Bengali literature সম্বন্ধে খুঁজে পাওয়া লেখাগুলি

জয়দীপ রাউত

সেই সব স্মৃতি-শক্তি

‘কুয়া কেন! কেন কুয়ো নয়? কী ক্ষতি হত যদি লিখতেন, ‘অনন্ত কুয়োর জলে চাঁদ পড়ে আছে’? শক্তি বললেন, ‘কুয়ো বললে জায়গাটা কেমন যেন ছোট হয়ে যায়, তাই না? কুয়া বললে জল থেকে জ্যোৎস্না উথলে ওঠে।’ আশ্চর্য হয়ে গেলাম।’

নীলার্ণব চক্রবর্তী

সুইসাইড নোটস

‘মা ছিল ম্যাচিওরড, বাবা তো শিশুই, তাই/ মনে করত, কত কিছুই হতে পারে, ঘটে যেতে পারে যাহা-তাহা,/ কেউ আবার মরে নাকি আহা…/ মৃত্যুর রাতে বাবার সামনে যাইনি কিছুতেই, জানতাম আর/ কিছু করা যাবে না, শেষ রক্ষার সময় শেষ হয়ে গেছে…’

রাজীব চৌধুরী

ঋত্বিক ঘটকের এক্সট্যাসি

‘হয় তাঁর গল্পে কাহিনি গৌণ হয়ে জ্বলজ্বল করছে কোনও একটা আবেগ বা প্রতীতি; নয় এমন এক সামাজিক ক্ষত বা প্রতিরোধের গল্প শানানো হচ্ছে, যার সম্ভাব্যতা অতিনাটকের কাঁচা চেহারার প্রোমোশনের সমগোত্রীয় কিছু হতে বসে।’

Sangbad-Muloto-Kabya-EP22-featured-image
মৃদুল দাশগুপ্ত

সংবাদ মূলত কাব‍্য: পর্ব ২২

‘একদিন অফিসে আমার টেবিলের সামনে এসে পরিচয় দিলেন তিন নাবিক। একজনের পরনে পেতলের বোতাম আঁটা ধূলিধূসরিত নীলচে জ‍্যাকেট, মাথায় গল্‌ফ ক‍্যাপ, বাকি দু’জনের ওই ধাঁচে জোব্বা, ঝোলা… করমর্দনের হাত বাড়ালেন জীবনযুদ্ধে লড়াকু তিন জলমানব।’

সুকান্ত চৌধুরী

প্রসঙ্গ : সুকুমার রায়

সুকুমার রায় কি শুধুই আগডুম-বাগডুম লিখেছেন সারাজীবন? তাঁর লেখার এক-একটা চরিত্র আসলে কতটা বাস্তব? কোনও বৃহত্তর দর্শনের আভাস কি তাঁর লেখার ভেতর থেকে উঠে আসে? সুকুমার রায়ের লেখার জগৎ নিয়ে অধ্যাপক সুকান্ত চৌধুরী জানালেন তাঁর ভাবনার কথা।

Illustration by Suhomoy Mitra
শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ৪৬

‘আমিও ঢাকের কাঠি থেকে হাত সরিয়ে নিয়েছি অনেকদিন হল। মনে-মনে কত কী বিসর্জন দিতে হল এই ক’বছরে, আর কানে-কানে শুনতে পেলাম সেই ম্লান ঢাকের বাদ্যি, সে আর বলার না। বিষণ্ণতা আসলে এক শেষ-না-হতে-চাওয়া পূজা পর্যায়, আর দূর থেকে ভেসে আসা ঢাকের আওয়াজ আসলে হেমন্তকালের ডাক।’

আশিস পাঠক

মঞ্চের বাইরে

‘তৃপ্তি মিত্রর নাটক, প্রবন্ধ, ছোটগল্পগুলি নানা বইয়ে ছড়িয়ে ছিল। এবার দু’মলাটে ধরা রইল। ছোটগল্প আর নাটক ছাড়া নানা বিষয়ে নিবন্ধও লিখেছিলেন তৃপ্তি মিত্র। সেসবে কখনও স্মৃতি, কখনও সাম্প্রতিকের সত্তা, কখনও বা ভবিষ্যতের দিকনির্দেশ।’

প্রতীক

মেহের আলির দুর্গ

‘যেমন ভাবা তেমনই কাজ। এরপর থেকে দুর্গের এদিকে ওদিকে ছোটবড় পাথরে নানা ঠাকুরের নাম লেখা হতে লাগল। মেহের আলি দূর থেকে দেখল, তেড়ে খিস্তি পর্যন্ত করল। কিন্তু যারা লিখছে তাদের হাতে দু-একবার চড়থাপ্পড় খাওয়ার পর গুটিয়ে গেল। দুর্গে লোকসমাগম বেড়ে গেল আরও।’

অরুন্ধতী দাশ

অন্তরালের সুখলতা

‘তিনি লিখছেন, অন্যায়ের মোকাবিলা করে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা দেখাতে গিয়ে, মন্দের ওপরে ভালর জয় দেখাতে গিয়ে অনেক সময়েই ছোটদের গল্পে খল চরিত্রগুলোর শেষ পরিণতি বেশ ভয়াবহ করেই দেখানো হয়। তাদের কৃতকর্মের ফল ভোগ করাতে গিয়ে নরম মনের ওপরে যে কড়া ক্ষত তৈরি হতে পারে, সে-কথাটাও ভেবে দেখে প্রয়োজন।’

অঙ্কন ঘোড়ই

অন্ধত্ব ও যন্ত্র-প্রযুক্তি

‘সুবোধচন্দ্রের স্পষ্ট মত, রবীন্দ্রনাথের যদি লিখতেন, তবে সে-লেখায় সাফল্যমণ্ডিত অন্ধ চরিত্রের বর্ণনা দেখে হয়তো চক্ষুষ্মান ব্যক্তিদের গতানুগতিক ধারণার বদল আসত। এতে অন্ধদের জীবনে প্রচুর কল্যাণ হত। অলৌকিকতা দিয়ে অন্ধত্বের মোকাবিলা সম্ভব না, সহানুভূতির পাশাপাশি দরকার কিছু বিজ্ঞানসম্মত পদক্ষেপ।’

Manik Bandyopadhyay and his book
আশিস পাঠক

স্বত্ব ও শর্ত

‘প্রযোজক কে কে প্রোডাকশনস সিনেমা করতে চেয়েছিল তাঁর ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ অবলম্বনে। মানিক প্রথমে রাজি হননি। তখন নিদারুণ অর্থাভাব তাঁর। তবু রাজি হননি। কারণ সিনেমার কাছে আত্মবিক্রয় করবেন না। প্রবল আত্মবিশ্বাসে নিজেই ডায়েরিতে লিখছেন সে-কথা।’

আলপনা ঘোষ

তেজস্বিনী

‘যে যুগে হিন্দু মহিলাদের শিক্ষা গ্রহণ ছিল এক বিরল ঘটনা, সেই সময়ে কামিনী রায় শুধু যে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে ছিলেন তাই নয়, শিক্ষাক্ষেত্রে এবং সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান কিছু কম ছিল না। এরই সঙ্গে কবিতা রচনার পাশাপাশি তিনি হয়ে উঠেছিলেন একজন সাহসী নারীবাদী লেখিকা।’