
মরুশহর, বিচিত্র ছাগল, অদ্ভুত পর্যটক
‘শুধুমাত্র বেড়াতে শুনে অফিসার স্তম্ভিত হলেন, আরবে আবার বেআক্কেলের মতো বেড়াতে কে যায়? বালি তো রাজস্থানেও আছে। রোজগার করতে ছাড়া যায় নাকি ওসব জায়গায়! অথচ কত হাজার বছরের রেশমপথের ইতিহাস বহন করে এই অঞ্চল।’

‘শুধুমাত্র বেড়াতে শুনে অফিসার স্তম্ভিত হলেন, আরবে আবার বেআক্কেলের মতো বেড়াতে কে যায়? বালি তো রাজস্থানেও আছে। রোজগার করতে ছাড়া যায় নাকি ওসব জায়গায়! অথচ কত হাজার বছরের রেশমপথের ইতিহাস বহন করে এই অঞ্চল।’

বেলজিয়ামে যৌনকর্মীদের অধিকারের জন্য নতুন আইন নিয়ে আসা হল। প্রচলিত ধারণায় যেভাবে এতকাল যৌনকর্মীদের দেখা হত, এবার থেকে হবে তার উলটো। স্বাস্থ্যবিমা, মাতৃত্বকালীন ছুটি থেকে শুরু করে স্বীকৃত দেওয়া হল যৌনকর্মীদের পছন্দ-অপছন্দকেও।

বেড়ানোর স্মৃতি আছে, অথচ কোনও ছবি নেই। বহু বছর আগে দেখা টাইগার হিলের সূর্যোদয় আজও মনের মধ্যে জাগিয়ে তোলে বিস্ময়। অন্যদিকে, বস্টনের সানসেট পয়েন্টে দেখা সূর্যাস্ত, হৃদয় আচ্ছন্ন করে রাখে সর্বক্ষণ। মুগ্ধতা ফুরাতে চায় না।

‘ইন্টারনেটে গেলেই বিজ্ঞাপন দেখবে, ওজন কী করে কমাবেন। সবাই ক্লিক করছে, পড়ছে, জানছে, জেনেই চিপসের প্যাকেট কিনছে, মোগলাই পরোটা খাচ্ছে আর ঢকঢক করে মাল গিলছে। তারপর একদিন জিমে গিয়ে ভাবছে রাতারাতি রোগা হয়ে যাবে।’

‘একজন সদ্য-যুবক কবিতালেখক গ্রন্থ সম্পাদনা করে কিছু অর্থ লাভ করবেন, এর মধ্যে অনর্থের কিছু নেই। কিন্তু এই বইগুলোর গঠনে এমন কিছুও নেই, যা দেখে বলা যায় শক্তি নিজের নামটা প্রকাশকদের ব্যবহার করতে দিয়েছেন শুধু।’

‘মধ্যযুগীয় স্যাঁতসেতে প্রায়ান্ধকার একতলা বাড়িটাতে ঢুকলে গা ছমছম করে, তার ওপর ওইটুকু জায়গায় যা সব জিনিসপত্র সাজানো, বা বলা ভাল ছড়ানো, মড়ার খুলি থেকে মরক্কো চামড়ার কার্পেট, স্টাফড পশু থেকে বিচিত্র রঙের পাথরের মালা, মনে হবে দম বন্ধ হয়ে আসছে।’

‘কিয়ানুশকে একবার পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে, প্রথম প্রশ্নটা করার আগেই কুড়িটা থাপ্পড় মেরেছিল। সেই অপমান ও আঘাতের বিরুদ্ধে এই মানুষদের গোটা প্রকল্পটাই হল, একটা প্রাণের মধ্যে সহস্র প্রাণ ভরে নিয়ে আকুল ইতিবাচক দৌড়…’

‘বিশ্বকাপ খেলার মোহ দূরে রেখে সোভিয়েত দলের এই না-যাওয়া, ফিফার বদান্যতায় চিলির সুবর্ণ ওয়াকওভার, কোনওদিক থেকেই ফ্যাসিবাদের জয় ঘোষণা করেনি। অগাস্তো পিনোচে বা ফিফা-প্রচারযন্ত্রের ‘সবকিছু স্বাভাবিক’ প্রমাণের অসাধু চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল।’

‘দশম অবতার’ ছবিতে অরিজিৎ সিং এবং শ্রেয়া ঘোষালের কণ্ঠে প্রথম শোনা যায় এই গান। প্রেমের যে বিচিত্র গতায়াত, তার একটা ধারণা যেমন এই গানের মধ্যে ফুটে ওঠে— তেমনই ফুটে ওঠে প্রেমিকমনের চাপা বিষণ্ণতা, যা উদাসীনতার হাত ধরাধরি করে চলে।

‘এক জীবনে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন পর্বের ঝিনিদের, তাই সে সরিয়ে রাখল দূরে। তার মনে পড়ল ছোটবেলায় পড়া একটা বইয়ের কথা। সে-বইটার গল্পের সঙ্গে ছাপা ছবিগুলো তার বাবারই আঁকা। একটা ছোট ছেলে; তার কাকা তাকে শেখাতে লাগল চাষবাস…’

বাংলা কবিতার জগতে ভাস্কর চক্রবর্তী এক বহতা নদী। যে নদীতে ডুব দেওয়া যায়, আঁজলা করে ছিটিয়ে আত্মা ভেজানো যায়, আবার আনমনে বসে থাকা যায় পাড়ে, কিন্তু সে নদী নীচু স্বরে অথচ তীব্র অভিঘাত নিয়ে বয়ে চলে ঋদ্ধ করে তোলে দুই কিনারা।

‘এখন আবার সব ডাক্তার বসছে না, বসলেও পা থেকে মাথা পর্যন্ত এমন সব ঢাকা পোশাক পরে থাকছে যে, রুগী দেখতে দেখতেই ডাক্তারের জাঙ্গিয়া ভিজে টসটস করে পড়ছে, অবশ্য এর মাঝে ডাক্তার প্যান্টে মুতে ফেললেও কিছু বলতে পারা যাবে না।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.