বন্ধ ঘরের প্রজেক্ট

Illustration for the story

‘মা, আমরা স্টাডিরুমে যাচ্ছি। জিওগ্রাফির প্রজেক্টটা কালই জমা দিতে হবে…’

সিঁড়ির বাঁক থেকে যখন পাপানের গলাটা শোনা গেল, সহেলী তখন টি-পটে চা ভিজিয়েছে। চা নিয়ে শ্বশুরমশাইয়ের ভয়ানক খুঁতখুঁতুনি আছে। প্রথমত, চা-পানের সময়টি তাঁর নির্দিষ্ট। সকালে সাড়ে সাতটা, বিকেলে সাড়ে চারটে। ঘড়ির কাঁটা এদিক-ওদিক হলে চলবে না।

তারপর আবার, চা বানানোর ফ্যাচাংও অনেক। সুগন্ধি দার্জিলিং চায়ের পাতা, কলেজস্ট্রিটের একটি বিশেষ দোকান থেকে কিনে আনতে হয়। সে না হয় তার ছেলে আনে, সহেলীর মাথাব্যথার দরকার হয় না। কিন্তু বানানোর দায়িত্ব তো বউমারই।

পটে চা-পাতা দিয়ে, তার ভেতরে ফুটন্ত গরমজল ঢেলে, অপেক্ষা করতে হবে ঠিক আড়াই মিনিট। তবে শ্বশুরমশাইয়ের মনমতো সোনালি রংটি ধরবে। গন্ধটি খোলতাই হবে। দশ সেকেন্ড এদিক-ওদিক হলেই সব গুবলেট। সহেলী কয়েকবার চেপে যাওয়ার চেষ্টা করে দেখেছে। লাভ হয় না কিছু। ঠিক ধরে ফেলেন। এব্যাপারে তাঁর নাক, পুলিশি কুকুরের থেকেও সরেস।

আরও পড়ুন: দেব রায়ের গল্প, বারীন কাকুর বউ-আন্টি

সহেলীর তো একে চা-এর নেশা নেই মোটেই। তারওপর সে আবার একটু বেশি দুধ-চিনি-এলাচ মেশানো চা, (যেটা শ্বশুরের ভাষায়, গরম সরবত)— সেটাই খেতে বেশি পছন্দ করে। তাই দার্জিলিং সুন্দরীর স্বাদ-গন্ধ সম্বন্ধে তাকে একটু বাড়তিই সতর্ক থাকতে হয়।

পাপান যখন সিঁড়ি থেকে হাঁকটা পাড়ল, তখন আড়াই মিনিট হতে আর ঠিক দশ সেকেন্ড বাকি। তাই ‘আমরা’টি যে কে, সেটি জানার জন্য, সিঁড়ির দিকে ছুটে আসতে একটু দেরি হয়ে গেল সহেলীর। এল যখন, ততক্ষণে অতিথিরা অদৃশ্য। এমনটা আন্দাজও করেছিল সে। তাই দ্রুত তিন ধাপ নেমে, উঁকি দিল সিঁড়ির ল্যান্ডিংয়ে।

জুতো রাখার জায়গাটা ওখানেই। যা ভেবেছিল তাই। পাপানের ধ্যাবড়া, ময়লা স্নিকার্সের পাশে, আর একজোড়া একইরকম হালকা নীল রঙের জুতো। তারমানে অয়ন্তিকা এসেছে। আর তারসঙ্গেই পাপান গেছে চারতলার স্টাডিরুমে জিওগ্রাফি প্রজেক্ট করতে।

শ্বশুর-শাশুড়িকে চা-টা দিয়ে এসে, খাবার ঘরের চেয়ারেই বসে পড়ল সহেলী। ভয়ানক অস্থির লাগছে তার। কী করবে এখন? সোজা উঠে যাবে স্টাডিরুমে? তারপর যদি বেফাঁস কিছু দেখে ফেলে? কিংবা যদি স্টাডিরুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকে? তাহলে কি পাপানকে ডেকে দরজা খুলতে বলবে? দুশ্চিন্তায় শিরশিরে হেমন্তেও, কপালে ঘাম জমে যায় সহেলীর।

