
সবাক চিত্রকর
“নির্বাক থেকে ক্রমশ সবাক হয়ে উঠছে চলচ্চিত্র। নতুন শিক্ষাকে সাদরে গ্রহণ করলেন দেবকী। বুঝলেন, নির্বাক চলচ্চিত্রের যুগ শেষ। সিনেমা তৈরি করতে হলে শুধু আলো-ছবি নয়, তাকে সাজিয়ে দিতে শব্দ, সুর আর ছন্দের লাবণ্যে।”

“নির্বাক থেকে ক্রমশ সবাক হয়ে উঠছে চলচ্চিত্র। নতুন শিক্ষাকে সাদরে গ্রহণ করলেন দেবকী। বুঝলেন, নির্বাক চলচ্চিত্রের যুগ শেষ। সিনেমা তৈরি করতে হলে শুধু আলো-ছবি নয়, তাকে সাজিয়ে দিতে শব্দ, সুর আর ছন্দের লাবণ্যে।”

নারী-পুরুষের নগ্নতা অশ্লীলতা পেরিয়ে যেভাবে কোনও নান্দনিক মুহূর্তকে ছুঁয়ে ফেলে, তা সৃষ্টি করা রবীন্দ্রনাথ ছাড়া কারও পক্ষে বোধহয় অসম্ভব। নগ্নতার মধ্যে কোনও যৌন উত্তেজনা নেই, আছে শুধু জ্যামিতিক বিমূর্ততার মধ্যে দিয়ে এক তীব্র প্যাশনের বার্তা।

‘আমরা যদি আজকের শিশুদের দিকে তাকাই, তাহলে অদ্ভুত এক জটিল প্রহেলিকার সামনে দাঁড়িয়ে পড়তে হয়। জন্মের কিছু পর থেকেই, মানবশিশু বড় হতে থাকে দৃশ্যের মধ্যে দিয়ে, সঙ্গে থাকে নানারকম শব্দ বা আওয়াজ। এই দু’য়ের সমন্বয়ও সে করে ফেলে, অল্প সময়ের মধ্যেই।’

‘নবনীতা দেবসেন তার মায়ের গল্পগুলি পাঠ করতে গিয়ে বলেছেন যে, সবক্ষেত্রেই মেয়েরা এখানে পর্যুদস্ত, অবহেলিত এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার শিকার। তাদের ক্ষোভে ফেটে পড়তে বা প্রতিবাদ করতে দেখা যায়না, বরং কোনও এক গভীর আত্মত্যাগ ও সংযমে তারা আত্মবিশ্বাস খুঁজে পায়।’

“‘রামকিঙ্কর’ তিনি নিজে শেষ করে যেতে পারেননি, কিন্তু ফুটেজগুলির থেকে যে-কাঠামোটা আজ দাঁড়িয়েছে, সেটা দেখে বোঝা যায় যে, তিনি তথাকথিত তথ্যচিত্রের এ-দেশে অনুশীলিত চেনা ফরম্যাট ও আঙ্গিকগুলোর বাইরে বেরিয়ে, রামকিঙ্করের শিল্পীসত্তার ব্যক্তিগত অনুসন্ধান করতে চেয়েছিলেন।”

‘আপাতদৃষ্টিতে বিভ্রান্ত, অনিশ্চিত এবং পরস্পর-বিরোধিতায় জর্জরিত এই ছবির কেন্দ্র-চরিত্র নীলকণ্ঠ বেশ কিছু মূল্যবান প্রশ্ন তুলছে। যিনি এক অর্থে ব্রাত্য, আবার প্রতিবাদের প্রকৃষ্ট প্রমাণ।’

‘ঋত্বিক এখানে পুনর্জন্মবাদকে স্বীকৃতি না দিলেও, জীবনের যে-প্রবহমান নীতি, তা একপ্রকার অবিকৃতই রেখেছেন। কারণ তার উৎপত্তি কোনও ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র পৃথক কণা থেকে নয়, এ এক পারমার্থিক সত্য, যা অদ্বৈত মতে নাম, রূপ, স্থান ও কালের অতীত।’

সার্বিয়ান চলচ্চিত্রকার নিকোলা লেজাইচের ‘হাউ কাম ইট’স অল গ্রিন আউট হিয়ার?’ ছবিটি মূলত আত্মজৈবনিক।মুখ্য ভূমিকায় এখানেও এক নিকোলা, বছর চৌত্রিশ বয়স তার; কমার্শিয়াল বিজ্ঞাপন পরিচালনা করে, ইচ্ছে আছে আগামীতে নিজের মনের মতো ছবি বানানোর।

“আগুনের বর্ণমালায় যখন লক্ষ কোটি মানুষের ললাটে ‘র্যাড্ক্লিফ লাইন’-এর রক্তক্ষরণ শুরু হল, তখন থেকেই পদ্মার চর ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ। নাটকে বৃদ্ধের চরিত্রে প্রধান অভিনেতা ভৃগু, আর-এক দলের অনসূয়াকে নিয়ে নতুন মঞ্চায়নের পরিকল্পনা করে। ইতিমধ্যে শিবনাথ-অভিনীত কোকিলকূজন সমন্বিত দৃশ্যে ডেকে উঠল অনেকগুলো ব্যাং।”

“ধীরে-ধীরে উভয়েই ঈষৎ টলোমলো পায়ে এগিয়ে এলেন ‘কলের বাঁশি’র দিকে। অন্য রিক্সায়, সেই মুভিক্যামেরাতে তখন তোয়ালের সাদা আবরণ খসিয়ে দিয়ে, ছবি নেওয়ার প্রস্তুতি চলেছে।”

‘কলকাতার আরেকটা ব্যাপার হল, ওখানে সবার সাথে খুব ভালোভাবে মেশা যায়। তাই আমি ওখানে যাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই ক্যালকাটান হয়ে গেছিলাম। কফি হাউসের, দেশপ্রিয় পার্কের, সুতৃপ্তির কথা এখনও মনে পড়ে। দশটা বছর ছিলাম, প্রায় প্রতিদিনই এসব জায়গায় যেতাম। ওখানকার মূল স্রোতে মিশে গেছিলাম।’ সাক্ষাৎকার। মনু পারেখ

‘তাঁর কাজের প্রদর্শনী দেখে অভিভূত হয়ে যান রামকিঙ্কর; সরকারি উদ্যোগে রাস্তার ওপর রাখাও হয় তাঁর একটি কাজ। আবার মেট্রো স্টেশন তৈরির সময়ে সরকারি উদ্যোগেই সরিয়েও দেওয়া হয় সেই কাজটি। তখনও কোনও সোচ্চার প্রতিবাদ বা লবিবাজি করেননি তিনি।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.