পত্রিকা

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ১৫

আজকের কম্পিউটার-নির্ভর জীবন ও প্রযুক্তি বিশ্বকর্মা আর সরস্বতীরই কো-প্রোডাকশন ধরতে হবে। তার মধ্যে বেঁচে ও তার কোলেপিঠে কেশেহেঁচে যদি আমরা হাতি-সওয়ার লোকটিকে এভাবে কাঁচকলা দেখাই, তা অত্যন্ত অশোভন কৃতঘ্নতা নয় কি? বিশ্বকর্মা মাঈ কি…

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৩১

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

অনির্বাণ ভট্টাচার্য

কুছ খাস হ্যায়

একগাল হাসি মুখে একটা উইকেট তুলে সই করছেন সানি গাভাসকার। আমি ফ্রিজ করে নিই। টাইম, স্পেস ফ্রিজ করে নিই। দাদুর বয়স বাড়ে। ঠাকুমার বয়স বাড়ে। অপারেশনের দাগ, দেওয়ালের দাগ, কোনটা ভোগায় বেশি, কে জানে! একটুখানি বোরোলিন দিই ঠাম্মা? জীবনের ওঠাপড়ার দাগ।

উত্তীয় মুখার্জি

একটি অসমাপ্ত সুইসাইড নোট

‘…বিবিধ ভাবনার পাহাড় কেটে প্রগতি যখন নিজের সামনে রাখা সাদা খাতাটার দিকে তাকাল, তার চোখে পড়ল শুধু তিনটি লাইন, যা সারা রাত জুড়ে লিখতে চেষ্টা করা বাকি দশটা ছিঁড়ে দেওয়া লেখার মতোই এতটাই সাধারণ এবং মেলোড্রামাটিক যে, সেটা প্রগতি দত্তর মতো খ্যাতনামা লেখিকার সুইসাইড নোট হতেই পারে না।’ মৃত্যুর গল্প।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৩০

‘…আমি কলকাতার ধুলো-শব্দ-ধোঁয়া থেকে সেখানে যেতাম। আমার কাছে সে-বাড়ি তখন স্বর্গ মনে হত। বাগানের বিরাট-বিরাট গাছের তলায় আমার ঘরখানার বারান্দা। সেই বারান্দার ওপর ইজি-চেয়ারটা টেনে নিয়ে আমি কল্পনার পাখায় চড়ে স্বর্গ-মর্ত করতাম। গীতা যাকে বলত কবরখানা, আমার কাছে তাই-ই মনে হত স্বর্গ।’ বদলের সংসার।

মৃড়নাথ চক্রবর্তী

বিবর্তনবাদ

ধ্বংসস্তূপের মাঝখানে দুটো গাছ। একটা সম্পূর্ণ ন্যাড়া, অন্যটায় সামান্য ক’টা পাতা। বেশিরভাগই হলুদ। এরই মাঝখানে দুজন সহায়সম্বলহীন পথিকের সংলাপ দিয়ে এই নাটক শুরু। উঠে আসে দুজনের অতীতের দুঃখময় যাপন। আর শেষে এই বেঁচে থাকার লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে তাঁরা শুরু করে নতুন জীবন।

উপল সেনগুপ্ত, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ৭

রাজা জিজ্ঞেস করলেন, আমাকে কীসের মতো ভালবাসো? এক মেয়ে বলল, নুনের মতো। হাসাহাসি পড়ে গেল, রাজা রেগে লাল। তখন সেই মেয়ে তখন খুব ভেবেচিন্তে বিরাট ভোজের আয়োজন করল, কোনও রান্নায় নুন দিল না। খেয়েদেয়ে সবাই কী বলল? আর গানে, সামুদ্রিক লাল কাঁকড়া বিষয়ে নিরবচ্ছিন্ন কৌতূহলের সরল-সাদা প্রকাশ।

অনীক দত্ত

আমার সত্যজিৎ

‘…এরপর থেকে কিছুদিন অন্তর অন্তর বাড়িতে ‘সন্দেশ’ পত্রিকার এক-একটা সংখ্যা আসতে শুরু করে। তাতে উপরে একটা কাগজে আমার নাম লেখা থাকত। এই ঘটনাটা মনে আছে তার কারণ, ওই প্রথম আমার নিজের নামে ডাকযোগে কিছু একটা আসে।’ সত্যজিৎ স্মরণিতে প্রবেশ।

সৌভদ্র চট্টোপাধ্যায়

এক ধাক্কায় বদলাল সাংবাদিকতা

হিসেব বলে, মার্কিন টিভিগুলি ৯/১১ টানা ৯৩ ঘণ্টা সরাসরি কভার করেছিল। স্যাটেলাইট টিভির অকল্পনীয় মহা-ম্যারাথন! টিভির ইতিহাসে এত বড় ঘটনা এবং তার নিরবচ্ছিন্ন প্রচার এর আগে হয়নি। ৯/১১ বুঝিয়ে দিল টিভি সাংবাদিকতার অপার মহিমা।

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

সন্ত্রাস ঠিক এরকম দেখতে

সন্ত্রাসবাদেরও হয়তো কিছুটা সুবিধে হয়ে গেল। কারণ লোকে চোখে দেখে উগ্রপন্থীদের ক্ষমতা সম্পর্কে বেশ ওয়াকিবহাল হল। এর আগে যে সন্ত্রাসের কথা আমরা শুনেছি, তা এভাবে দেখতে পাইনি। তাই, ভয়টা রাষ্ট্রও পেল, সাধারণ মানুষও পেল। ৯/১১ খোদাই করল অবিশ্বাস।

ডাকবাংলা.কম

৯/১১: বিশিষ্ট ব্যক্তিদের চোখে

কিছু কিছু ঘটনা বা অনুভূতির ওপর একটা হালকা ধুলোর আস্তরণ পড়লেও, সেই ধুলো সরালে ক্ষত দগদগে হয়ে ফের জানান দেয়। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন-টাওয়ার আক্রমণের ঘটনাটাও ঠিক তেমন। কুড়ি বছর পরে সেই ভয়াবহ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই, কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানালেন।

ডাকবাংলা.কম

৯/১১: প্রবাসী বাঙালিদের চোখে

প্রথমে কেউই বিশ্বাস করতে চাননি ঘটনাটা। কিন্তু ক্রমশ আতঙ্কের কালো মেঘ ছেয়ে ফেলেছিল তাঁদের চারপাশ। ভয় আর রাগে তাঁরা হয়ে পড়েছিলেন স্তব্ধ, হতবাক। ৯/১১-র সে বীভৎস মুহূর্তের স্মৃতি, আজ বছর কুড়ি পরে উঠে এল তিনজন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে।