

মেগা ম্যাগাজিন : পর্ব ১০
‘প্রকাশক গেইনস মনে করতেন, গুণমান বজায় রেখে ম্যাগাজিন বের করতে হলে তার ধরাবাঁধা সময় থাকলে চলে না। কখনও দ্বিমাসিক, কখনও বছরে আট বার— নানা সময়ে নানা বিরতিতে প্রকাশিত হয়েছে এই পত্রিকা।’
‘প্রকাশক গেইনস মনে করতেন, গুণমান বজায় রেখে ম্যাগাজিন বের করতে হলে তার ধরাবাঁধা সময় থাকলে চলে না। কখনও দ্বিমাসিক, কখনও বছরে আট বার— নানা সময়ে নানা বিরতিতে প্রকাশিত হয়েছে এই পত্রিকা।’
‘সন্ত্রাসের তীব্রতা প্রতিদিন ফুলেফেঁপে উঠছে চুপিসারে, প্রকাশ্যে। দ্রুত সংক্রামিত করছে আমাদের চারপাশ। মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাস শিথিল হয়ে ওঠার সম্ভাবনাও আর খারিজ করা যাচ্ছে না। দেশ, প্রতিবেশের পরিস্থিতি ইদানীং এমনই।’
‘এমনিতে রণেন এত চিঠি লেখে যে, মিতাকে মাঝে-মাঝে লজ্জায় পড়ে যেতে হয়; ভাইবোনেদের তির্যক মন্তব্যে সে বুঝতেও পারে, সুযোগ পেলেই চিঠি খুলে তারা যে সেগুলো পড়ে; আবার আঠা লাগিয়ে বন্ধ করে মিতাকে দেয়; ফলে বাবার কানেও সবই যায়।’
‘বাইরের দুনিয়াটা বদলে গেছে অনেকখানি। আমার মধ্যেকার সেই একার দুনিয়াটা অবশ্য থেকে গেছে এক কোণে, যে আজও আকাশবাণীর ক্যান্টিনে কিছুতেই ঢুকতে চায় না। পাছে দেবাশিসদার কথা মনে পড়ে যায় তার!’
‘একটা প্রখর অন্যায় ঘটে গেছে, তারপর তার প্রবল প্রতিবাদ হয়েছে, লোকে ভেবেছিল, বড়-বড় তদন্তকারী সংস্থাগুলো হেস্তনেস্ত করবেই। সরকার হয়তো জনরোষ বুঝে একটুখানি সমাধানের দিকে ঝুঁকবে। অন্তত লজ্জায় জিভ কাটবে। সরকার তপ্ত হয়েছে বটে, অনুতপ্ত হয়নি।’
সাহিত্য-সংস্কৃতি-গান, এ সবের সঙ্গে অঙ্কের কিন্তু কোনও বৈরিতা নেই। তাই সংস্কৃতি করলে অঙ্ক বা অন্য পড়াশোনা ভালবাসা যাবে না, এরকম যদি হয়, তাহলে মনে হয় আখেরে লাভ হবে না। কেউ ভালবাসতে পারে, কেউ না। সেই অঙ্কের প্রতি ভালবাসা থেকেই তৈরি এই গান।
‘প্রকৃতিতে একেবারে অকস্মাৎ কোনও কিছুই ঘটে না, আগে কোথাও-না-কোথাও সতর্কবার্তা দেখা যায়। কেরালাও ব্যতিক্রম নয়। ২০১৫ থেকে ২০২২-এর মধ্যে দেশে যত ভূমিধ্বসের ঘটনা ঘটেছে, জানা যাচ্ছে তার শতকরা ষাট ভাগই ঘটেছে কেরালায়।’
‘মুনিঋষিরাও যে ‘পাই’-এর মান তিন ধরেই চলতেন, তার প্রমাণ রয়েছে মহাভারতের ভীষ্মপর্বে। সঞ্জয় যখন ধৃতরাষ্ট্রকে কুরুক্ষেত্রর যুদ্ধের লাইভ রিলে করছিলেন, তখন যুদ্ধের কমেন্টারির ফাঁকে-ফাঁকে সমগ্র জম্বুদ্বীপ, আকাশের গ্রহ-নক্ষত্র ইত্যাদি নিয়েও অনেক কিছু বলছিলেন।’
‘প্রবল পরিস্থিতির চাপে নতিস্বীকার না করে নিজেদের শিরদাঁড়া শক্ত রেখে মনুষ্যত্বের প্রতি সমর্থনে অন্য মানুষের ভূমিকা, রিল নয়, রিয়েল লাইফে দেখলাম একের পর এক এগিয়ে আসা, মধ্যরাতের স্লোগান-মুখরিত মিছিলগুলোয়। অনেকে সঙ্গে আনলেন নাবালক-নাবালিকা সন্তানদের।’
‘দুজন যুবক নামে। বমনরত তরুণীর মুখ টিসু দিয়ে দ্রুত মুছিয়ে দিয়ে চ্যাংদোলা করে গাড়িতে তোলে। নীলাকে হাত নেড়ে ভোঁ করে গাড়ি নিয়ে রাতের কলকাতায় মিলিয়ে যায়।’
শব্দভান্ডারে নতুন সংযোজন ‘Sanewash’। মানে, অসংলগ্ন প্রলাপ-মার্কা কথাকে বোধগম্য রূপ দেওয়া। ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী সভায় যে-সব হাবিজাবি বকছেন, তাকে কিছু গণমাধ্যম দিব্যি যুক্তিযুক্ত আকারে উপস্থাপিত করছে। সে কি ঠিক? ভারতীয় নেতা-নেত্রীদের বেফাঁস বা উদ্ভট কথাকে এভাবে সাফাই করে সাজিয়ে দিলে, আমাদের আদ্ধেক মজা কি নষ্ট হয়ে যাবে না?
‘প্রাণ থাকে কি না সন্দেহ। মর্টারের আঘাতে প্রাচীন বাড়ির কোনদিক ধুসে পড়বে কেউ বলতে পারে? গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কাঁপছে সবাই। কথা বলার শক্তিও নেই। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছি আমরা ক’টি প্রাণী, পরস্পরের দিকে।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.