bengali cinema সম্বন্ধে খুঁজে পাওয়া লেখাগুলি

সন্দীপন চক্রবর্তী

সময়ের টিপছাপ

“‘হীরের আংটি’-তে ব্যাপারটা এই প্যাটার্নের থেকে খানিক আলাদা। এখানে যে বাইরে থেকে আসছে, সে নিশ্চিতভাবেই ওই পরিবারের কেউ নয়। এমনকী, যে পরিচয় নিয়ে সে আসছে, সে প্রকৃতপক্ষে সেই ব্যক্তিও নয়, অর্থাৎ একধরনের ছলনা রয়েছে তার পরিচয়ের মধ্যেই।”

Represtentative Image
শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore)

মহানায়ক

‘মৃণালদা-সহ অনেকেই বলেছিলেন যে, মানিকদা কেন উত্তমবাবুর মতো একজন মূলধারার বাণিজ্যিক ছবির আইকনকে নিজের ছবিতে নিচ্ছেন? আমার মনে হয় আসলে, উত্তমবাবুর নামটার সঙ্গেই স্বতঃস্ফূর্ত বিশেষণ চলে আসে— ‘স্টার’। উত্তমবাবু মানেই স্টার, স্টার মানেই উত্তমবাবু।’
উত্তমকুমারের জন্ম-শতবর্ষে বিশেষ নিবন্ধ…

Representative Image
চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং : পর্ব ৭১

‘প্রিমিয়ারের কত্তাদের যুক্তি সম্ভবত এই: আশপাশের বাড়ির লোকের কথা তো আমি ভাবব না, আমার টার্গেট রাস্তা দিয়ে চলা জনতা এবং বাস, অটো, গাড়ি, রিকশার স্রোতের ভেতর থাকা পাবলিক, যারা যেতে যেতে একঝলক দেখে ও শুনে প্রচুর মুগ্ধতা ও কৌতূহল নিয়ে বাড়ি ফিরবে।’

Hiralal Sen
সৌরপ্রভ চট্টোপাধ্যায়

ট্র্যাজিক হিরো হীরালাল

স্টার, মিনার্ভাতে ছবি দেখিয়ে প্রভূত উপার্জন করল রয়্যাল বায়োস্কোপ কোম্পানি। কিন্তু শুধু ছবি দেখিয়ে মন ভরল না হীরালালের। ১৯০০ সালে ফ্রান্সের প্যাথে কোম্পানি কয়েকটা ক্যামেরা খুব কম দামে বিক্রি করলে, তারই একটা নিয়ে নতুন অভিযানে নামলেন তিনি। হীরালাল সেনের জন্মদিনে বিশেষ নিবন্ধ…

Rajen Tarafdar
গৌতম ঘোষ

আমাদের রাজেনদা

‘‘লেখনীশক্তি খুব জোরদার ছিল রাজেনদার। তাই তরুণ মজুমদার, যিনি কিনা নিজের চিত্রনাট্য নিজেই লিখতেন, সেই তিনিও, দুটো ছবির— ‘সংসার সীমান্তে’ ও ‘গণদেবতা’— চিত্রনাট্য লিখিয়েছিলেন রাজেনদাকে দিয়ে।’’

Kamal Mitra with Uttam Kumar
রজতেন্দ্র মুখোপাধ্যায়

কঠিনে-কোমলে

‘বিভিন্ন বাংলা ছায়াছবিতে থাকা বিভিন্ন বাবা চরিত্রের কথা বলতে গিয়ে আমার যেটা মনে হল, সেটা হচ্ছে, আমাদের এই বাঙালি বাবারা রাগী হতে পারেন, দাম্ভিক হতে পারেন, কিন্তু সব কিছুর পরেও নিজের সন্তানের প্রতি তাঁদের মনে যে-ভালবাসা থাকে, তার জন্যেই তাঁদের চিরকাল ভালবাসা যায়।’

Chhabi Biswas
সুপ্রিয় রায়

ছবি ও বিশ্বাস

‘সে-যুগের সিনেমায় ছবি বিশ্বাস, অন্তত তাঁর জীবনের একটু প্রৌঢ় সময়ে ছিলেন আভিজাত্যের অমোঘ প্রতীক— এ-কথা সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন। তিনি অভিজাত পরিবারেরই সন্তান, কিন্তু সেটা তো তখন অজস্র! বাঙালির আর্থিক সমৃদ্ধির যুগের শেষ আলোটুকু তখনও বেশ জোরালো।’

সোহিনী দাশগুপ্ত

ভালবাসার সমুদ্র

‘‘নির্জন সৈকতে’ দেখে প্রথমবারই অবাক হয়েছিলাম। ১৯৬৩-তে এমন একটি ছবি তপন সিংহ বানিয়েছিলেন, যার কেন্দ্রে চার বিধবা মেয়ের নিজেরা নিজেরা তীর্থে বেরিয়ে পড়া।’

Rituparno Ghosh
সঞ্জীব ঘোষ

ঋতু অ্যান্ড কোম্পানি…

নিজের ছবি তোলার ব্যাপারে ঋতুপর্ণ ঘোষ বরাবর ‘ভীষণ খুঁতখুঁতে; আলো, ক্যামেরা-অ্যাঙ্গেল, শরীরের ভঙ্গি, মুখের আদল, সর্বোপরি চোখের ভাষা— সবই মনমতো হতে হবে। এদিকে, সেদিন ওর মেক-আপ এবং কস্টিউম— দুটোই আমার বেশ খারাপ লেগেছিল।’

Rituparno Ghosh
বিশ্বনাথ আচার্য

ঋতু-বর্ণ

‘ঋতুদা ভয়ানক রেগে যায়। হুকুম করেছিল, ‘যাও, বাইরে বেরিয়ে নিল ডাউন হয়ে বসে থাকো।’ আমি সেটের বাইরে বেরিয়ে চেয়ারে বসে আছি, হঠাৎ একজন এসে বলল, ‘কী রে, তুই চেয়ারে বসে আছিস! ঋতুদা আমায় দেখতে পাঠাল তুই নিল ডাউন হয়ে বসে আছিস কি না।’’



Scene of 'Ajantrik'
অনিন্দ্য সেনগুপ্ত

ঋত্বিকের চর্যাপদ

‘ভাল করে ভেবে দেখুন, জগদ্দলের ‘মানবিকীকরণ’-এর প্রচেষ্টা খুব একটা নেই ছবিতে। যখনই সেরকম মনে হচ্ছে, সেখানে বিমলের পয়েন্ট অফ ভিউ থাকে। কার্বুরেটরে জল ভরার সময়ে ঢকঢক করে জলের আওয়াজ যার মধ্যে সবচেয়ে মনে থাকে।’

Bikash Roy
সুপ্রিয় রায়

বিকাশ-পর্ব

‘রীতিমতো ভিন্নধর্মী কিছু চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন বিকাশ রায়, ফিল্ম বাজারের বাধ্যবাধকতার ভেতরেই অন্যতর কিছু অচেনা ভূমি, না-বলা কিছু গল্প ও বাংলা সিনেমাকে কিছু নয়া ল্যান্ডস্কেপে নিয়ে যাওয়ার আন্তরিক প্রচেষ্টা ছিল তাতে।’