এই ঝামেলাটা শুরু হয়েছে গত মাস ছয়েক, পাপান, মানে নীলাভ ক্লাস টেনে ওঠার পর থেকেই। সহেলীদের এই বাড়িটা পুরোনো আমলের। শ্বশুরমশাইয়ের বাবা তৈরি করেছিলেন। চারতলা বাড়ির, একতলার অংশ পুরোটাই ভাড়া দেওয়া। দোতলায় বৈঠকখানা। শ্বশুর-শাশুড়ি থাকেন। খাওয়া আর রান্নার ব্যবস্থাও সেখানেই। ফলে দোতলাতেই বেশিরভাগ সময় কাটে সহেলীর। তিনতলায় তাদের শোবার ঘর, ছেলের ঘর আর গেস্টরুম। আর চারতলায় লাইব্রেরি কাম স্টাডি।

সহেলীর বর অনিমেষ, পেশায় অধ্যাপক। শ্বশুর-শাশুড়িও কলেজে পড়াতেন। তাই বাড়িতে বইয়ের সংগ্রহ অনেক। ছাত্র-ছাত্রীরাও আসে। তাই লাইব্রেরিতে একটি টেবিল আর বেশ কিছু চেয়ার আছে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, লাইব্রেরির লাগোয়া একটা ছোট ঘরে, একখানা ডিভানও পাতা থাকে। পড়াশোনার কাজে বেশি রাত হয়ে গেলে, অনিমেষ অনেকসময়ে ওখানেই শুয়ে পড়েন। অর্থাৎ ব্যবস্থা অতি চমৎকার। বান্ধবীকে নিয়ে স্টাডিরুমে প্রজেক্ট করতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে-বিধেয় সবই একেবারে দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, এক্ষেত্রে সহেলীর কর্তব্য কী? পনেরো বছরের ছেলেকে তো আর কান ধরে চড়-চাপাটি লাগানো যায় না। আবার মেয়ে নিয়ে দরজা বন্ধ করে কী করছিলি, সেটা জিজ্ঞেস করতেও রুচিতে বাধে। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে চেষ্টা যে সহেলী করেনি, তা নয়। পাপানকে বলেছে,

‘স্টাডিতে যাওয়ার কী দরকার। ওখানে বাবার বইপত্র থাকে। তোর ঘরে বসে পড়াশোনা কর।’

সেক্ষেত্রে নিজে পাশের ঘরে থেকে, পাহারাদারি চালাতে খানিকটা সুবিধা হয়। কিন্তু পাপান মোটেই সেই ফাঁদে পা দিতে রাজি নয়। সে দিব্যি বলে দিল,

‘না না, ওখানে নানারকম বইপত্র আছে। রেফারেন্স লাগলে সুবিধা হয়। বাবার তো সবই ক্যাটালগিং করে সাজানো। তাছাড়া, আমার ঘরের টেবিলটা বড্ড ছোট। দু’জনে মিলে কাজ করলে অসুবিধা হয়…’

‘তা নয়….’

এবার অন্য সুর ধরে সহেলী। আসলে, দীপুমাসি তো সবসময় থাকে না। তোদের খাবার-দাবার কিছু দিতে হলে, আমাকেই সেই ঠেঙিয়ে চারতলায় উঠতে হয়…

‘উঠো না। সিঁড়ি থেকে আমাকে ডাকবে, আমি নীচে এসে নিয়ে যাব।’

