
‘মাটি মাখার কাজ যাঁরা করতেন, তাঁরা আবার আরেকটা কর্মে নিজেদের দক্ষ করে তুললেন। আশ্চর্য সেই কাজের নাম। ‘মরা ধরা’। না মরা মানুষ ধরা তার কাজ নয় তার কাজ হল ভেজা মাটি মরে গিয়ে কোন মাপে মূর্তিকে নিয়ে আসে, তা নিখুঁত ভাবে হিসেব করা। সে জানে, যদি কোনও বাড়িতে দুর্গা কুড়ি হাত বানাতে হয় তাহলে একুশ বা বাইশ হাত পর্যন্ত মাটি গড়তে হবে।’

ক্লাস থ্রি-তে পড়াকালীন গোয়েন্দা রিপ আর অরণ্যদেবের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। কিছুদিনের মধ্যেই এগুলো পড়তে বেশি সময় লাগত না, আর তখন চোখ এদের কাছ থেকে স্লিপ

আমাদের একটু অন্যরকম ইচ্ছে ছিল। এখন ভাবলে হয়তো ছেলেমানুষিই মনে হয়। তখন ক্লাস টেন হবে, সে-বয়সে হয়তো এমন হয়। আমাদের ইচ্ছে ছিল, আমরা একটু উল্টোদিকে উৎসব কাটাব। এমন জায়গায় যাব, যেখানে পুজোর চিহ্নমাত্র নেই। সেটা কোথায়? গ্রাম? না, তা মোটেই নয়। গ্রামের পুজোও তো দ্রষ্টব্য। আমরা কলকাতার মধ্যেই এমন জায়গায় যাব, যেখানে পুজোর নামগন্ধ থাকবে না।

‘দেবীর কীসে আগমন আর কীসে গমন, তা মা পঞ্জিকা দেখে বলত। ফল শস্যপূর্ণবসুন্ধরা না ছত্রভঙ্গ। কিন্তু পুজো আসতে আসতেই ফিনিশ। এই কলাবউ স্নান-বোধন হল, সপ্তমীতে কুলকাঠের আগুন জ্বলল মণ্ডপের পাশে। তাই দিয়ে আমরা দেদার দোদমা আর চকলেট বোম ফাটিয়ে কোটা শেষ করে ফেললাম।’

‘সবাই শত্রুপক্ষ। ঢাকিটা পাড়ার প্যান্ডেলে মরার মতো ট্যাং ট্যাং করে চলেছে, হাত যেন চলেই না। অন্যান্য পাড়ার ঢাকিদের দেখো কেমন তেড়েফুঁড়ে গোল হয়ে ঘুরে নেচে-নেচে বাজাচ্ছে, ঢাকের পেছনে লাগানো পেখমের মতো ঝালর দুলিয়ে— মনে পড়েছে, পাখিটার নাম পিকক, কাত্তিকের বাহন!’

দুর্গাপুজোর আগে দুর্গানগরী হয়েছে পুজোর সর্বজনীন মাঠ। সর্বজনীন হয়ে ওঠার নির্মল আনন্দে মেতে গিয়েছি আমিও, বৃহত্তর পরিবারের সঙ্গে। মহালয়ার দিন মাইকে মহিষাসুরমর্দিনী শোনা থেকে শুরু করে— প্রতিমা উদ্বোধন, বোধন, কলাবউ স্নানে সঙ্গ দেওয়া।

একটা বড় অংশ, যাঁরা থিয়েটারমোদী কিন্তু সারা বছর ব্যস্ততার কারণে সময় পান না, তাঁদের কাছে পৌঁছনোর জন্য একটা বড় সুযোগ পুজোর সময়ে থিয়েটার করা।
তখন আমরা উত্তর কলকাতার ‘রঙ্গনা’-য় থিয়েটার করতাম। রোববার-সহ অন্য ছুটির দিন— সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী থেকে একাদশী দুটো করে শো করতাম। শুধু বিজয়ার দিন আমরা কোনও শো রাখতাম না।

পুজোর শুটিং কি পুজোর সময় হয়? ঝঞ্ঝাট পেরিয়ে পুজোর আনন্দ কি ক্যামেরার নেপথ্যে থেকেও অনুভব করা যায়? বলছেন অপর্ণা সেন, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, সুমন মুখোপাধ্যায়, রাজা সেন ও অমিত সেন…

“‘হীরের আংটি’-তে ব্যাপারটা এই প্যাটার্নের থেকে খানিক আলাদা। এখানে যে বাইরে থেকে আসছে, সে নিশ্চিতভাবেই ওই পরিবারের কেউ নয়। এমনকী, যে পরিচয় নিয়ে সে আসছে, সে প্রকৃতপক্ষে সেই ব্যক্তিও নয়, অর্থাৎ একধরনের ছলনা রয়েছে তার পরিচয়ের মধ্যেই।”
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.