খুচরো খাবার: পর্ব ১৪
‘নিমকি-তক্তি-নাড়ু তো বটেই, বিজয়া স্পেশাল হিসাবে ঢাকা বিক্রমপুরের কাঠবাঙাল আমার মাতামহী এমন একটা পদ বানাতেন যা আমি আর কাউকে করতে দেখিনি— মাছের পাটিসাপটা।’
‘নিমকি-তক্তি-নাড়ু তো বটেই, বিজয়া স্পেশাল হিসাবে ঢাকা বিক্রমপুরের কাঠবাঙাল আমার মাতামহী এমন একটা পদ বানাতেন যা আমি আর কাউকে করতে দেখিনি— মাছের পাটিসাপটা।’
‘বিয়েটা করেছিলাম রেলপথের জন্যই। সুভাষের বেলাতেও নাকি তাই ছিল! বিয়ের পর পর তো ওর কেবিন-রোমাঞ্চ অভ্যেসে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল।’ নতুন গল্প।
এই মরশুমে চাষ হয় ফলনও হয় অসংখ্য অপমৃত্যু জমা হয়/ হিম বাড়ছে/ মাথার উপর আকাশটা ধোঁয়া আর শব্দে ঢেকে যাচ্ছে/ হলদে রুপোলি ফড়িং আঁশের ঝাপটায় নৌকাশরীর ভিজিয়ে দিচ্ছে/ পাটাতন ক্রমশ খলবল করে উঠছে
‘এক হাসপাতাল অসুখ নিয়ে আমি রোগ ছাড়া কতযুগ ধরে একটা জায়গায় নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিলাম। রোগী, নার্স, বেড, অক্সিজেনভরা ভূতের বাড়িটা হাসপাতাল সেজে রইল। কেউ আপত্তি জানাল না। মাঝে মাঝে কোমার নাম করে ব্ল্যাকআউট।’ অসুখের যাপনচিত্র।
কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।
শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের এমন অনেক কবিতা আছে, যা এখন তত পঠিত বা আলোচিত নয়। তাঁর জনপ্রিয় কবিতাগুলির মধ্যে যে অহরহ ম্যাজিক আছে, তা হয়তো এই কবিতাগুলির মধ্যে নিয়ন্ত্রিত, ঈষৎ চাপা। যদি সেই জাদু ছোঁয়া না যায়, তা হলে আমাদের ক্ষতি।
‘যে চারজন এতটা বিপদসংকুল আর দীর্ঘ সমুদ্রযাত্রা করে এখানে এসেছে আজ দুপুরে, তাদের মধ্যে দৃশ্যতই নেতাগোছের হলেন দু’জন।’ ডাকবাংলায় শুরু হচ্ছে রূপম ইসলামের নতুন ধারাবাহিক উপন্যাস, ব্রহ্ম ঠাকুর সিরিজ়ের নতুন পর্ব, ‘শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম’।
‘কিন্তু সেই অন্যদিন যে আর কখনও আসবে না, সেটা হিনা ভাল করেই জানে। জানে ওই লোকটাও। তবুও। সমাজে অপ্রয়োজনীয় অনেক কথাই বলতে হয়। রাম্বি ঝোরার উজানের দিকে হেঁটে চলেছিল দুজনে।’ অন্ধকার মনের চালচালন।
‘তাঁর পুরু চশমার কাচের আড়ালে ঝকঝকে চোখদুটোয় একইসঙ্গে মেধা আর কৌতুকের ঝলক। দর্শকের সঙ্গে এই মেধাবী কৌতুকের খেলাটা গোদার চিরকালই খেলে গেছেন।’ গোদারের নিজস্বতা।
‘মন্তরটা অঙ্কখাতার পিছনে যত্ন করে লিখে রেখেছে বটাই। ক’দিন বাদেই হাফ-ইয়ারলি পরীক্ষা। উনিশ-কুড়ির বেশি তো আর পায় না অঙ্কে! ওটা আউড়ে নম্বরটা যদি একটু পালটে নেওয়া যায়!’ নতুন গল্প।
‘মানুষ হল ইচ্ছের দাস আর আমরা হলাম মানুষের। এই নষ্টামি আমরা দু’দিনেই বের করছি তোদের। পাওয়ার পয়েন্ট খুলতে যাবি ফোটোশপ খুলে দেব। ইচ্ছে! ইউ.এস.জি. করতে যাবি তোদের জুরাসিক পার্ক দেখাব।’ ইচ্ছের দাসত্ব।
প্রতিবাদ করার সময়ে ব্যক্তির অন্তত একটা সত্তার উড়ান হয়। আমি যে নশ্বর ভয়গুলোকে পেরিয়ে শুধু স্বাধীনতার খাতিরে নিজের অস্তিত্বটাকেই বিপন্ন করে ফেলতে পারলাম, ‘যা হবে হোক গে, আজ আমি নিজস্ব চিৎকার করবই’-এর তোড়ে মনটাকে যে জুড়ে দিতে পারলাম একখান সপাট জ্যা-নিক্ষিপ্ত শরে, এতখানি বেপরোয়া জুয়া যে আমি খেললাম রোজ না মরে অন্তত একবার মরব’খন বলে— তার মধ্যে একটা মনুষ্যত্বের উচ্ছ্বাস রয়েছে, একটা বৃহৎ জয়।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.