পত্রিকা

দীপেশ চক্রবর্তী

অ-বাঙালিকে নিয়ে যে বাঙালিত্ব

‘মনের একটি দিক যেমন স্মৃতিবেদনার মালা গাঁথে, অন্য একটি দিক কিন্তু বাঙালি হিসেবেই দু’হাতের আঁজলা ভরে যা অজানা, অচেনা, নতুন ও অপর তাকে গ্রহণ করে— কিছুটা বাঙালি মনের মাধুরী মিশিয়েই— তার রসাস্বাদন করতে থাকে। যে-মনের এই প্রসার ঘটে, সেই মনটাও তো বাঙালি!’ বাঙালি মনের স্বরূপ।

উপল সেনগুপ্ত, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ৯

হ্যানসেল ও গ্রেটেল সারাদিন খায় এবং ফোন দ্যাখে। শোধরাতে না পেরে, বাবা তাদের জঙ্গলে রেখে আসে। তারপর একসময় তারা বাড়ি ফেরে বটে, কিন্তু বাবা-মা’র পক্ষে তা খুব ভাল হয় না। আর গানে, বাঙালিকে বলা হয় নস্টালজিয়া নট্ট, পিছমুখো রায়– মানে যারা ষাটের দশকেই এখনও শোয়, সত্তরের দশকেই ঢুলতে থাকে। রোমন্থনই যাদের একমাত্র কাজ।

বিক্রম আয়েঙ্গার (Vikram Iyengar)

নর্তকী ও জিনিয়াস

‘যখন শাশ্বতীর বাবাও অরাজি হলেন, বললেন পরিবারের পক্ষে এটা ভাল হবে না, তখন সত্যজিৎ বললেন, ‘আমরা কি বাজে কাজ করি? আমরা কি বাজে লোক?’ দিল্লি ও কলকাতায় শাশ্বতীর পরিবারের লোকেরা শেষকালে মত দিলেন, এবং শাশ্বতীর জীবন বদলে গেল।’ সত্যজিৎ-স্মৃতি।

নীল কেটলি: পর্ব ৯

‘ডাইনিং হল আর আমাদের শোওয়ার ঘরের মধ্যবর্তী খোলা দরজা দিয়ে আমি স্পষ্ট হাই হিলের শব্দ পাচ্ছি। সেই শব্দটা ডাইনিং টেবিলের চারদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একবার, দু’বার, তিনবার, চারবার এবং বহুবার ঘুরে-ঘুরে তারপর যেমন এসেছিল তেমনি দরজা ভেদ করে বাড়ির পিছন দিকের ফটকের কাছে গিয়ে মিলিয়ে গেল।’ ভৌতিক অভিজ্ঞতা।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়রি: পর্ব ৯

‘শীতকাল ঠান্ডা হবেই, এবং ঠান্ডা হবে শীতের বাতাস। কিন্তু আসন্ন শীতের নাটকটা একটু আলাদা— যখন না-পৌঁছনো শীতের ভূমিকা যেন শীতের চেয়ে লম্বা, এবং মধুর। ‘আদুরে ঠান্ডা’, ‘মিষ্টি ঠান্ডা’ – এই শব্দগুলো কথোপকথনে, বাড়ির মেনু তারির সময় আর পিকনিকের লিস্টে উঠে আসবে।’ শীতের হাওয়ার মাতন।

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৯

‘রুটির দোকান থেকে যতদূর খিদের ধারণা/ তোমাকে তো তারও দূরে ছেড়ে দিয়ে এসেছি কবেই।/ এখন বাজারে সন্ধে, কিশোরীর পথগান শোনা…/ প্রার্থনার চেয়ে আর বড় কোনও অপরাধ নেই।’ এই পর্বে রয়েছে এরকমই চার লাইনের নতুন আটটি কবিতা।

জয়ন্ত সেনগুপ্ত

হেঁশেলের হিস্‌সা: পর্ব ৯

‘ব্রিটিশ ভারতে চলমান ট্রেন ও রেল স্টেশন, সর্বত্রই খাবার ও পানীয়ের জোগাড় করতে হত জাতপাত ও ধর্মের ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে। পৃথগন্নের ব্যবস্থা ছিল শুধু হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যেই নয়, নিরামিষাশী আর আমিষভোজী হিন্দুদের মধ্যেও। স্টেশনে ট্রেন থামলেই ‘হিন্দু চা, মুসলিম চা’— হাঁক পেড়ে ছুটতেন বিক্রেতারা।’ রেলযাত্রার খাওয়া-দাওয়া।

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৩৮

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

বিক্রম আয়েঙ্গার (Vikram Iyengar)

Danseuse and Genius

‘…When trying to identify the right dancer for the solo with Maharaj-ji, Ray remained unsatisfied with the many dancers he saw. He recalled a young student of Maharaj-ji who had performed at a film festival event at Vigyan Bhavan some years before. That was Saswati Sen, who at that point had no thought of becoming a professional dancer.’ One recital, a lifetime of memories.

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ১৪

‘তৈরি হচ্ছে ‘রিলস’ ও অনলাইনে ‘গেমস’। আপনি বাড়িতে বসে সেই খেলা খেলতে পারেন ও তার ভিডিও প্রকাশ করতে পারেন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়। যে কোরিয়ার মানুষের দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির আতঙ্কজনক চিত্র ছিল এই নির্মাণে, সেগুলো এখন মোবাইলে গেম হিসেবে খেলা হচ্ছে।’ সমাজে ওয়েব সিরিজের প্রতিক্রিয়া।

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

দেহাংশ উপাসনা

‘বুদ্ধের দেহাংশ আর সতীর দেহের খণ্ডের ছোঁয়ায় বিভিন্ন স্থানের পবিত্র হয়ে ওঠার যে কাহিনী, তার মধ্যে সামঞ্জস্য লক্ষ্য না করে পারা যায় না। এ কাহিনীগুলো কি একে অপরের দ্বারা অনুপ্রাণিত? সবই তর্কের বিষয়!’ পীঠস্থানের মাহাত্ম্য।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৩৭

‘…বোম্বাই থেকে যখনই মাদ্রাজে গেছে কাউকে-না-কাউকে সঙ্গে নিয়েছে। এক-একবার গীতাও গেছে সঙ্গে। অনেকদিন সকাল থেকে শুটিং চলেছে স্টুডিওতে, সঙ্গে গীতাও গেছে। গীতা চুপ করে ঘন্টার পর ঘন্টা শুধু শুটিং দেখেছে বসে বসে।’ একাকিত্বের দায়।