ছেলের কথা শুনে, মুখে বাক্য সরেনি সহেলীর। মনে হচ্ছিল, এই তো সেদিন নার্সিংহোম থেকে তোয়ালে মুড়ে, নিয়ে এল পুঁচকে ছানাটাকে। সে যে এরমধ্যেই এমন শেয়ালের মতো চালাক হয়ে উঠেছে, টের পায়নি তো মোটেই। তাহলে কি রান্না-বান্না, শ্বশুরের যত্ন, অনিমেষের টিফিন, পাপানের সুইমিং ক্লাস, ননদের ছেলের পৈতে— এসবের ফাঁকে, ছেলেটা কখন বড় হয়ে গেল, মা হয়েও সেটা খেয়ালই করতে পারেনি সহেলী।

দুশ্চিন্তাটা নিজের মনেই পরিপাক করে, পুড়তে থাকে সহেলী। অনিমেষকে বলেছিল। কিন্তু লাভ হয়নি কিছুই। সে তো হেসেই উড়িয়ে দিল।

আরে এগুলো তো হবেই। এসব হল, বয়ঃসন্ধির সমস্যা। এই বয়সে প্রেমে পড়বে সেটাই তো স্বাভাবিক। দিব্যি দেখতে তো মেয়েটা। তবে এসব প্রেম টিকবেও না। দু’দিন বাদে দেখবে অন্য মেয়ের সঙ্গে ঘুরছে। পাত্তা দিও না। খামখা মাথাখারাপ করে, ছেলেটার লাইফ হেল করতে যেও না।

ছেলের কথা শুনে, মুখে বাক্য সরেনি সহেলীর। মনে হচ্ছিল, এই তো সেদিন নার্সিংহোম থেকে তোয়ালে মুড়ে, নিয়ে এল পুঁচকে ছানাটাকে। সে যে এরমধ্যেই এমন শেয়ালের মতো চালাক হয়ে উঠেছে, টের পায়নি তো মোটেই।

কিন্তু অনিমেষ ‘মাথা খারাপ কোরো না’, বললেই তো আর সহেলীর পক্ষে মাথা ঠান্ডা করে বসে থাকা সম্ভব নয়। তার সম্বন্ধ করে বিয়ে। কলেজে পড়ার সময়ে, দু-চারজন যে গভীর চোখে তাকায়নি, তা নয়। কিন্তু মফস্‌সলের রক্ষণশীল পরিবার। সহেলী তাই বয়ঃসন্ধির হাতছানি উপেক্ষা করে, সেইসব অনুরাগীর দিকে ঘুরেও দেখেনি। দু’দিনবাদে এই অয়ন্তিকার বদলে অন্য কেউ হাজির হতে পারে ভেবেই তার চোখ কপালে।

অয়ন্তিকা মেয়েটাকে তার যে খারাপ লাগে তা নয় মোটেই। সত্যিই ভারি মিষ্টি দেখতে। যদিও সহেলীর গলা জড়িয়ে ধরে আন্টি…আন্টি… বলে যেরকম আদিখ্যেতা করে, সেটা তেমন পছন্দ হয় না। তবে সেটা কোনও সমস্যা নয়। আসল সমস্যা তো ওই বন্ধ ঘর। বয়ঃসন্ধির উত্তেজনায় যদি কিছু একটা ঘটে যায়, তাহলে দোষ হবে তার ছেলেরই। অয়ন্তিকার মা নাকি আবার আইপিএস অফিসার। অতি জাঁদরেল মহিলা। জানতে পারলে, পাপাইয়ের পিছনে যদি পুলিশ লেলিয়ে দেয়? তাছাড়া, এখন ওর পড়াশোনা করার বয়স। সহেলীর বাবা বলতেন, ‘ছাত্রানাং অধ্যয়নং তপঃ’ তা তপস্যা তো চুলোয় যাক, রোজ-রোজ এরকম প্রজেক্ট করলে তো পড়াশোনাটাই গোল্লায় যাবে।

