
সেই সব স্মৃতি-শক্তি
‘কুয়া কেন! কেন কুয়ো নয়? কী ক্ষতি হত যদি লিখতেন, ‘অনন্ত কুয়োর জলে চাঁদ পড়ে আছে’? শক্তি বললেন, ‘কুয়ো বললে জায়গাটা কেমন যেন ছোট হয়ে যায়, তাই না? কুয়া বললে জল থেকে জ্যোৎস্না উথলে ওঠে।’ আশ্চর্য হয়ে গেলাম।’

‘কুয়া কেন! কেন কুয়ো নয়? কী ক্ষতি হত যদি লিখতেন, ‘অনন্ত কুয়োর জলে চাঁদ পড়ে আছে’? শক্তি বললেন, ‘কুয়ো বললে জায়গাটা কেমন যেন ছোট হয়ে যায়, তাই না? কুয়া বললে জল থেকে জ্যোৎস্না উথলে ওঠে।’ আশ্চর্য হয়ে গেলাম।’

‘আধুনিক বাংলা কবিতা সত্যিই নিজেকে পালটাতে-পালটাতে অনেক দূরে চলে গেছে। সলিলের কবিতা সে-পথে যায়নি। কিন্তু সলিল কি আদৌ কবি হতে চেয়েছিলেন?’

‘মা ছিল ম্যাচিওরড, বাবা তো শিশুই, তাই/ মনে করত, কত কিছুই হতে পারে, ঘটে যেতে পারে যাহা-তাহা,/ কেউ আবার মরে নাকি আহা…/ মৃত্যুর রাতে বাবার সামনে যাইনি কিছুতেই, জানতাম আর/ কিছু করা যাবে না, শেষ রক্ষার সময় শেষ হয়ে গেছে…’

‘তোমারও ঘুমের রং কফির মতোই নীল কড়া ও কাফের/ যেমন নাটক ছিল পাড়ার মলিন স্টেজে ছোটকাকাদের/ তেমনই তোমার মন দুটো ছোট হাততালি জড়িয়ে ঘুমোয়/ বিরহ রাহুল দেব গুলজার হয়ে এসে পাশ ফিরে শোয়’

‘একদিন অফিসে আমার টেবিলের সামনে এসে পরিচয় দিলেন তিন নাবিক। একজনের পরনে পেতলের বোতাম আঁটা ধূলিধূসরিত নীলচে জ্যাকেট, মাথায় গল্ফ ক্যাপ, বাকি দু’জনের ওই ধাঁচে জোব্বা, ঝোলা… করমর্দনের হাত বাড়ালেন জীবনযুদ্ধে লড়াকু তিন জলমানব।’

‘যে যুগে হিন্দু মহিলাদের শিক্ষা গ্রহণ ছিল এক বিরল ঘটনা, সেই সময়ে কামিনী রায় শুধু যে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে ছিলেন তাই নয়, শিক্ষাক্ষেত্রে এবং সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান কিছু কম ছিল না। এরই সঙ্গে কবিতা রচনার পাশাপাশি তিনি হয়ে উঠেছিলেন একজন সাহসী নারীবাদী লেখিকা।’

‘না-জানে তোমার মুখ, এমনই তো গান/প্রতিটি বিচ্ছেদ জেনো প্রেমের সমান/ছেড়ে যেতে ফের ঘুরে ডাকে,/আমাদের অবসাদে ফুটে থাকা ফুল/জাহাজের মৃতদেহ। জলের মাসুল।/
ছোঁব, তবু পাব না তোমাকে।’

‘ছাই রঙের এক চোখজ্বালানিয়া ধোঁয়া আমাদের উঠোন পার করে চলে যেত দূর-দূরান্তে। কখনও সকালে, কখনও সন্ধের মুখে। তার সঙ্গে মিশে যেত দূর কোনও কারখানার সাইরেনের আওয়াজ বা পাশের বাড়ির শাঁখ।’
‘হিয়া টুপটাপ জিয়া নস্টাল’। পর্ব ৪৪…

‘তারাপদ রায়ের কবিতার ভাষা যে চোখে পড়ার মতো সরল এবং চাকচিক্যহীন, নিশ্চিত। তবে, বেশ কিছু অদ্ভুত কবিতা লিখেছিলেন তিনি, সে-যুগের কবিতার পাশাপাশি রেখে সেগুলো পড়লে চমকে তো উঠতেই হয়, উদ্ভট রসের কবিতার এমন উদাহরণ আর দ্বিতীয়টি মেলে না।’
তারাপদ রায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে বিশেষ নিবন্ধ…

‘কবিতা নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন বলেই, তা ‘দুর্নীতি’। কিন্তু জয় যেভাবে তাঁর অস্বস্তির কথা, মিথ্যাচারের কথা, প্রতারণার কথা উগড়ে দিচ্ছেন লেখায়— অন্য কবিরা সবাই কি তা করে থাকেন? যদি না করেন, পাঠক বুঝবেন কী উপায়ে, কোনটা নীতিবিরুদ্ধ আলোচনা আর কোনটাই-বা আন্তরিক?’

‘একবার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল রাহুলদা এই লিখে, ‘যাদের সঙ্গে মিশেছি, একটা রূপকথার মতো গদ্য লিখতে চাই এদের নিয়ে। সবাইকে মিলিয়ে মিশিয়ে, সময়কে ভাঙচুর করে।’ প্রথম লাইনটাও ঠিক হয়ে গেছিল: ‘রাস্তার যে-অংশে রোদ পড়েছে, সেটা আমার।’ বইয়ের নাম, ‘অর্থহীনতার দিনলিপি’।’

‘তরিবতের বিহনে মঞ্জরী/ বাগানে মন শুকিয়ে রাখে ভিজে…/ আমি তোমায় কথা-অবাক করি,/ তুমি আমার নিন্দে করোনি যে!/ শত্রু চায় ফুলের আমদানি/ পরাগ তার মাধুর্য বিকিয়ে/ শোধ করেছে বিষাদঋণখানি…/ সন্ধেবেলা কুহকে তার বিয়ে।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.