

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল : পর্ব ২৭
‘আমাদের জন্যে ছিল আলাদা অনেকগুলো তাক, তাতে থরে-থরে বই রাখা। রংবেরঙের মলাট তাদের, আর হরেকরকম নাম। কিছু শোনা, বেশির ভাগই না-শোনা। ভিতরে ঢুকলেই মনে হত সোনার খনিতে নেমেছি বুঝি।’
‘আমাদের জন্যে ছিল আলাদা অনেকগুলো তাক, তাতে থরে-থরে বই রাখা। রংবেরঙের মলাট তাদের, আর হরেকরকম নাম। কিছু শোনা, বেশির ভাগই না-শোনা। ভিতরে ঢুকলেই মনে হত সোনার খনিতে নেমেছি বুঝি।’
‘তপেশের কথায় যেন হালকা রসিকতা। সদ্য মাতৃবিয়োগ হয়েছে, অথচ ওর চালচলনে শোকের বদলে যেন ভারমুক্তির স্বস্তি। শেষের দিকে বিনু কি খুব ভুগছিল? কই, তেমনটা তো শোনেননি! নিশিকান্ত মনে-মনে ক্ষুণ্ণ হলেন।’
‘সত্যিই তো আমাদের দেশে কত মেয়ে পড়াশোনায় ইতি টানে, শুধুমাত্র স্কুলে পরিচ্ছন্ন শৌচালয়ের অভাবে— জলের অভাব যার প্রধান কারণ। প্রভাব পড়ে কৃষিতেও। তবে অবস্থার পরিবর্তন হয় না। শুধু কিছু দিন খবরের শিরোনামে থাকে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া কৃষকের পরিবার।’
ভ্রমণের দীর্ঘতা নয়, বরং তার বিচিত্র সব অভিজ্ঞতাই স্মৃতিতে থেকে যায়। মাত্র তিন দিনের ছোট্ট ট্যুর, কুরান্ডার জঙ্গল থেকে গ্রেট ব্যারিয়র রিফ— সেই কথাই আবারও মনে করিয়ে দিল।
‘একটি ফরাসি কাগজের শিরোনাম হয়, ‘Le marchand de la mort est mort’— মৃত্যুর ব্যবসায়ী মৃত! ভুল খবরটি দেখে নাকি গভীর আঘাত পান নোবেল। মানুষ কি তাহলে তাঁকে বিধ্বংসী ডিনামাইটের আবিষ্কর্তা হিসাবেই মনে রাখবে? এই ভ্রান্তিবিলাস তাঁর চোখ খুলে দেয়।’
মধ্যপ্রদেশের কয়েকটা ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেল, জনজাতির মানুষকে অকথ্য অত্যাচার করা হচ্ছে। এই অত্যাচার মোবাইলে রেকর্ড করলেও কেউ বিচলিত নয়। আবার, চূড়ান্ত অপমানিত জনজাতির মানুষ বলছেন, উচ্চবর্ণের মানুষকে তার এই সামান্য ভুলের জন্য ক্ষমা করতে বলছেন।
‘সাবানের সঙ্গে সিনে-সুন্দরীদের সোহাগের সম্পর্ক স্থাপনের শুরুটা হয়েছিল লাক্স টয়লেট সাবান গায়ে মেখে। সময়কাল ১৯২৯, লাক্স সাবানের প্রথম তারকা-সুন্দরী লীলা চিতনিস। তখন লাক্স সাবানের দাম দু’আনা। যদিও লাক্সের পথ চলা তারও তিন দশক আগে।’
২০০৫ সালে ব্যাঙ্গালোরে বসে লেখা এই গান। কলকাতার প্রতি, নিজের শহরের টান, এই গানের মধ্যে ফুটে ওঠে। আর ফুটে ওঠে মায়ের কাছে ফেরার বাসনা। কোথাও একটু অভিমানও হয়তো-বা। ২০১৮ সালে সৃজিত মুখার্জি তাঁর ‘উমা’ ছবিতে এই গানটি ব্যবহার করেন।
তাঁর লেখায় দৈনন্দিন আটপৌরে দৃশ্যকল্প থেকেই আমরা চিনতে শিখি এই শহর, এই সমাজ আর তার অন্তর্নিহিত রাজনীতিকে। প্রচারের আলোর বাইরে থাকলেও তাই অচ্যুত মণ্ডলের কবিতা সিরিয়াস পাঠকের কাছে সাদরে সমাদৃত।
মা বললেই কান্না পেয়ে গেলে, আধুনিক ছবি করা শক্ত, অন্তত আউটসাইডার-উত্তর যুগে। এই মাঝামাঝি-কাটিং ছবি বলেই বোধহয় খুব বিখ্যাত হয়েছে এই ফিল্ম, এবং সেজন্যেই আরও সন্দেহের চোখে দেখা উচিত যে কোনও মাঝ-আকাঙ্ক্ষী প্রয়াসকে।
‘এলিয়েনেশন যে নিছক সামাজিক বা অর্থনৈতিক তত্ত্ব নয়, এর যে একটা বিরাট প্রভাব পড়ে আমাদের চারপাশের রক্তমাংসের মানুষের উপরে, জাগৃতি বা ইমরানদের মানসিক ব্রেকডাউনের উপর দর্শকের দৃষ্টি টেনে রেখে তা স্পষ্ট দেখিয়ে দিল ‘স্কুপ’।’
‘‘দহাড়’ বা ‘কাঠাল’-এর অঞ্জলি বা মহিমা কোনও আগমার্কা ‘অ্যাক্টিভিস্ট’ বা সমাজ-সংস্কারক নয়। ‘ভিড়’-এর সুজয় সিং টিকাস-ও নয়। কিন্তু এরা সবাই মিলে একটা অন্য রকম ‘পুলিশের গপ্পো’ (যাকে ‘কপ-স্টোরি’ বললে একটু ছকে পড়ে যেতে হবে!) বলছে।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.