

চিরকুট
‘ছোট তো ওরা। চিরকুটকে নিয়ে খিল্লি করে যারা। পাড়ার মোড়ে সিগারেট ধরায়। সময় হলে পেটায়। কুত্তার মতো পিটিয়ে-পিটিয়ে থেঁতলে দেয়। রক্ত বেরোয়। কখনও বেরোয় না। মানুষ মরে। বেড়ালও। গাছও। গাছের কাছে গিয়ে দাঁড়াও, দেখবে কত ছোট।’ নতুন গল্প।
‘ছোট তো ওরা। চিরকুটকে নিয়ে খিল্লি করে যারা। পাড়ার মোড়ে সিগারেট ধরায়। সময় হলে পেটায়। কুত্তার মতো পিটিয়ে-পিটিয়ে থেঁতলে দেয়। রক্ত বেরোয়। কখনও বেরোয় না। মানুষ মরে। বেড়ালও। গাছও। গাছের কাছে গিয়ে দাঁড়াও, দেখবে কত ছোট।’ নতুন গল্প।
‘রানিগঞ্জ বা ভিলাইয়ের মতো মধ্য ভারতের যাবতীয় খনি-অধ্যুষিত প্রদেশেই এই দেবী নিয়মিত পূজিতা। সমস্ত কোলিয়ারিতেই তাঁর ছবিটুকু টাঙানো থাকে। ওইসব জায়গার কোথাও-কোথাও তাঁর ডাকনাম ‘শক্তিদেবী’, কেউ ডাকেন ‘নিলোদি মা’ বলে।’ আঞ্চলিক দেবীর আখ্যান।
নীতা তার শ্রম দিয়ে একদা শঙ্করের স্বপ্নকে আগলে রেখেছিল। ভারত-বিখ্যাত গায়ক হয়ে ফিরে আসা শঙ্করও অসুস্থ বোনকে শিলং পাহাড়ে যক্ষ্মা রোগীদের স্যানেটোরিয়ামে নিয়ে যায়। এখানে বোনের প্রতি ভালবাসা ও কর্তব্যের পাশাপাশি কোথাও হয়তো ঋণশোধের একটা জায়গাও ছিল।
নিরপেক্ষ বলতে আসলে কাদের বোঝায়? যে বা যারা নির্বিকার, তাদের? নাকি অন্য কোনও অর্থ আছে নিরপেক্ষ শব্দের? একজন মানুষ কতক্ষণ অবধি কোনও গণমাধ্যমকে নিরপেক্ষ বলতে পারেন?
‘খুব অল্প দামের এক প্লেট মুরগির ঝোল আর রুটির স্বাদ পৃথিবীর সব কিছুকে হার মানাতে পারে আজও। কেবল অতীতকে পারে না। বাবার পাত থেকে এক সময়ে কত খেয়েছি। আজ আর চাইলেও বাবাকে একটু তুলে দিতে পারি না আমার পাত থেকে।’
গান তৈরির গল্পে এ বারের গান “আমার শহর”। কলকাতাকে নিয়ে খানিকটা নিরাশা এ গানে থাকলেও, বেশি আছে মনচাপা একটা কষ্ট। যে কলকাতা জ্বলজ্বল করতে পারত, সে যেন রণে ভঙ্গ দিয়ে বুড়িয়ে গেল। আর নতুন প্রজন্ম তাকে ত্যাগ করে বসত করল অন্যত্র।
‘সেই প্রথম রুনা বুঝেছিল যে, সে আর ঝিনি— একে অপরের প্রাণের বন্ধু হলেও, আসলে কিন্তু তারা এক নয়। কেন যে এক নয়, পরে সেটা সে বুঝতে পারলেও একটা ব্যাপার কিন্তু আজও রুনা জানে না যে, ঝিনির মা কেন তাকে নিজের মেয়ের মতো টানতেন!’
‘কতজন বিশ্বাস করবেন জানি না, আমি কয়েকটা দাঁত পেয়েছিলাম বৃষ্টিভেজা মাটিতে। মানুষের দাঁত। হাতে করে নিয়ে গিয়ে দেখিয়েছিলাম ওদের অফিসে। বিশেষ পাত্তা দেয়নি। বলল, ওরকম দাঁত বা হাড়ের টুকরো নাকি বৃষ্টি হলে মাঝে মাঝেই উঠে আসে জমির ওপর।’
মন এক আশ্চর্য বস্তু। কখনও সে ঝাঁ-চকচকে জীবনের দিকে তাকিয়ে আক্ষেপ করে, আবার পরক্ষণেই সে বেছে নেয় সহজ-সরল একটা জীবনের ছবি। পোড়খাওয়া পেন্ডুলামের মতো জীবনের নানা প্রান্তে দুলে-দুলে সে যে আরাম অনুভব করে, তার কোনও তুলনা নেই।
কবি শুধু কবি নন, তিনি দ্রষ্টা; যিনি অনুভব করেন সময়ের হাতছানি, দেখতে পান সেই অবশ্যম্ভাবী পরিণতি। ভাস্কর চক্রবর্তী-র শেষ কাব্যগ্রন্থ ‘জিরাফের ভাষা’ বাংলা সাহিত্যের এক অনন্যসাধারণ সংযোজন, বছর কুড়ি পরেও যা একই রকম মুগ্ধতার আবেশ রেখে যায়।
‘ভূতেশ এখন বিশেষ ব্যস্ত, বাড়ির হাতায় একটা সান্ধ্য কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক খোলবার জন্য; সেই সঙ্গে একেবারে উঠে পড়ে লেগেছেন, বাড়ির থেকে মাইলখানেক দূরে পড়ে থাকা কিছু বাস্তুজমি উদ্ধার করে, সেখানেই একটা সবজিখামার বানাতে।’
‘বেড়ালকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে একটা নাম দিয়ে দেওয়া কাজের কথা নয়। অনেক ভেবেচিন্তে বেড়ালের নামকরণ করাই সমাজ-সংসারের পক্ষে মঙ্গলকর। বেড়ালদেরও মানমর্যাদা তাতে রক্ষা হয়। ‘দ্য নেমিং অফ ক্যাটস’ কবিতায় এই সার কথাটি বুঝিয়ে বলেছেন এলিয়ট।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.