November 13, 2021

দীপেশ চক্রবর্তী

অ-বাঙালিকে নিয়ে যে বাঙালিত্ব

‘মনের একটি দিক যেমন স্মৃতিবেদনার মালা গাঁথে, অন্য একটি দিক কিন্তু বাঙালি হিসেবেই দু’হাতের আঁজলা ভরে যা অজানা, অচেনা, নতুন ও অপর তাকে গ্রহণ করে— কিছুটা বাঙালি মনের মাধুরী মিশিয়েই— তার রসাস্বাদন করতে থাকে। যে-মনের এই প্রসার ঘটে, সেই মনটাও তো বাঙালি!’ বাঙালি মনের স্বরূপ।

উপল সেনগুপ্ত, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ৯

হ্যানসেল ও গ্রেটেল সারাদিন খায় এবং ফোন দ্যাখে। শোধরাতে না পেরে, বাবা তাদের জঙ্গলে রেখে আসে। তারপর একসময় তারা বাড়ি ফেরে বটে, কিন্তু বাবা-মা’র পক্ষে তা খুব ভাল হয় না। আর গানে, বাঙালিকে বলা হয় নস্টালজিয়া নট্ট, পিছমুখো রায়– মানে যারা ষাটের দশকেই এখনও শোয়, সত্তরের দশকেই ঢুলতে থাকে। রোমন্থনই যাদের একমাত্র কাজ।

বিক্রম আয়েঙ্গার (Vikram Iyengar)

নর্তকী ও জিনিয়াস

‘যখন শাশ্বতীর বাবাও অরাজি হলেন, বললেন পরিবারের পক্ষে এটা ভাল হবে না, তখন সত্যজিৎ বললেন, ‘আমরা কি বাজে কাজ করি? আমরা কি বাজে লোক?’ দিল্লি ও কলকাতায় শাশ্বতীর পরিবারের লোকেরা শেষকালে মত দিলেন, এবং শাশ্বতীর জীবন বদলে গেল।’ সত্যজিৎ-স্মৃতি।

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

নীল কেটলি: পর্ব ৯

‘ডাইনিং হল আর আমাদের শোওয়ার ঘরের মধ্যবর্তী খোলা দরজা দিয়ে আমি স্পষ্ট হাই হিলের শব্দ পাচ্ছি। সেই শব্দটা ডাইনিং টেবিলের চারদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একবার, দু’বার, তিনবার, চারবার এবং বহুবার ঘুরে-ঘুরে তারপর যেমন এসেছিল তেমনি দরজা ভেদ করে বাড়ির পিছন দিকের ফটকের কাছে গিয়ে মিলিয়ে গেল।’ ভৌতিক অভিজ্ঞতা।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়রি: পর্ব ৯

‘শীতকাল ঠান্ডা হবেই, এবং ঠান্ডা হবে শীতের বাতাস। কিন্তু আসন্ন শীতের নাটকটা একটু আলাদা— যখন না-পৌঁছনো শীতের ভূমিকা যেন শীতের চেয়ে লম্বা, এবং মধুর। ‘আদুরে ঠান্ডা’, ‘মিষ্টি ঠান্ডা’ – এই শব্দগুলো কথোপকথনে, বাড়ির মেনু তারির সময় আর পিকনিকের লিস্টে উঠে আসবে।’ শীতের হাওয়ার মাতন।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৯

‘রুটির দোকান থেকে যতদূর খিদের ধারণা/ তোমাকে তো তারও দূরে ছেড়ে দিয়ে এসেছি কবেই।/ এখন বাজারে সন্ধে, কিশোরীর পথগান শোনা…/ প্রার্থনার চেয়ে আর বড় কোনও অপরাধ নেই।’ এই পর্বে রয়েছে এরকমই চার লাইনের নতুন আটটি কবিতা।