিল তাঁর ইচ্ছা— দাউরা-সুরুয়াল এবং বির্কে টোপি, কোমরবন্ধে খুখুরি। সঙ্গী জ্যোতি বসুর চেয়ে উচ্চতায় প্রায় এক ফুট দীর্ঘ রতনলাল, ধীরেসুস্থে বিধানসভা ভবনের দক্ষিণ প্রবেশদ্বারে এসে পৌঁছলেন।’

আদিদেব মুখোপাধ্যায়

নবম সিম্ফনি, চতুর্থ মুভমেন্ট

‘সে, ক্ষুরটা, সরাসরি নিজের পেটে ঢুকিয়ে দেয়। ধুপ করে শব্দ হয়। একটু গুঙিয়ে পেটার পড়ে যায়। আমি আবার সেই মিষ্টি সুরটা শুনতে পাই। খুব আস্তে, চরাচর জুড়ে বেজে উঠছে। কে বাজাচ্ছে, এখন, এই চায়ের কেবিনে? সবাই স্থির ও চুপ। সবাই মেঝেয় লুটিয়ে পড়ে থাকা পেটারকে দেখছে।’ নতুন গল্প।

অর্ক দাশ (Arka Das)

খুচরো খাবার: পর্ব ৫

‘সরস্বতী পুজোর ঘনঘটায় কুলের দাপট ব্যাপারটা আমার কাছে খুব একটা ইন্টারেস্টিং নয়। তার প্রধান কারণ, দেবীর উপাসনায় যে কুলটা ঢেলে উৎসর্গ করা হয়, সেই নারকোল কুলটা বস্তুত শুধুই মিষ্টি, এবং তাই একটু পানসে, একটু বেশিই ফর্মাল, একটু নিয়মসর্বস্ব। আমি এ-কুলে নেই। আছি, অবশ্যই, টোপা, এবং বুনো কুলে; ইলেকট্রিক, বা কারেন্ট নুন-মাখানো কাগজের ঠোঙায়, অথবা আঠা-আঠা আচারে— যার আধা-বয়াম আমি এক সিটিং-এ যে-কোনো দিন সাবড়ে দিতে পারি।’

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১২

‘ভাসছে পথে, আসছে আর যাচ্ছে কত সস্তায়।/ যেন পথের নীচু হোটেল, ভাতে কাঁকর তিনটে…/ তোমারও মন নিথর হল সকাল সাড়ে দশটায়/ আমারও গেল বাকি জীবন ফেরার পথ চিনতে।’ নতুন কবিতা।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

Uttarbanga Diary: Part 12

‘The day of oath-taking dawned and he had prepared his outfit with care. He wished to attend to his duty with his attire reflecting cultural pride – daura surual and birkey topi with khukuri intact at the waist. Thus in the company of a slightly built Jyoti Basu, Ratanlal, at almost a feet taller, sauntered up to the southern entrance of the Bidhan Sabha Bhawan.’