
মঞ্চের বাইরে
‘তৃপ্তি মিত্রর নাটক, প্রবন্ধ, ছোটগল্পগুলি নানা বইয়ে ছড়িয়ে ছিল। এবার দু’মলাটে ধরা রইল। ছোটগল্প আর নাটক ছাড়া নানা বিষয়ে নিবন্ধও লিখেছিলেন তৃপ্তি মিত্র। সেসবে কখনও স্মৃতি, কখনও সাম্প্রতিকের সত্তা, কখনও বা ভবিষ্যতের দিকনির্দেশ।’

‘তৃপ্তি মিত্রর নাটক, প্রবন্ধ, ছোটগল্পগুলি নানা বইয়ে ছড়িয়ে ছিল। এবার দু’মলাটে ধরা রইল। ছোটগল্প আর নাটক ছাড়া নানা বিষয়ে নিবন্ধও লিখেছিলেন তৃপ্তি মিত্র। সেসবে কখনও স্মৃতি, কখনও সাম্প্রতিকের সত্তা, কখনও বা ভবিষ্যতের দিকনির্দেশ।’

‘যেমন ভাবা তেমনই কাজ। এরপর থেকে দুর্গের এদিকে ওদিকে ছোটবড় পাথরে নানা ঠাকুরের নাম লেখা হতে লাগল। মেহের আলি দূর থেকে দেখল, তেড়ে খিস্তি পর্যন্ত করল। কিন্তু যারা লিখছে তাদের হাতে দু-একবার চড়থাপ্পড় খাওয়ার পর গুটিয়ে গেল। দুর্গে লোকসমাগম বেড়ে গেল আরও।’

‘এটা জেন্ডার ইকুয়ালিটির জমানা। একটা মেয়ে যদি ছেলেদের পোশাক সম্পর্কে অভিজ্ঞ হতে পারে একটা ছেলে শাড়ি সম্পর্কে জ্ঞানী হবে না কেন! আজকাল তো ছেলেরাও শাড়ি পরছে! সেদিন কাগজে ছবি দেখলাম। আমি যখন ঠিক করে ফেলেছি, করেই ছাড়ব।’
গল্প। ভ্রমর সেনের সন্দেহ…

‘পরস্পরবিরোধিতা, বিপরীতধর্মী দুই প্রকৃতির টানাপোড়েন, সাদা-কালো-ধূসরের খেলা বনফুলের গল্পের ভরকেন্দ্র। একইসঙ্গে তা মানুষের নিষ্ঠুরতা আর মানুষের অসহায়তার গল্প।’

‘…গল্পটি যত এগোচ্ছিল, আমার এতদিনের সমস্ত সমুদ্র-বোধ ধীরে-ধীরে গলে যাচ্ছিল; ঘেমে উঠছিলাম নিমের ছায়ায়। গল্পটি পড়ার ‘আগের আমি’ ও ‘পরের আমি’ সম্পূর্ণ অন্যরকম হয়ে গিয়েছিলাম।’

‘গড্ডলিকা’-র যে-সংস্করণ প্রথম যথার্থ বিপণন পায় এবং প্রচারিত হয়, তারই শতবর্ষ এ-বছর। আর তার বীজ মুনাফালোভীর বিরুদ্ধে জাতীয় আদর্শের লড়াইয়ে। ব্যাবসাবিমুখ বলে দাগা-খাওয়া বাঙালির সাহসী নিশান এই গল্পগ্রন্থ…

‘আমি আর দাদা চোরকাঁটা ভরা একটা শর্টকাট ধরেছি, খেয়াল নেই বারীনকাকুর দোতলার কোয়ার্টারের পাশ দিয়ে যাচ্ছি। যদিও আন্টিকে পুলিশে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর বারীনকাকু চাকরি ছেড়ে চলে গেছে। কোয়ার্টার বন্ধ থাকে।’

‘অভিমানে ঘর ছেড়েছিলেন একদিন। অভিভাবকদের কাছে একটা অভিধান আর বালির কাগজের খাতার বদলে এক্সারসাইজ বুক চেয়েও না পাওয়ায় বাড়ি ছেড়ে চলে গেলেন হাওড়া স্টেশনে। দু’দিন স্টেশনেই থেকে চড়ে বসলেন দূরপাল্লার ট্রেনে।’

‘সান ফ্রান্সিসকোর দামি রেস্তোরাঁ। মেয়েকে দেখলেন কোথায়? পেলেন কখন? জানুয়ারির প্রথমেই মেয়ে বাবার কাছে ফ্লোরিডা চলে গেল। কেন সে-সময়ে বাড়িতে থাকা মেয়েটার মুখ একদম মনে পড়ছে না? শুধু পেছন ফিরে মেয়ের চলে যাওয়াটা…’

‘দুপুরের ট্রেনে ফিরছিলাম, হাবড়া স্টেশন থেকে কলকল করতে করতে এক দঙ্গল কলেজ-ফেরতা ছেলেমেয়ে উঠল। তাকিয়ে দেখি, তাদের মধ্যে পেঁচোদার মেয়েটিও আছে। ভেতরে ঢুকতে গিয়েও আমাকে দেখে সে যেন ইচ্ছে করে গেটের কাছে চলে গেল।’

‘মুখে বললেও বাইরের ভোলের সঙ্গে-সঙ্গে ভেতরেও যে তার একটা সূক্ষ্ম পরিবর্তন হচ্ছে, অনাদিবাবু টের পাচ্ছেন। আগে যেটা তিনি ডাহা কুসংস্কার বলে জানতেন, আজকাল তা বিশ্বাস করতে ভীষণ ইচ্ছা করে।’

‘এই যে দু-দশক বাদে নিজের লেখা সংশোধন করা তা বোধহয় অনেক লেখক ভাবতেও পারেন না। এখানেই মতি নন্দী অনন্য। নিজের লেখার সুপার এডিটর। অবিশ্যি তাঁর প্রেরণা আরেক লেখক-সম্পাদক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.