পত্রিকা

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ২৯

‘হলুদ দোতলা বাড়িগুলি ভাল লাগে।/ ভাল লাগে তাদের বারান্দা থেকে মেলে রাখা কাপড় ও দুশ্চিন্তারাশি/
এত বাতাস দেয় এখানে যে গাড়িঘোড়া উড়ে যেতে চায়/ তাদের দ্বিধা ও গতিপথ নিয়ে।’

তৃণময় দাস

ব্রায়ান ট্যালবটের বিকল্প জগৎ

‘গ্র্যান্ডভিল কিন্তু একটা আদ্যপ্রান্ত হার্ডবয়েলড ডিটেকটিভ সিরিজ। হ্যাঁ, সিরিজের প্রতিটা খণ্ডে স্টিমপাঙ্ক আর ফ্যান্টাসির এলিমেন্ট বর্তমান ঠিকই, কিন্তু আসল প্লটের কেন্দ্রে রয়েছে গূঢ় রহস্য, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, অন্ধকার দুনিয়ার কার্যকলাপ, আর (অবশ্যই) ফেম ফ্যাটাল।’

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

ছায়াবাজি: পর্ব ১৭

‘সিনেমা কতরকম ক্রাইসিসকে ঘিরে হয়, কিন্তু কোনও ছবিই বোধহয় এর আগে অফিসযাত্রাকে এভাবে প্রোটাগনিস্টের মূল ক্রাইসিস হিসেবে উপস্থাপিত করেনি। শুধু যানবাহনের অনিশ্চয়তার ফলে যে একটা লোকের জীবনটা তছনছ হয়ে যেতে পারে, এভাবে আমরা ভাবি না।’

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ৪৩

ভিড়ের মন খুব সাংঘাতিক জিনিস। সে যদি একবার সুযোগ পায় কোনও কানাগলি দিয়ে ঢোকার, তাহলে আদত ভালমানুষের মধ্যে থেকে তার খারাপ সত্তাটা বের করে আনতে সক্ষম। ফলে দলে পড়ে অত্যন্ত ভাল মানুষটি যে কাল ভয়ানক হবে না, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।

সোহম দাস

জ্যাক, টাইটানিকের জ্যাক

‘কর্তব্যে অবিচল জ্যাক ফিলিপস, অলিম্পিককে জানালেন, ‘মহিলা ও শিশুদের নৌকায় করে নামানো হচ্ছে। আর বেশিক্ষণ কথা বলা যাবে না। আমাদের বিদ্যুৎ ফুরিয়ে আসছে।’ পাঁচ মিনিট পরেই আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ আপডেট গেল জ্যাকের তরফে…’

শ্রীজাত

দূরপাল্লা : পর্ব ১৩

যাব না, যাব না— করলেও পুরীর সমুদ্রের হাতছানি এড়ায় কার সাধ্যি। কোনও ছক কষে নয়, বরং ভ্রমণপিপাসু বাঙালি-র কাছে পুরী-দার্জিলিং বছরনামচার বাধ্যতামূলক অ্যাটেনডেন্স।

সাজ্জাদ শরিফ

অস্পষ্ট আলোর দেশে

‘যাঁরা লেখেন তাঁরা জানেন, এমন মুহূর্তের মুখোমুখি বার বারই তাঁদের পড়তে হয়। দুর্জ্ঞেয়কে ভাষার ফাঁদ পেতে ধরতে গিয়ে তারা এরকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। ভাষার অচেনা বিন্যাসে দুর্জ্ঞেয়কে ধরাই তো কবিতার কাজ!’

কৌশিক গুড়িয়া

শরীরগন্ধা

‘ততক্ষণে আমার দু’হাতের মধ্যে থেকে নিজের হাত ফিরিয়ে নিতে চাইছে সে। আমি বেশ বুঝতে পারছি সে-চাওয়া কপট। তেমন অছিলায় তার দুই তর্জনীর নখ বিহত করছে আমাকে। বেশ বুঝতে পারছি সেই ফিরিয়ে নেওয়ার মধ্যে সততা নেই এতটুকুও।’

শুভম চক্রবর্তী

কয়েকটি কবিতা

‘যেমন কাছিমমাংস খেতে গিয়ে খুব বাল্যকালে/ তীব্র বাজে গন্ধ পেয়ে কাছিম খাবার সাধ গেছে।/ তেমনই তোমাকে চেয়ে আমার হালত গেছে ভেসে/ বন্যার উদোম জলে যেন গোসাবার ঘরবাড়ি।’

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং : পর্ব ৪৬

‘মনে রাখতে হবে, এ সেই দেশ, যেখানে অতিষ্ঠ হয়ে সাধারণ মানুষ চিল্লায়, ‘উফ, একটা ডিক্টেটর চাই, চাবকে সিধে করে দেবে!’ তার মনে থাকে না, চাবুকটা তার নিতম্বকেও রেয়াত করবে না।’

পম্পা বিশ্বাস

জেম্মা

‘হাওড়া স্টেশনের বড় ঘড়ির নীচে তেইশের এক প্রেম-তরুণীকে দাঁড় করিয়ে রেখে সটকে পড়েছে জলজ্যান্ত প্রেমিকটি। আর, অধীর আগ্রহে, অকথ্য বিশ্বাসে ভর করে সেই তরুণী সময় গোনে। গুনেই চলে। কেউ আসে না।’

চৈতী মিত্র

আমার ‘হ্যামলেট’ অনুবাদ

‘নাটক তো শুধু পড়ার জন্য লেখা নয়, নাটক মঞ্চস্থ হতে চায়, নাটকের ভাষা যে-কারণে একইসঙ্গে বৌদ্ধিক এবং শরীরী। নাটকের টেক্সটের মধ্যেই অন্তর্লীন তার মঞ্চায়নের ‘কোড’— অভিনেতার অঙ্গভঙ্গি, ইঙ্গিত, সংলাপ, মঞ্চ বা স্পেস ব্যবহার, আবহ, ইত্যাদি।’