পত্রিকা

পরশপাথরের চচ্চড়ি

‘চিনের কিছু পথের ধারে-বাঁকে গনগনে আঁচে ইদানীং নুড়িপাথরের ঝাল রাঁধা শুরু হয়েছে। রাঁধা হচ্ছে সেখানের রেস্তরাঁতেও। সে দেশে এর নাম ‘সুওদিউ’। নদী থেকে আনা নুড়ি দিয়ে রাঁধা এই ঝোলে বা ঝালে থাকে চড়া তেলমশলায় কষানো সবজি আর শাকপাতা।’

কয়েকটি কবিতা

‘ফসলি পট পোয়াতি হয় ফি বছর/ হাড়গোড় ভেদবমি করে/ শীতের ওমে থাকতে পারি না কজন/ আলগোছে ধুলো জমে/ ন্যাড়া আকাশে তারা গুনে শুয়ে পড়ে কজন/ মাংস ঘিলু নাড়িভুড়ি ছড়িয়ে/ কী চায় দেশলাইবাক্স মথ/ সূর্যস্নান করবে তথাগত’

এক শালিক : পর্ব ৫৮

মানুষ ছাড়া এ পৃথিবীর অন্য প্রাণীদেরও কি মৃত্যুবোধ থাকে? জঙ্গলে বাস করা প্রাণীদের আংশিক বোধ থাকা অসম্ভব নয়; কিন্তু জন্মিলে মরিতে হবে… এই অবধারিত অবসানের চিত্রনাট্য কি তাদের চেতনায় ছাপ রেখে যায়?

ডাকবাংলা.কম

সাক্ষাৎকার : মৃন্ময় প্রামাণিক (প্রথম পর্ব)

অনুবাদের জন্য শরণকুমার লিম্বালের ‘দলিত নন্দনতত্ত্ব’ এ-বছর সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেছে। বাংলায় দলিতচর্চা এবং দলিত সাহিত্যের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে অনুবাদক মৃন্ময় প্রামাণিকের সঙ্গে কথা বললেন বিজলীরাজ পাত্র।

বিপ্লব চৌধুরী

কয়েকটি কবিতা

‘… মাতাল হয়ে তুমি বুকে জড়িয়ে ধরতে আমাকে।/ ভাত খাইয়ে দিতে মাছের সমুদ্র দিয়ে।/ কিন্তু তুমি আর নেই সে তুমি।/ তাই মল্লভূম থেকে উড়ে চলে গেছি ধলভূমগড়।/ আমি ঘুরে বেড়াই নানা দেশ, কিন্তু জগতের রহস্য কিছু বুঝতে পারি না।’

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল : পর্ব ৩৪

‘কেবল আমি একটু থতমত ভাবে তাকিয়ে আছি দেখে সুনীলদা জিগ্যেস করলেন, ‘কী ব্যাপার, তুমি যাবে না?’ উত্তরে বলতেই হল, থাকব কোথায়, এই নিয়েই ভাবছি। কেননা দোলে তো লজ বা হোটেল সব আগে থেকে ঠিক করতে হয়, এত দেরিতে কি কিছু আর পাওয়া যাবে?’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ১৬

‘বাবা আর কাকা মিলে বিছানা পেতে দিলেন রিজার্ভ বেঞ্চিতে। মাঝরাতে হিসি পেয়ে যাওয়ায় ঘুম থেকে উঠে তরু দেখল যে, মা, জেঠিমা আর কাকিমা অঘোরে ঘুমিয়ে পড়লেও, জ্যাঠা, কাকা আর তার বাবা, তিনজনেই একটা বেঞ্চিতে জেগে বসে আছেন।’

টুপি

‘সাধুজ্যাঠার দেখিয়ে দেওয়া দরজার পাল্লা ঠেলে ঠান্ডা-ঠান্ডা ভেতরে ঢুকে, সামনে যে চেয়ার দেখতে পেয়েছিল তাতেই বসে পড়েছিল জগৎ। ফাঁকা টেবিলে ফাঁকা কলমদান ছাড়া আর কিছু ছিল না, দেয়ালে ছিল না কোনও ছবি। এ কীসের অফিস? গুমঘর নয় তো!’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ১৫

‘কার একটা ধুতি চেয়ে দু-ভাঁজে ফেরতা দিয়ে পরে, খালি গায়ে এমন করে খেতে বসে গেল, যেন এটা ওর নিজের বাড়ি! তনুর মাথা তখন রাগে দপদপ করছে। কোথায় সেই বুদ্ধিদীপ্ত হরু আর কোথায় এই ভোজন-সর্বস্ব সেজদা!’

কবির সঙ্গে দেখা : পর্ব ৩৬

তাঁকে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ কবি চিহ্নিত করেছিলেন স্বয়ং গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ! তিনি কূটনীতিবিদ, আবার তিনিই জনগণের কবি। বাড়ির অমতে ছদ্মনামে প্রথম বই প্রকাশ, যে নামে আজ তাঁকে চেনে এই বিশ্ব, তিনি পাবলো নেরুদা (১৯০৪-১৯৭৩)।

ব্রিটিশ কলকাতার অপরাধ জগৎ

‘সে-সময়ে ডাকাতদলের একজন রাজসাক্ষী হলে এক ভয়ংকর তথ্য জানা যায়, প্রায় দু-শো জন পর্তুগিজ এবং অন্যান্য ইউরোপিয়ান-সহ তাদের একটি দল পরিকল্পনা করেছিল তৎকালীন কলকাতার সবচেয়ে বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিন্দুস্থান ব্যাঙ্ক ডাকাতি করার!’

সং স্টোরি শর্ট : পর্ব ১২

‘কবিদের মৃতদেহ/ চাপা পড়ে কাগজে,/ বসন্ত এসে গেছে…’।
আদৌ কি প্রেমের গান, নাকি এই অক্ষরগুলোর অন্তরালে লুকিয়ে ছিল স্রষ্টার অন্য কোনও ভাবনা? ‘চতুষ্কোণ’ ছবির সেই বিখ্যাত গানের গল্প এবারের ‘সং স্টোরি শর্ট’-এর পর্বে।