

চা-স্পৃহ চাতক
‘লোককাহিনি অনুযায়ী এক চৈনিক পরিব্রাজক কোনও এক বনের মধ্যে দিনের শেষে বিশ্রামের সময়ে জল গরম করছিলেন, তখন গাছ থেকে কয়েকটি পাতা উড়ে এসে গরম জলে পড়ে। কিঞ্চিৎ ফোটার পর সেই জল রঙিন পানীয় চায়ে পরিণত হয়।’
‘লোককাহিনি অনুযায়ী এক চৈনিক পরিব্রাজক কোনও এক বনের মধ্যে দিনের শেষে বিশ্রামের সময়ে জল গরম করছিলেন, তখন গাছ থেকে কয়েকটি পাতা উড়ে এসে গরম জলে পড়ে। কিঞ্চিৎ ফোটার পর সেই জল রঙিন পানীয় চায়ে পরিণত হয়।’
‘এই চা উৎসবের সঙ্গে, চীন বা জাপানের মতোই জড়িয়ে থাকে ছোট্ট-ছোট্ট কবিতা, ফুল সাজানোর শিল্প, ক্যালিগ্রাফি, সেরামিক শিল্পের মতো নানা শিল্পকলা। অপূর্ণাঙ্গতা, সহজতা, অনিত্যতা, অসম্পূর্ণতার সৌন্দর্য এবং আনন্দই, এই ভারতবর্ষীয় বোধি চা উৎসবের আত্মা।’
‘ধরুন, আমি একটা কিছু ভাবছি… ধরা যাক আমি চা খাব ভাবছি, বা চা কিনব ভাবছি, তখন আমার হঠাৎ মনে পড়ে গেল এই টাটা টি-র ‘জাগো রে’ ক্যাম্পেনের কথা। পছন্দের বিজ্ঞাপন।’
‘বাবুর বৈঠকখানায় যেভাবে চা-পানের রীতি প্রচলিত হয়েছিল, মহিলাদের ক্ষেত্রে তার কি কিছু ব্যতিক্রম দেখা যায়? অবসরের ধারণা, মেলামেশা বা চার ইয়ারি আড্ডায় লিঙ্গভেদ আছে কি?’
‘প্রিয়নাথ নিজের দলকে ব্যবহার করতেন স্বদেশি চেতনার প্রসারের কাজেও। প্রতিদিন অনুষ্ঠান শেষে ইংরেজদের অত্যাচারে ধুঁকতে থাকা দেশবাসীকে জাগিয়ে তোলার উদ্দেশ্যে জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখতেন তিনি, তাঁবু ফুঁড়ে ধ্বনি উঠত ‘বন্দেমাতরম’।’
বঙ্গবালাদের উদ্দেশ্য ছিল, মিষ্টিকে মিষ্টি নকশার ছাঁদে ফেলে মনভোলানো উপায়ে প্রস্তুত ও পরিবেশন করা।শুধু মিষ্টি পরিবেশন নয়, এর মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে বাইরের অতিথির সামনে অন্তঃপুরবাসিনীর নিজেকে বা নিজের আত্মপরিচয়কে তুলে ধরার বাসনা।
‘মুখে বললেও বাইরের ভোলের সঙ্গে-সঙ্গে ভেতরেও যে তার একটা সূক্ষ্ম পরিবর্তন হচ্ছে, অনাদিবাবু টের পাচ্ছেন। আগে যেটা তিনি ডাহা কুসংস্কার বলে জানতেন, আজকাল তা বিশ্বাস করতে ভীষণ ইচ্ছা করে।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.