

গানের ওপারে
হারিয়ে যাচ্ছে মূল সংগীত, থেকে যাচ্ছে ভাইরাল অংশটুকু। সংগীত এবং তার উৎস এককালে ছিল গানের জগতের মূল বিষয়। কিন্তু বর্তমান সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হারিয়ে
হারিয়ে যাচ্ছে মূল সংগীত, থেকে যাচ্ছে ভাইরাল অংশটুকু। সংগীত এবং তার উৎস এককালে ছিল গানের জগতের মূল বিষয়। কিন্তু বর্তমান সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হারিয়ে
ম্যাজিক বিষয়ে তাঁকে কিছুটা স্বশিক্ষিতই বলা চলে। দশম শ্রেণিতে পড়াকালীন প্রকাশিত হয় জাদুবিষয়ক প্রথম রচনা। বছরচারেক যেতে-না-যেতে, লন্ডন থেকে প্রকাশিত বিখ্যাত ‘দ্য ম্যাজিসিয়ান মান্থলি’ পত্রিকায় লিখলেন জাদু নিয়ে মৌলিক প্রবন্ধ।
‘গওহর জান এক বহুকৌণিক চরিত্র— নানা বৈপরীত্যের সহবাস। খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছেও নতুন কিছু শেখার ব্যাপারে তিনি ‘তদ্বিদ্ধি প্রণিপাতেন’ নীতিতে বিশ্বাসী, আত্মমর্যাদা আর স্বীকৃতি আদায়ের ব্যাপারে ‘তর্কেষুকর্কশধিয়ঃ’, আর জীবনযাপনে স্বৈরিণী।’
ঋতু চক্রের নিয়মে— প্রকৃতি তার রূপ বদলায়, বছর ঘুরে, ধরা দেয় আবারও। রবীন্দ্রনাথের প্রিয় ঋতু বর্ষার আঙিনায়, সে-উৎসব শান্তিনিকেতনের মাটিতে ধরা রয়েছে, বর্ষামঙ্গলের আয়োজনে।
‘‘ওই ন’টা কুড়ি থেকে, সাড়ে ন’টা-ন’টা চল্লিশ অবধি আড্ডাটা চলত। বিচিত্র সেই আড্ডার বিষয়! এ-ওর পিছনে লাগা, গান-নাচ নিয়ে নানা কথা, এমন কত কী! অশেষদা, অশেষ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন সেই আড্ডার কর্ণধার ওরফে মধ্যমণি। মোহরদি, মঞ্জুদি, বাচ্চুদি, মাধবদা— এমন অনেকে ছিলেন এই আড্ডার অঙ্গ! তবে সংগীত ভবনের আড্ডার, প্রাণ ছিল ‘গান’।’’
‘তাঁকে যখন ভরা গানের আসরে একদা এক শ্রোতা জিজ্ঞেস করেছিলেন, কী এমন দুঃখ তাঁকে জড়িয়ে আছে যে এত দরদ তাঁর গানে, থম মেরে গিয়েছিলেন, গলা ভারী হয়ে গিয়েছিল, মজা করে বলেছিলেন, মেরা তো বেগম হ্যায়, মেরা কোই গম নেহি।’
‘…তমালদা গাইছেন, ‘বর্ষণগীত হল মুখরিত মেঘমন্দ্রিত ছন্দে’, বাইরে অঝোরে বৃষ্টি। কালিকাপ্রসাদের কাছেই পরে শুনেছি, আদতে গান শেখার অছিলায় ওই মানুষটার সঙ্গে সময় কাটানো, তাঁর সাহচর্য আর আড্ডা দেওয়াই ছিল মূল।’
‘চারদিকে যে-সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা যাই প্রতিদিন, তাতে সতীনাথের গান বেমানান। সমস্যা হল তাঁদের নিয়ে, যাঁরা সিগনাল খুললেও তিরিশ সেকেন্ড ট্রাফিকে দাঁড়িয়ে যান, প্রিয় গানের সঞ্চারীটা শুনবেন বলে! সতীনাথ, সতীনাথের মতো দিকপালেরা তাঁদের মারেন আবার বাঁচানও!’
দর্শকের শো উপভোগ করার অধিকার যেমন আছে, উপভোগ না করারও অধিকার থাকা উচিত।
‘গানের সূত্রে কত মানুষের কাছে এসেছেন! অথচ এই মানুষটি আস্তে-আস্তে তাঁর গায়ক পরিচয়টি ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন। গান তাঁর সঙ্গে থাকল ঠিকই, কিন্তু আমরা শ্রোতারা তার সঙ্গী হতে পারলাম না। কেন এই দূরে চলে যাওয়া?’
‘কর্পোরেট জীবনে যেমন শুক্রবারের বিকেল থেকেই ছুটির আমেজ, তেমনটা গানের ক্ষেত্রে হবে কী করে? ছুটির দিন শ্রোতাদের, গায়কদের তো নয়! তাই সপ্তাহের কোনও ছুটির দিন আলাদা করে উপভোগ করি না।‘
‘‘কোয়াইট বিটল’ জর্জ হ্যারিসনের বড়জোর দু’টি করে গান প্রতি অ্যালবাম পিছু থাকবে বলে এমনই কিছু অঘোষিত নির্দেশিকা ছিল লেনন-ম্যাকার্টনি ডুয়োর। এবং এই প্রসঙ্গেই গান লেখার ইতিহাস।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.