

ডেটলাইন : পর্ব ২
‘এবার যদি আগুন লাগে, শরীর খারাপ হয়, বাইরে বেরনো যাবে না। এটা ভেবেই দম বন্ধ লাগতে শুরু করল। তার মধ্যে রাত যত বাড়ছে, তত বিচিত্র আওয়াজ আসছে চারপাশ থেকে। কোথাও যেন ভারী কিছু পড়ল। কেউ কি লাফ দিল?’
‘এবার যদি আগুন লাগে, শরীর খারাপ হয়, বাইরে বেরনো যাবে না। এটা ভেবেই দম বন্ধ লাগতে শুরু করল। তার মধ্যে রাত যত বাড়ছে, তত বিচিত্র আওয়াজ আসছে চারপাশ থেকে। কোথাও যেন ভারী কিছু পড়ল। কেউ কি লাফ দিল?’
‘হরুর মনে পড়ল জয়নারায়ণের কথা। সাবধানের মার নেই ভেবে তারা আর পরস্পরকে চিঠি লেখে না; কিন্তু মায়ের কাছে এসব ঘটনা জানার পর পরই লোক মারফত জয়নারায়ণ যোগাযোগ করে তার প্রাণের বন্ধু হরুর সঙ্গে; দেখা হয়েছিল তরুবউদির ছোটকাকার ইছাপুরের বাড়িতে।’
খেলাধুলোর মধ্যে দিয়ে ফিরে যান ছেলেবেলার দিনগুলোয়। হাজারও ব্যস্ততার মধ্যে কোনও মতেই খেলা দেখতে ভোলেন না। বিলেতের মাঠে বসে দেখেছেন উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপ কিংবা ফুটবল বিশ্বকাপের ম্যাচ। সেসব অভিজ্ঞতাই জানালেন জয় সরকার।
মানবজাতির যে-কোনও কাজ ‘পেরে যাওয়া’র প্রতি একটা অশেষ শ্রদ্ধা আছে। সে-কাজ যদি অনৈতিকও হয়, তা-ও তা গ্রহণযোগ্য, কিন্তু না-পারা নয়। জো-বাইডেন টক্করের লড়াই দিতে পারলেন না বলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন। তা না হলে যে ট্রাম্পের সুবিধে!
‘ওয়ান ম্যান ইন্ডাস্ট্রি বলতে ছোটবেলায় আমি এসব লোকজনকেই বুঝতাম। তা সেই ওয়ান ম্যানের দোকানের সামনে গিয়ে আমরা একটু পিছন দিকে দাঁড়াতাম। সামনের দিকে সম্পন্ন খদ্দেরদের জমায়েত, যাঁরা একজনের জন্য এক প্লেট চাউ বা একটা গোটা রোল কিনতে পারে।’
‘হিটলার এবার তাঁর নাগালের মধ্যে। এবার অপেক্ষা কেবল সুযোগের। শুধু হিটলার নয়, হিমলার, গোয়েরিং-সহ শীর্ষ স্থানীয় সব ক’টি শয়তানকে একসঙ্গে উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছকে ফেললেন ‘প্রতিবন্ধী’ ক্লাউস।’
‘এই বইতেই অরুন্ধতী আরও বলছেন ‘যুগোস্লাভিয়ায় একটা প্রবাদ আছে— সত্যি কথাটা বলেই পালিয়ে যাও। কিন্তু কিছু লোক পালায় না। এমনকী যখন পালানো উচিত, তখনও পালায় না।’ অরুন্ধতী পালিয়ে যান না। তাঁর মুগ্ধ পাঠক যারা, তাদেরও পালাতে দেন না।’
‘স্টেশন থেকে বেরোতেই ভূতেশ দেখল যে, একখানি সরকারি ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে তার আরদালি দাঁড়িয়ে আছে। অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের বাংলোয় পৌঁছে আর এক চমক; মেয়ে নিয়ে প্রভা আসছে শুনেই, পাশের বাংলোর বাঙালি অফিসারের গিন্নি একেবারে প্রদীপ, ফুল, মিষ্টি নিয়ে তৈরি।’
‘তামিল ভাষা, তাই বোঝার প্রশ্ন নেই। কিন্তু চোখ আটকে গেল একটা ছবিতে। বাজে নিউজপ্রিন্টে ততোধিক বাজে ছাপা, কিন্তু এই ছবি তো ভুল হওয়ার নয়, অন্তত কোনও ভারতীয়ের চোখে। সৌরভ গাঙ্গুলির মুখ এলটিটিইর মুখপত্রে কেন?’
‘অসহায় মানুষ যে নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে, ধরতে চায় সহযোগিতার হাত, তা ভোলেবাবারা হাড়ে-হাড়ে বোঝেন। কিন্ত বিকৃত আর্থ-সামাজিক সম্পর্কে গডম্যানদের কাছে প্রকৃত জীবনের সন্ধানের পরিণাম সুখের হয় না।’
‘…কলকাতা ইজ অ্যাভারেজ! মেনে নাও। দিল্লি হল রাজধানী। মুম্বই হল ফিল্ম, ফিন্যান্সের রাজধানী, বেঙ্গালুরু আই টি-র রাজধানী। আমরা নেই কোথাও এসবে। আমরা একটা পাতি শহর। তুমি এই পাতি শহরের একটা পাতি আই টি কর্মচারী।’
কবি শুধু কবি নন, তিনি দ্রষ্টা; যিনি অনুভব করেন সময়ের হাতছানি, দেখতে পান সেই অবশ্যম্ভাবী পরিণতি। ভাস্কর চক্রবর্তী-র শেষ কাব্যগ্রন্থ ‘জিরাফের ভাষা’ বাংলা সাহিত্যের এক অনন্যসাধারণ সংযোজন, বছর কুড়ি পরেও যা একই রকম মুগ্ধতার আবেশ রেখে যায়।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.