

মুক্তিযোদ্ধা
থিয়েটারকে নাগরিক বৃত্তের বেড়াজাল থেকে বের করে আনার যে লড়াই লড়েছিলেন বাদল সরকার, তা, বলা যায়, একরকমের মুক্তিযুদ্ধই। সেই লড়াইয়ে বাদল সরকার কিন্তু সফলও হয়েছিলেন।
থিয়েটারকে নাগরিক বৃত্তের বেড়াজাল থেকে বের করে আনার যে লড়াই লড়েছিলেন বাদল সরকার, তা, বলা যায়, একরকমের মুক্তিযুদ্ধই। সেই লড়াইয়ে বাদল সরকার কিন্তু সফলও হয়েছিলেন।
‘কত কিছু যে শিখিয়েছেন, তা ঠিক গুনেগেঁথে বলা যাবে না। আসলে আমি যখন বাদলদার কাছে গিয়েছিলাম, তখন ছিলাম একটা মাটির তাল। সেই মাটির তাল থেকে বাদলদা আমায় গড়ে তুলেছেন। মৃণালদা হয়তো সেই গড়নের ওপর রং-টং চড়িয়ে আমায় আরও পালিশ করে দিয়েছেন, কিন্তু মুখ্য কারিগর হলেন বাদলদা।’
‘‘‘রক্তকরবী’ রচনার শতবর্ষ। বাদল সরকারেরও একশো স্পর্শ করা। তবে এখানে কোনও সমাপতন নেই। দীর্ঘদিন ধরেই রঞ্জনের উত্তরপুরুষের মতো তিনি কাজ করেছেন। নাহলে ‘মিছিল’-এ কী করে প্রবেশ করে সর্দারের দল! ওই যে একদা ‘গীতবিতান’ সম্বল করে সাতসমুদ্র তেরো নদী পার হয়ে বিদেশ যাত্রা করেছিলেন?’’
‘বাদলদা আদ্যপান্ত রাজনৈতিক মানুষ ছিলেন, কিন্তু কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের রঙ ঘেঁষা নন। উনি বলতেন, যে-মুহূর্তে একটা সৃষ্টি রাজনৈতিক রং পেয়ে যায়, সেটা আর স্বতন্ত্র সৃষ্টি থাকে না। ওঁকে দেখে হঠাৎ করে মনে হতেই পারে উনি কমিউনিস্ট, তা উনি ছিলেন না।’
‘উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যে নকশালবাড়ি সেই সময়ে উল্লেখযোগ্য। এই সময়েই বাদল সরকার মঞ্চের ঘেরাটোপ থেকে দর্শকদের মধ্যে নেমে আসছেন— ২৪ অক্টোবর, ১৯৭১। থার্ড থিয়েটারের ভিত্তিভূমি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। শুধু ফর্মের পরিবর্তন নয়। রাজনৈতিক-দার্শনিক পরিবর্তন।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.