পত্রিকা

জয়ন্ত সেনগুপ্ত

হেঁশেলের হিস্‌সা: পর্ব ৪

‘এমন নয় যে আমরা গোমাংস খেতে শিখেছি সায়েবদের কাছ থেকে। শুধু বৈদিক যুগেই নয়, তার পরেও বহু শতাব্দী গোমাংস আমরা খেয়েছি সানন্দে, তার উল্লেখ ছড়িয়ে রয়েছে ‘গৃহ্যসূত্র’-এ, যাজ্ঞবল্ক্যের ‘শতপথ ব্রাহ্মণ’-এ, চরক বা সুশ্রুতের সংহিতায়, বিস্তর বৌদ্ধ টীকাগ্রন্থে।’ গোমাংসের ঐতিহ্য।

বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত

সবচেয়ে বর্মহীন কবি

‘লেকচারের দিন প্ল্যানমাফিক গৌতমের কাছ থেকে সিনেমার রিলগুলো তুলে, শঙ্খদার বাড়িতে পৌঁছে ট্যাক্সিকে পাঁচ মিনিট দাঁড়াতে বলে শঙ্খদার কাছে গেলাম। পাঁচ মিনিট বোধহয় পনেরো মিনিট হয়েছিল। দুজনে গলির মুখে ফিরে এসে দেখি ট্যাক্সি গায়েব, ‘ব্যাটলশিপ পোটেমকিন’ সমেত।’ স্মৃতিচারণ।

সন্দীপ রায়

না-দেখা খেরোর খাতা

সত্যজিতের খেরোর খাতাগুলো ছিল তাঁর সমস্ত সৃষ্টিশীল কাজের আঁতুড়ঘর। যাবতীয় চিত্রনাট্যের খসড়া থেকে শুরু করে আবহসঙ্গীতের নোটেশন, ছবির পোস্টার, এবং আরও হাজারও খুঁটিনাটি বিষয়ের নোট্‌স লিখে রাখতেন। এখানে প্রসঙ্গসূত্র ধরে ধরে তেমনই অপ্রকাশিত দশটা পাতা রইল!

নারায়ণ সিংহ

ফায়ারলাইট

‘ফায়ারলাইট’। শিল্পী নারায়ণ সিংহ-র দ্বিতীয় একক প্রদর্শনী। এই শিল্পকর্মগুলি আমাদের বস্তুবাদী প্রয়াস এবং প্রাকৃতিক প্রবণতার সংঘাত অনুসন্ধান করাতে চায়। ভঙ্গুরতার মোটিফ এই প্রদর্শনীতে ঘুরে-ফিরে আসে, তবে তা শুধু মনুষ্যজীবনের পরিপ্রেক্ষিতে নয়— জীবন ও মৃত্যুর শাশ্বত বৃত্তে।

শুভা মুদ্গল (Shubha Mudgal)

শুভারম্ভ: পর্ব ৪

‘দমে যাবার পাত্রী রেবতী নন, তিনি সহজাত নিষ্ঠার সাথেই তাঁর এই নতুন শিষ্যাকে ঘষামাজা করতে লাগলেন। কিন্তু ক্রমে স্পষ্ট হয়ে উঠল, নির্মলা সেই বিরল প্রজাতির প্রাণী, যিনি বিশ্বের যে-কোনও শিক্ষককে ‘আমায় শেখাতে পারলে তো শেখাবে’ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন!’ শখের নাচ।

পৃথ্বী বসু

লুকোনো প্রদীপের আলো

‘এখানে ‘জীবনী’ লেখা হয়েছে ঠিকই, তবে তা টীকার ভারে নুয়ে পড়েনি। রানীরই (চন্দ) বলা কথা থেকে লেখিকা শুধু কুড়িয়ে এনেছেন তাঁর যাত্রাপথের রূপরেখা। তাঁর আনন্দময় যাপনের দিন-রাত্রি। সুতরাং, তথ্যপঞ্জীর আড়ম্বরে কোনও ভাবেই আড়াল হয়ে যায়নি আলোচ্য ব্যক্তির ‘মন’।’ পাঠপ্রতিক্রিয়া।

শ্রীজাত

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ৩

কবিতা কখন কীভাবে আসে, তা আগে থেকে কেউ বলতে পারে না। কারণ কবিতা তৈরি করা করা খুবই শক্ত! অনেক সময়ে দিনের পর দিন খাতা খালি থেকে যায়, আবার অনেক সময়ে তা তোড়ের মতো আসতে থাকে। আগল খোলার অপেক্ষা কেবল। ‘বান্ধবীগাছ’ও লেখা হয়েছিল সেইরকমই একটা ঘোরের মধ্যে।

শুভা মুদ্গল (Shubha Mudgal)

Shubharambh: Part 4

‘Not one to be daunted by slow learners, Revati did her best to teach her new student with her characteristic dedication, but with each passing lesson it became amply clear that Nirmala was one of those rare beings who could throw any teacher anywhere in the word a Teach-me-if-you-can challenge.’ Of two left feet.

তন্ময় বসু

লয়কারি: পর্ব ৬

অতিমারী এসে যখন চারপাশ তছনছ করে দিল রাতারাতি, তা থেকে বাদ গেল না শিল্পীদের জীবনও। তার মধ্যে আবার বাউল এবং কণ্ঠীশিল্পীদের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। অর্থাভাব এক দৈত্যের মতো গত বছর থেকে তাদের ঘাড়ে চেপে বসে রয়েছে। সমাধান একটাই, নানান উদ্যোগ নিয়ে ওদের পাশে দাঁড়ানো।

অনুপম রায়

ম্যাকি: পর্ব ৩

‘পর্নোগ্রাফি ইন্ডাস্ট্রিতেই এই ডিপফেক চলে বেশি। একটি নারীশরীর পেলেই হল, তাতে বসিয়ে দাও বিখ্যাত কোনও সেলেবের মুখ, আর ব্যাস! তৈরি হয়ে গেল ভাইরাল পানু। যত বেশি সময় দেওয়া যাবে ডিপফেকটি বানাতে, তত বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়বে ক্লিপের।’ মিথ্যে প্রচারের কারিকুরি।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ১১

‘গুরুর কলকাতা সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা সেখান থেকেই। কলকাতার সমস্ত অলি-গলি তার মুখস্থ। সেখানেই প্রথম নাচ শেখবার আগ্রহ হয়। তখন কলকাতায় সংস্কৃতি বলতে উদয়শঙ্করের নাচ, মোহনবাগান ক্লাবের ফুটবল খেলা আর নিউ থিয়েটার্সের সিনেমা।’ গুরু দত্ত আর কলকাতা।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়েরি: পর্ব ৩

‘অবনীন্দ্রনাথ এই কবিতার নাম রেখেছিলেন ‘গদ্যছন্দ’— এঁকেছিলেন দুটো ছিপছিপে কোনিফার গাছ, যার মাথায় ভেসে বেড়াচ্ছে মেঘমালা। এই ছবি আমার ভাইপোকে দেখাতে গিয়ে, শিলিগুড়ির প্রথম গ্রীষ্মের তাপেও, আমি শীত বোধ করে শিউরে উঠি।’ অবনীন্দ্রনাথের পাহাড়।