পত্রিকা

সুদেষ্ণা রায়

ব্যাকস্টেজ: পর্ব ৬

‘রাত একটায় যখন ওঁর ঘরের পার্টি থেকে সবাই যে-যার ঘরে ফিরছি, প্রযোজক ভয়ে-ভয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কাল কি কল-টাইম পিছিয়ে দেওয়া হবে? মিঠুনদা বললেন, ‘কেন? এটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। মজাও আছে, ডিসসিপ্লিনও। কাল ভোর ছ’টাতেই দেখা হবে। আমাদের কোনও ক্লান্তি নেই।’’ মিঠুনদার স্মৃতি।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ১২

বিশেষ করে যৌনতা সংক্রান্ত কোনওরকম মন্তব্য যদি মূলধারার বিশ্বাসের বাইরে হয়, তাহলে বক্তাকে কালিমালিপ্ত করতে কেউ বাদ রাখবে না। আরও মজার ব্যাপার, এই প্রসঙ্গে কথা বলা একরকম পাপ বলেই ঠাওর করা হয়। লিঙ্গ নির্বাচনের স্বাধীনতা।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ২৭

‘…দুদিন কেটে গেল। টেলিফোনে চারদিক থেকে বুকিং-এর রিপোর্ট আসছে। শেষের দিকে নাকি দর্শকরা উসখুস করছে। যেন ভালো লাগছে না তাদের। শেষটা যেন তাদের মনঃপুত হয়নি। তবে কি ছবি চলবে না? টিকিট বিক্রি কেমন এগোচ্ছে? হাউস ফুল চলছে। কিন্তু টান নেই তেমন।’ দর্শকের রায়।

Bindaasini: Part 9

‘… In our all girls’ convent school, sex education was an absolute no-no. Even discussing sexual/menstrual health was a taboo. I do hope schools focus more on investing in sex education, instead of policing girls for the lengths of their skirts,..’ Why city schools need to start talking about sex.

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ৭

প্রকৃত অর্থে একেবারেই নিরাভরণ তাঁর কবিতা। অথচ দেখার দৃষ্টি তাকে অনন্য করেছে। আমাদেরই চেনাজানা পৃথিবীকে একটা বৈঠকী ঢঙে দীর্ঘকাল ধরে নতুন করে চিনতে শিখিয়েছেন তিনি। কবি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের এটাই নিজস্ব ধরন। আজ এই পর্বে তাঁরই কিছু কবিতা রইল।

রোচনা মজুমদার

গুগাবাবা ও খেরোর খাতা

সত্যজিৎ রায় যে ভীষণ নিখুঁত ছিলেন সিনেমার ব্যাপারে তা আমাদের জানা। কিন্তু কতটা, তা খেরোর খাতার খুঁটিনাটি দেখলে টের পাওয়া যায়। পাওয়া যায় নানা মজার তথ্যও। এই খেরোর খাতা এখন একুশ শতকের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সবার হাতের নাগালে।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ৭

‘…তিন চাকার রিকশাগুলো এখন প্রায় উঠে গেছে। তার বদলে এসেছে টোটো। গরুর গাড়ি আর এবড়ো-খেবড়ো রাস্তায় ঝুরঝুরে রিকশার আওয়াজ আমাদের ছেলেবেলা জুড়ে রয়ে গেছে। অঙ্কের কড়া মাস্টারমশাই জলে-ঝড়ে হাজির হতেন একটা যত্নে রাখা সাইকেল নিয়ে। সেই অনভিপ্রেত সাইকেলের চাকার কটকট আওয়াজ আমার সব আশায় জল ঢেলে দিত।’ শান্তিনিকেতনের শব্দেরা।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ১৩

‘যদু: ইন্ডিয়ার তুলনাটা বাড়াবাড়ি না? এখানে তো মেয়েরা মডেলিং করছে, মামলা করছে, ডিভোর্স করছে…’

‘নীতা: আমি পারছি, দেশের অনেক জায়গাতেই অনেকে পারে না। আর, মেয়েদের গুলি করে মারছে না বটে, কিন্তু পণ না দিলে পুড়িয়ে মারছে। মেয়েরা জন্মানোমাত্র জ্যান্ত পুঁতছে…’

সব দেশেই নাকি তালিবান?

সোহিনী দাশগুপ্ত

কয়েকটি কবিতা

‘আমি বুঝতে চেষ্টা করি/ তুমি আশেপাশেই আছ কি না, তুমিও/ আশ্চর্য হয়ে আমাকে দেখছ কি না/
সন্ধে হলে আমার মনে হয় তোমারও/ আমার জন্য মন কেমন করছে, মনে হয়/ তুমিও হয়তো খাতা টেনে নিয়েছ কোলে আর/ খাতা ছাপিয়ে উঠে আসছে অতলান্তর কালো জল।’ নতুন কবিতা।

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

অরণ্যের পরিপ্রেক্ষিতে মহাভারত

‘নির্বাসনে এসে অরণ্যে তাঁদের বিনয়ের শিক্ষা হয়, এবং শেষ পর্যন্ত সন্ন্যাসীর বেশে ফিরে এসে অনুধাবন করেন যে, অরণ্য সবার সঙ্গেই সমান ব্যবহার করে। এইভাবে দেখলে, মহাভারত এক বৈদিক সত্যের সন্ধান দেয়। অরণ্যে জোর যার, মুলুক তার। কেউ কাউকে সাহায্য করে না।’ অরণ্যের শিক্ষা।

স্বর্ণেন্দু সাহা

উদ্বাস্তু

‘সারাটা দিন সে ছাউনির ভিতর চুপচাপ শুয়ে কাটিয়ে দেয়। ঘুম এলে আবছা, ধোঁয়াটে একটা কুয়াশার স্তর ডানা মেলতে থাকে তার মস্তিষ্কে। সেই ডানার পরিসীমা অপরিসীম কোনও সমতলের মতো অসীম। স্বপ্ন আসে না। কিংবা হয়তো আসে, কিন্তু সেই স্বপ্নে স্রেফ আঁধার ঘুরে বেড়ায়।’ নতুন গল্প।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ২৬

‘…গুরুর অবশ্য এ অভিজ্ঞতা প্রথম নয়, আগে আরো পাঁচ-ছখানা ছবি করেছে। প্রতিবার এমনি করে প্রিমিয়ারের দিন দুরু-দুরু বুক নিয়ে মুখে হাসি ফুটিয়েছে। তারপর আসল রায় যা দেবার দিয়েছে জনসাধারণ। যে যত বড় মহাপুরুষই হোক, জনসাধারণের বিচারালয়ে তাকে দাঁড়াতেই হয় আসামী হয়ে। কেউ পায় ফুলের মালা, কেউ নিন্দের। জনসাধারণের প্রীতির ওপর যাদের প্রতিষ্ঠা নির্ভর করে, তাদের এমনি করেই দুরু-দুরু বুক নিয়ে মুখে হাসি ফোটাতে হয।’ ছবির প্রিমিয়ার।