
গানপয়েন্ট
‘এই যে পৃথিবী থেকে পৃথিবীর জল অনন্ত ও আদিম, এই যে আমার বন্ধুপ্রিয় আলোমধুভ্রমর গান তোমার সামনে তখন আমি থাকি, তুমি দেখতে পাও। তুমি যখন দেখতে পাও না, তখনও আমি থাকি।’

‘এই যে পৃথিবী থেকে পৃথিবীর জল অনন্ত ও আদিম, এই যে আমার বন্ধুপ্রিয় আলোমধুভ্রমর গান তোমার সামনে তখন আমি থাকি, তুমি দেখতে পাও। তুমি যখন দেখতে পাও না, তখনও আমি থাকি।’

‘কিন্তু এখানে মনে রাখতে হবে, এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে, ইংলিশ ব্যান্ডের শ্রোতা এবং ভোক্তা কারা? তারাও কি রবীন্দ্রনাথকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত? একটাও বাঙালি সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠানে কি এখন ইংলিশ ব্যান্ডকে ডাকা হয়?’

‘এবং সত্যিই ষোলো বছরের অধ্যাপনা ছেড়ে দিয়ে ‘আজকাল’-এ চলে গেলাম, যে কাগজ তখনও বেরয়নি। শুধুমাত্র গৌরদা বলেছিলেন বলে, “তোকে আমার চাই। তুই যা খুশি, তাই লিখবি…”’

‘তিনিই দেখিয়ে দিয়েছিলেন দেশের প্রাকৃতজনের প্রাণবন্ত ধর্মবিশ্বাসের সঙ্গে কীভাবে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে সেখানকার কারুশিল্প। তিনিই আজ থেকে ৬০-৬৫ বছর আগে সাবধান করে দিয়েছিলেন, বাঙালির জীবনের সঙ্গে শিল্পকর্মের প্রত্যক্ষ ঘনিষ্ঠ সংযোগ ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।’

‘আটাত্তরে শহরবাসী প্রথম জল জমা দেখল। তার আগে কি জল জমত না? অবশ্যই জমত, আবার নেমেও যেত। আটাত্তরে প্রথম জমা জল দাঁড়িয়ে রইল। দিনের পর দিন। আটাত্তরে জলমগ্ন পাড়ায় একটা উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল।’

‘মেট্রো থেকে যখন টালিগঞ্জে নামছি, তখন আরেক দফা হুড়মুড়িয়ে নামল আকাশ ভেঙে। বুঝলাম, আজ কপালে প্রভূত দুঃখ অপেক্ষা করে আছে। এই মুষলধার বৃষ্টিতে কতক্ষণ যে লাইনে দাঁড়াতে হবে, কেউ জানে না, অটো পাওয়া তো অনেক পরের কথা।’

‘একে-একে প্রায় ১৮ জন পাক খেলেন! বছর ঘুরছে, মহাবিষুব পেরচ্ছে সূর্য রশ্মি! সন্ন্যাসীরা পাক খেতে-খেতে ফল, বাতাসা বিলোচ্ছে অকাতরে! হুড়োহুড়ি করে সেসব কুড়নোর কী ধুম মানুষের!’

‘কলকাতা হয়ে উঠেছে এক বহু-শুঁড়ওলা দৈত্য, monstre tentaculaire। পোস্টার থেকেই ছবি শুরু হয়ে গেছে। সেখানে অক্ষরের ভিড়ে জঙ্গলের ইমেজ। তার মাঝে সত্যজিতের নায়ক একা, বিপন্ন, কম্পমান। তার রক্তের ভেতর খাঁ খাঁ করে এক শূন্যতা।’

‘আর মাত্র ক’টা দিনই জাকারিয়ার সুসজ্জিত দোকানগুলোর পশরা থাকবে, তারপর যে যার পেশায় ফিরে যাবেন, অনেকে ফিরে যাবেন নিজ-নিজ রাজ্যে।’

‘অলিপাবের সঙ্গে দ্বিতীয় আলাপে সখ্য জমে। ১৯৯৪ সালের ফেব্রুয়ারি। তখন ময়দানে হত কলকাতা বইমেলা। এক সন্ধেবেলা বইমেলার মাঠে খবর পেলাম, সিনিয়র সব কবিদাদারা গেছে অলিপাবে।’

‘হলুদ ট্যাক্সিলিপির মধ্যে রয়েছে বোধ, কল্পনা, আশাভঙ্গ, আকাঙ্ক্ষার যাপনচিত্র। ট্রাম সম্পর্কে জীবনানন্দ বলেছিলেন, ‘ফিলোজফার’স কার’; হলুদ ট্যাক্সিকে কলকাতার ভিস্যুয়াল আর্ট বলার মতো কেউ ছিলেন না, নেই।’

‘সোভিয়েত এয়ারফোর্সের প্রাক্তন সিনিয়র লেফটেন্যান্ট, কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ইউরি গ্যাগারিন ১০৮ মিনিট ধরে নীলগ্রহের চারপাশ ঘুরে এসে সগর্বে ঘোষণা করলেন— ‘আমি ভাল আছি।’’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.