
ঋত্বিক ও বিনির্মাণ
‘ঋত্বিক এখানে পুনর্জন্মবাদকে স্বীকৃতি না দিলেও, জীবনের যে-প্রবহমান নীতি, তা একপ্রকার অবিকৃতই রেখেছেন। কারণ তার উৎপত্তি কোনও ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র পৃথক কণা থেকে নয়, এ এক পারমার্থিক সত্য, যা অদ্বৈত মতে নাম, রূপ, স্থান ও কালের অতীত।’

‘ঋত্বিক এখানে পুনর্জন্মবাদকে স্বীকৃতি না দিলেও, জীবনের যে-প্রবহমান নীতি, তা একপ্রকার অবিকৃতই রেখেছেন। কারণ তার উৎপত্তি কোনও ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র পৃথক কণা থেকে নয়, এ এক পারমার্থিক সত্য, যা অদ্বৈত মতে নাম, রূপ, স্থান ও কালের অতীত।’

“‘স্মৃতি’কে এপিক ফর্মের মাধ্যমে ছুঁতে চান ঋত্বিক। আমাদের মনে করাতে চান বিকল্প এক ‘আধুনিকতা’-র অবয়ব। মৃত্তিকালগ্ন অবয়ব। আত্মবীক্ষা আর আত্মশক্তির ‘আধুনিকতা’।”

সার্বিয়ান চলচ্চিত্রকার নিকোলা লেজাইচের ‘হাউ কাম ইট’স অল গ্রিন আউট হিয়ার?’ ছবিটি মূলত আত্মজৈবনিক।মুখ্য ভূমিকায় এখানেও এক নিকোলা, বছর চৌত্রিশ বয়স তার; কমার্শিয়াল বিজ্ঞাপন পরিচালনা করে, ইচ্ছে আছে আগামীতে নিজের মনের মতো ছবি বানানোর।

ঋত্বিক ঘটকের চলচ্চিত্র নির্মাণের আড়াই দশক ও তৎপরবর্তী চলচ্চিত্রভাষার বাঁকবদলের প্রস্তুতির উপাদান— ‘নাগরিক’-এর নিরীক্ষা, ত্রুটি ও ভাষার মধ্যে নিহিত রয়েছে।

“বিদেশি বা তথাকথিত বিধর্মী কারিগরের হাতে নির্মিত বিস্কুটকে দেশীয় হিন্দুদের কাছে নিয়ে আসার চেষ্টায় ১৮৯৮-তে দিল্লিতে লালা রাধামোহন খুললেন ‘হিন্দু বিস্কুট কোম্পানি’। নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ধর্মের আবেগকে কাজে লাগানো হচ্ছে বিস্কুট নির্মাণের ক্ষেত্রেও।”

‘অরুণ মিত্র পার্টি-অনুশাসন মেনে কবিতা লেখার নিদানকে মানতে পারেননি। ১৯৪০ থেকে ১৯৪৮ পর্যন্ত বাংলাদেশের বামপন্থী কবিগোষ্ঠীর একজন ছিলেন তিনি। পরে ধীরে-ধীরে নিজেকে একান্ত জগতে গুটিয়ে নেন। যদিও বামপন্থীদের সঙ্গে মনোমালিন্যের কোনও ইতিহাস নেই।’

‘আগে প্রতিমা কেমন হবে ভেবে, তার সঙ্গে মানানসইভাবে মণ্ডপ তৈরি করা― এটা আমার পদ্ধতি নয়। মণ্ডপের মূল বিষয় বাদ দিয়ে, আমার কাছে কোনও কিছুই প্রাধান্য পায় না। সেই থিমটাকে ফুটিয়ে তোলার জন্য যদি পারফরমেন্স-এর প্রয়োজন হয়, তবে ততটুকুই পারফরমেন্স রাখি।’
সাক্ষাৎকার। অনির্বাণ দাস

প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত ‘জলপাই কাঠের এসরাজ’ বইটির কবিতাগুলি নিয়ে বেশ বুঝিয়েছিলেন, আমাকে আপন পথটি বেছে নিতে হবে। নানা ধরনের ব্যাপারে আমাকে সতর্কই করেছিলেন তিনি। তাঁর এসব কথা আমার দারুণ লেগেছিল। সে-সময়ে বিস্তর ভেবেছি।
সংবাদ মূলত কাব্য। পর্ব ২০

“গাট্টু শুধু একটি রঙ কোম্পানির প্রতীক না থেকে হয়ে উঠেছিল দেশের সকল মানুষের ‘ঘরের ছেলে’।”

“ক্যাসেট কোম্পানিগুলো কিশোরকুমারের শ’দুয়েক গানকেই ঘুরিয়েফিরিয়ে নানা নামে বাজারে বেচত। তার বাইরের গান শুনতে পাওয়ার সহজ সুযোগ ছিল না তেমন। সেই সময়ে আমি কিছু আশ্চর্য লোকজনের খোঁজ পেলাম। কারা তাঁরা? তাঁরা ‘গানচোর’।”
কিশোরকুমারের মৃত্যুবার্ষিকীতে বিশেষ নিবন্ধ…

“অবাঙালিদের ‘সবক’ শেখানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু এই চেষ্টা বিক্ষিপ্ত ঘটনা হিসেবেই রয়ে যায়। ফলস্বরূপ দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিরিয়ানির দোকানের হোর্ডিং নামিয়ে নিতে হয়, উত্তর ভারতীয় দাদারা নবরাত্রিতে আমিষ খান না বলে।”

‘যে-বিষয় নিয়ে বইটা লেখা, যে-সময়ের কথা বলা, সে-সময়ে কিংবা তার আগে-পরে কি এ-বিষয়— নেশা বা রান্না-খাওয়া ইত্যাদি নিয়ে কেউ লিখেছেন? কেউ লেখেননি। যাঁর যেটা ইচ্ছে হয়, সেটা নিয়ে তিনি চর্চা করেন। এখন সেটা ধ্রুপদী ইতিহাসের তকমা পাবে কি না, সে-তো পাঠক বলবেন!’
সাক্ষাৎকার। অরুণ নাগ
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.