উপায় কিছু হচ্ছে না। এরমধ্যে, শীত শেষ হয়ে বসন্তও এসে গেল। অধ্যাপকের বাড়ি। তাই খুব ধুমধাম করে সরস্বতী পুজো হয়। ছাদে প্যান্ডেল খাটিয়ে ঠাকুর বসে। অনেক মানুষজন আসেন। পুজোর ঠিক দু’দিন আগে, সহেলী যখন জোগাড়যন্ত্র নিয়ে সাংঘাতিক ব্যস্ত, নিঃশ্বাস ফেলার অবকাশ নেই প্রায়, তখনই পাপান এসে ঘোষণা করল,

‘অয়ন্তিকার মা তোমার সঙ্গে একবার দেখা করতে আসবে।’

পুজোর জিনিসপত্রের সঙ্গে, মাটির দোয়াত-কলমগুলো গুছিয়ে রাখছিল সহেলী। পাপানের কথা শুনে, একটু হলেই হাত থেকে মাটির দোয়াতটা পড়ে, ভেঙে টুকরো টুকরো হত। কোনওরকমে সামলে নিয়ে বলল,

‘কেন, দেখা করতে আসবেন কেন?’
‘মানে!’

ছেলে মহা বিস্মিত…

‘আসতে নেই নাকি?’
‘না…তা নয়…মানে হঠাৎ…উনি তো শুনেছি ব্যস্ত মানুষ…আসবেন বলেছেন…’

নিজের স্বপক্ষে, ঠিকঠাক যুক্তি সাজিয়ে উঠতে পারে না সহেলী। পাপান কিন্তু নির্বিকার।

‘ব্যস্ত তো কী হয়েছে! আসবে। আমি গল্প করেছি, আমাদের বাড়িতে খুব বড় করে সরস্বতী পুজো হয়। অয়ন্তিকা বলল, অঞ্জলি দিতে আসবে। আন্টিও ওর সঙ্গে আসবে বলেছে।’
‘ও, সরস্বতী পুজো দেখতে আসবেন তাহলে…’

এতক্ষণে একটু আশ্বস্ত হয় সহেলী। কিন্তু তখনই, তার স্বস্তিতে জল ঢেলে দেয় ছেলে।

‘না না তোমার সঙ্গে আলাপ করতেই আসবে। হ্যাঁ, পুজোর দিনে এলে, পুজো তো দেখবেই।’

তারপর থেকে আর খেয়ে-বসে স্বস্তি পাচ্ছে না সহেলী। কেন আসছেন অয়ন্তিকার মা? ছেলেটা সত্যিই কিছু ঘটিয়ে ফেলেনি তো? এইসব ছেলেপুলেকে এক পয়সা বিশ্বাস নেই। নাকি যে বাড়িতে মেয়ে আসবে, তার ঘরদোর সরেজমিনে দেখতে আসছেন? অয়ন্তিকা কি বাড়িতে পাপানকে নিয়ে কিছু বলেছে? আকাশ-পাতাল ভেবে চলে সহেলী। ভেবে ভেবে, আর কূল-কিনারা পায় না।

শেষপর্যন্ত, সরস্বতী পুজো যখন একেবারে বিপজ্জনকভাবে ঘাড়ে এসে পড়ে, তখনই সহেলী ঠিক করে ফেলে, বোবার শত্রু নেই। তাই নিজে থেকে, কোনও কথা সে বলতে যাবে না ওই পুলিশ মহিলার সঙ্গে। আসবে, পুজো দেখে, প্রসাদ খেয়ে চলে যাবে। পাপান যাই-ই বলুক, সহেলী কাজের ছুতোয় এড়িয়ে যাবে। মুশকিল হচ্ছে, অনিমেষকে এগিয়ে দেওয়ারও কোনও উপায় নেই। কারণ সেও সেদিন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সাংঘাতিক ব্যস্ত থাকে।

