Bengali literature সম্বন্ধে খুঁজে পাওয়া লেখাগুলি

একরাম আলি

মরণোত্তর বিনয়

‘বাংলা সাহিত্যে বিনয় মজুমদারের কবিতায় ক্যালকুলাস, ভ্যারিয়েবল এবং জ্যামিতি সরাসরি ব্যবহৃত হয়েছে। তাঁর গণিত-প্রভাবিত কাব্যচিন্তা জীবনভর ধারাবাহিক ছিল, বিশেষ করে আটের দশক থেকে তাঁর গণিত আবিষ্কার এবং কবিতায় সেগুলোর প্রয়োগ আরও সুস্পষ্ট হয়।’

Image_featured Image
শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৪৯

‘জ্যোতিউজল বিড়ালী এক পাড়ামনিব,/ ডানা পোড়ায় সারাটা রাত চাঁদের পায়ে/ ক্ষতের প্রিয় বন্ধু জোটে সজল জিভ/ জ্যোৎস্নাকে সে তলব করে চুরির দায়ে।’

Representative Image
শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়

বানানের বনিবনা

‘এখন মনে হচ্ছে, বানানের একুশে আইনের চাইতে নৈরাজ্য নেহাত খারাপ নয়। বিশেষ করে পথেঘাটে নিরন্তর যখন শুনি আজকাল তো বাংলা বানানের কোনও মাথামুন্ডু নেই। যাঁরা বলেন, তাঁরা সকলেই যে বানান নিয়ে খুব ভাবিত এমন তো নয়!’

জয়দীপ রাউত

সেই সব স্মৃতি-শক্তি

‘কুয়া কেন! কেন কুয়ো নয়? কী ক্ষতি হত যদি লিখতেন, ‘অনন্ত কুয়োর জলে চাঁদ পড়ে আছে’? শক্তি বললেন, ‘কুয়ো বললে জায়গাটা কেমন যেন ছোট হয়ে যায়, তাই না? কুয়া বললে জল থেকে জ্যোৎস্না উথলে ওঠে।’ আশ্চর্য হয়ে গেলাম।’

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা : পর্ব ৫৬

বাংলা কবিতার পাঠকদের কাছে তিনি খুব একটা পরিচিত নন। আটের দশকের কবি তিনি, অকালপ্রয়াত। এ-যাবৎ একটাই কাব্যগ্রন্থ তাঁর, ‘একটি তারার তিমির’। ‘কবির সঙ্গে দেখা’র এই পর্বে রইল কবি অচ্যুত মণ্ডলের কবিতা..

নীলার্ণব চক্রবর্তী

সুইসাইড নোটস

‘মা ছিল ম্যাচিওরড, বাবা তো শিশুই, তাই/ মনে করত, কত কিছুই হতে পারে, ঘটে যেতে পারে যাহা-তাহা,/ কেউ আবার মরে নাকি আহা…/ মৃত্যুর রাতে বাবার সামনে যাইনি কিছুতেই, জানতাম আর/ কিছু করা যাবে না, শেষ রক্ষার সময় শেষ হয়ে গেছে…’

রাজীব চৌধুরী

ঋত্বিক ঘটকের এক্সট্যাসি

‘হয় তাঁর গল্পে কাহিনি গৌণ হয়ে জ্বলজ্বল করছে কোনও একটা আবেগ বা প্রতীতি; নয় এমন এক সামাজিক ক্ষত বা প্রতিরোধের গল্প শানানো হচ্ছে, যার সম্ভাব্যতা অতিনাটকের কাঁচা চেহারার প্রোমোশনের সমগোত্রীয় কিছু হতে বসে।’

Sangbad-Muloto-Kabya-EP22-featured-image
মৃদুল দাশগুপ্ত

সংবাদ মূলত কাব‍্য: পর্ব ২২

‘একদিন অফিসে আমার টেবিলের সামনে এসে পরিচয় দিলেন তিন নাবিক। একজনের পরনে পেতলের বোতাম আঁটা ধূলিধূসরিত নীলচে জ‍্যাকেট, মাথায় গল্‌ফ ক‍্যাপ, বাকি দু’জনের ওই ধাঁচে জোব্বা, ঝোলা… করমর্দনের হাত বাড়ালেন জীবনযুদ্ধে লড়াকু তিন জলমানব।’

সুকান্ত চৌধুরী

প্রসঙ্গ : সুকুমার রায়

সুকুমার রায় কি শুধুই আগডুম-বাগডুম লিখেছেন সারাজীবন? তাঁর লেখার এক-একটা চরিত্র আসলে কতটা বাস্তব? কোনও বৃহত্তর দর্শনের আভাস কি তাঁর লেখার ভেতর থেকে উঠে আসে? সুকুমার রায়ের লেখার জগৎ নিয়ে অধ্যাপক সুকান্ত চৌধুরী জানালেন তাঁর ভাবনার কথা।

Illustration by Suhomoy Mitra
শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ৪৬

‘আমিও ঢাকের কাঠি থেকে হাত সরিয়ে নিয়েছি অনেকদিন হল। মনে-মনে কত কী বিসর্জন দিতে হল এই ক’বছরে, আর কানে-কানে শুনতে পেলাম সেই ম্লান ঢাকের বাদ্যি, সে আর বলার না। বিষণ্ণতা আসলে এক শেষ-না-হতে-চাওয়া পূজা পর্যায়, আর দূর থেকে ভেসে আসা ঢাকের আওয়াজ আসলে হেমন্তকালের ডাক।’

আশিস পাঠক

মঞ্চের বাইরে

‘তৃপ্তি মিত্রর নাটক, প্রবন্ধ, ছোটগল্পগুলি নানা বইয়ে ছড়িয়ে ছিল। এবার দু’মলাটে ধরা রইল। ছোটগল্প আর নাটক ছাড়া নানা বিষয়ে নিবন্ধও লিখেছিলেন তৃপ্তি মিত্র। সেসবে কখনও স্মৃতি, কখনও সাম্প্রতিকের সত্তা, কখনও বা ভবিষ্যতের দিকনির্দেশ।’

প্রতীক

মেহের আলির দুর্গ

‘যেমন ভাবা তেমনই কাজ। এরপর থেকে দুর্গের এদিকে ওদিকে ছোটবড় পাথরে নানা ঠাকুরের নাম লেখা হতে লাগল। মেহের আলি দূর থেকে দেখল, তেড়ে খিস্তি পর্যন্ত করল। কিন্তু যারা লিখছে তাদের হাতে দু-একবার চড়থাপ্পড় খাওয়ার পর গুটিয়ে গেল। দুর্গে লোকসমাগম বেড়ে গেল আরও।’