

‘সৈনিক’ নজরুল
‘দেশকে দেখা-জানার উপলব্ধিতে নজরুলের নিজস্ব অভিজ্ঞতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল মুজফফর আহমেদের মতো একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের আন্তরিক সান্নিধ্য।’
‘দেশকে দেখা-জানার উপলব্ধিতে নজরুলের নিজস্ব অভিজ্ঞতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল মুজফফর আহমেদের মতো একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের আন্তরিক সান্নিধ্য।’
‘মোদ্দা কথাটা মানিক বলে গিয়েছেন তাঁর ‘লেখকের কথা’-য়। প্রশ্নটা কলম-পেষা মজুরের দায়। একটা জীবন-দর্শন ছাড়া সাহিত্যিক হওয়া অসম্ভব। সর্বত্র জীবনকে দেখার বিরামহীন শ্রম তাকে দিতেই হবে। সে-অর্থে সাহিত্যিকও আদতে মজুর-ই।’
‘বড় রুমাল একটি মাথায় বেঁধে দু’পাশে ঝুলিয়ে সুনীলদা আমারও রুমালটি ওইভাবে বাঁধলেন, গেলাসে চুমুক দিতে-দিতে সুনীলদা বললেন, মরুদ্যানে ধাবায় হাইওয়ের ধারে বেদুইনরা এভাবেই মদ খায়।’
‘অথচ দিন ছিল তো বেশ ঢালু/গড়াত রোদ নীল জলের দিকে/এখানে তাও প্রবাদ আছে চালু,/সহানুভূতি পায় না দুঃখীকে। আবার কোনও বসতি-অবসরে/চিঠির ভাঁজে বানিয়ে নিয়ো বিমান…/তোমার হাতে ক্ষয়ক্ষতির পরে/বিষাদ মাপে অবসানের সীমা।’
‘কৃষ্ণা-শিখাদের মর্যাদা দেওয়ার ছলে নারীকে তার পিতৃতান্ত্রিক সংজ্ঞা মনে করিয়ে দেওয়ার যে রাজনীতি কাজ করে যাচ্ছিল, প্রভাবতী দেবীও কোথাও না কোথাও তারই ফুট সোলজার হয়ে যান।’
‘উপেন্দ্রকিশোর ছাত্রাবস্থায় জেনেছিলেন, তামা ও দস্তার পাতে খোদাই করে ছাপলে ছবি ভাল হয়। এই নিয়ে গবেষণা শুরু করলেন তিনি। তিনিও জানতেন না, তাঁর একটিমাত্র ভাবনা সেই যুগের একটা স্টিটেমকে পাল্টে দেবে।’
‘এআই যদি একদিন মানুষের থেকে ভাল (আপেক্ষিক) কবিতা লিখে উঠতে পারে, বাংলা কবিতার পাঠক হিসেবে আমরা কি সেই কবিতা সাদরে গ্রহণ করব, না যন্ত্রের সৃষ্টি বলে তৎক্ষণাৎ বাতিল করে দেব?’
‘বই যখন পেলেন রবীন্দ্রনাথ, ভাল লাগল না তখন। চারুচন্দ্রকেই লিখলেন, ‘চয়নিকা পেয়েছি। ছাপা ভাল, কাগজ ভাল, বাঁধাই ভাল। কবিতা ভাল কি না তা জন্মান্তরে যখন সমালোচক হয়ে প্রকাশ পাব তখন জানাব। কিন্তু ছবি ভাল হয় নি সে কথা স্বীকার করতেই হবে।’’
‘চাষের ক্ষেত্রটিতে রবীন্দ্রনাথ যে বরাবর খুব সফল হয়েছেন, তা নয়। কিন্তু তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেমে থাকেনি। ব্যর্থতাকেও শিক্ষার অঙ্গরূপে ধরে নিয়েই তিনি এগিয়েছেন আজীবন। এখানেই তাঁর স্বাতন্ত্র্য।’
‘আমরা জানি, ‘রক্তকরবী’র শতবর্ষ চলছে, এই নিয়ে হইচই চারিদিকে। কিন্তু নাটকটির রচনা, প্রকাশকালের সময়-সারণী বলে, ১৩২৩ সালের এমনই এক বৈশাখ মাসে শিলং-এর জিৎভূম-এ ‘রক্তকরবী’ লেখা শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ।’
‘খাবারের প্রতি সংযম রেখে এবং ডায়েট করে করে যাঁরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, তাঁদের হাসিমুখে বেঁচে থাকার জন্য ফি-বছর, ৬ মে তারিখে সারা বিশ্বে পালিত হওয়া ‘নো ডায়েট ডে’-র মূল্য অপরিসীম।’
‘অভিমানে ঘর ছেড়েছিলেন একদিন। অভিভাবকদের কাছে একটা অভিধান আর বালির কাগজের খাতার বদলে এক্সারসাইজ বুক চেয়েও না পাওয়ায় বাড়ি ছেড়ে চলে গেলেন হাওড়া স্টেশনে। দু’দিন স্টেশনেই থেকে চড়ে বসলেন দূরপাল্লার ট্রেনে।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.