একপ্রস্থ অঞ্জলি হয়ে গেছে। প্রসাদ দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যেই, পাপান ব্যস্ত-সমস্ত হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল দেখেই, সহেলী বুঝল মাহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত। চট করে পিঠে আঁচলটা ভাল করে টেনে দিয়ে, গিয়ে বসল একেবারে দেওয়ালের ধারে, পুরুতমশাইয়ের পাশ ঘেঁষে। দীপু রয়েছে। অনিমেষের তুতো দুই বোনও এসেছে। এদিকটা ওরা সামলে নেবে। একটু পরেই, চোখের কোণ দিয়ে অয়ন্তিকা আর তার সঙ্গে ওই মহিলাকে ঢুকতেও দেখল। বেশ লম্বা। ছিপছিপে চেহারা। সু্ন্দর একটা লাল-হলুদে চওড়া পাড়ের শাড়িও পরেছে। আড়চোখে যতটা দেখা যায়, তাতে মনে হল মুখখানা মেয়ের ধরনেরই। তেমন একটা জাঁদরেলভাব নেই মোটেই। তবে, তাতে খুব একটা ভরসা হল না সহেলীর। নিজের জায়গায় বসেই, নৈবেদ্যর জিনিসপত্র গোছাতে লাগল গভীর মনোযোগ দিয়ে। কানটা যদিও খাড়া থাকল। পাপান রয়েছে সঙ্গে। মা-মেয়ে অঞ্জলি দিল। প্রসাদও খাওয়া হয়ে গেল। এবার বিদেয় হলেই পারে, মনে মনে ভাবছে সহেলী। ওপাশেও তো কাজকর্ম আছে কিছু। এমন সময়ে, দৈববাণীর মতো শোনা গেল পাপানের গলা,

মা, ‘আন্টি তোমার সঙ্গে কথা বলবে…’

ধড়মড় করে উঠতে গিয়ে, আর একটু হলেই— হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাচ্ছিল সহেলী। এতক্ষণ হাঁটুমুড়ে বসে থেকে, হাঁটু দু’খানা জন্মেরশোধ লকই হয়ে গেছে। অয়ন্তিকার মা, কোনওরকমে ধরে ফেলে সামলাল। চারপাশে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব। এরমধ্যে মহিলা কী বলে ফেলবেন কে জানে! ভয়ে বুক দুরদুর করছে সহেলীর। তাড়াতাড়ি তাই ছাদের সিঁড়ির দিকে সরে এসে বলল,

হ্যাঁ, ‘পাপান বলছিল আপনি আমার সঙ্গে কথা বলবেন বলেছেন।’

‘বলব আবার কী! শোনো ভাই, সমস্যা তোমারও যা আমারও তাই। উঠতি বয়সের এই বাচাগুলোকে কিছু বলাও যাবে না, এদিকে যা খুশি করবে তাও তো হতে দেওয়া যায় না। ঠিকঠাক গোয়েন্দাগিরি করতে হলে তো তোমার-আমার ভাব হওয়া দরকার। তাই তোমার ছেলেকে বলেছি, আলাপ করতে আসব। মেয়ের বেশি বেচাল বুঝলেই, আমাকে খবর দেবে। আমিও তোমাকে জানাব। আর শোনো, আমাদের তো আর উঠতি বয়স নয়। তাই ওদের এখন চোখে হারানো অবস্থা। কিন্তু কবে কার মন ঘুরে যাবে কেউ জানে না। তারজন্য আমাদের সম্পর্ক যেন খারাপ না হয়।’

এতক্ষণে যেন বুক থেকে ভার নেমে যায় সহেলীর। শুকনো মুখে হাসি ফোটে। শ্যামলা আপিএসের নরম হাতদুটি ধরে বলে,

‘ঠিক বলেছো ভাই। চলো বসে একটু গল্প করি। গরম লুচি ভাজছে আমার ননদ। তোমরা একেবারে দুপুরে খেয়ে যেও।’

ছবি : শুভময় মিত্র