পত্রিকা

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ৭

‘সামনে আবার কী এক সরীসৃপের মৃৎশিল্প। চা খাবার আগে চিনা নিয়মমাফিক তাকে চা সাধতে হবে। কমলা আকারে ছোট, চায়ের পাত্র তার চেয়েও ছোট। এ পাত্রে কমলা ডোবাব কীভাবে মাথায় এল না। গৃহকর্তা জানালেন, ঘাবড়াও মাত! ও কমলা এমনিতেই গলে যাবে। ‘কমলা চা’ খাওয়া হল।’ অবাক চা-পান।

শুভা মুদ্গল (Shubha Mudgal)

Shubharambh: Part 8

‘…From my personal experiences, I would like to share my association with three women members from the families of three of my gurus, from each of whom I received immense generosity.’ The women behind the genius of gurus.

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ২৯

‘…এ-সব ব্যাপারে গুরু ছিল শিশুর মতো। কেউ তাকে ভালোবাসলে সে গোলে যেত। কিন্তু তার এই শিশু স্বভাবটার কথা কজনই বা জানত। দুঃখ তো তার ছিল সেই জন্যেই। যারা তার কাছাকাছি আসবার সুযোগ পেত, তারা হয় খোশামোদ করতে আসত, কিংবা স্বার্থসিদ্ধি করতে আসত।’ মানুষ গুরু দত্ত।

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৩০

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

শ্রীজাত

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ৭

অন্ধকার বেশির ভাগ সময়ই চেনা রূপে আসে। অবশ্য অচেনা রূপেও জীবনে হানা দেয়। চেনা অন্ধকারে তবু হাতড়ানো যায় জীবন, মোমবাতি বা দেশলাই বাক্স কিন্তু অচেনা অন্ধকারে অজানা ভয়ের সঙ্গে যুঝে যাওয়া ছাড়া বিশেষ কিছু করার থাকে না। এ বারের আড্ডাঘরে চতুর্দশপদী অন্ধকার লেখাগুচ্ছের আনাগোনা। শিরোনামহীন অন্ধকারের চর্চা।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ১৪

‘…গল্পগুলির মূল থিমটা হল, মেয়েদের কাছ থেকে সুবিধে নিংড়ে নাও এবং না পেলে তাদের মারো। মারো। হাড় ভাঙো, পোড়াও, পেটের মাংস কাটো। কারণ মেয়েরা নিচু। বোধহীন। পুরুষের অধীন।’ অ্যানুয়াল পুজো, ডেইলি নারী-নির্যাতন।

সৌম্যেন্দু রায়

পারিবারিক আবহাওয়ায় শুটিং

‘ছবি পরিচালনার ক্ষেত্রে মানিকদা নিজে সবটাই ভেবে আসতেন। সহকারী পরিচালক যাঁরা থাকতেন, কিংবা আমরা, ওঁর কথামতোই কাজ করতাম। মাঝে মাঝে অবশ্য নিজেদের ভাবনাগুলো ওঁকে বলতাম, তবে সেটা খুব কম। ফলে আমরা পরিষ্কার জানতাম যে, আমাদের কী কাজ করতে হবে।’ শুটিং-এর অভিজ্ঞতা।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়েরি: পর্ব ৭

‘টাকা-পয়সা আর মনোযোগের অভাবের চিহ্ন-ভরা তাকে আবিষ্কার করি একটা গাঢ় বাদামি রঙের বই, যার উপ-শিরোনাম ‘দার্জিলিং লেটারজ ১৮৩৯’ প্রথমেই আমার নজর কাড়ে। কিন্তু বইয়ের শিরোনামে ‘দ্য রোড অফ ডেস্টিনি’ কী বলতে চেয়েছিল?’ ইতিহাস পুনরাবিষ্কার।

অরুণাভ সিংহ

দিল্লি ডায়েরি: পর্ব ৫

‘…অন্তত প্রথম দিন বিকেলে দেখা গেল, পড়ুয়ারা খুব বেশি সংখ্যায় পৌঁছয়নি। একে তো স্কুল যাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়নি, ইচ্ছে আর বাড়ির অনুমতি থাকলে তবেই যাওয়া। তাছাড়া নিয়ম হচ্ছে সবাই রোজ যাবে না… এখন এই বিষয়ে বাবা-মাদের কী ইচ্ছে আর ছেলেমেয়েরাই বা কী চাইছে, দেখে নেওয়া যাক।’ করোনা-কালে স্কুলে ফেরার পালা।

সাগুফতা শারমীন তানিয়া

সহগ

পাহাড়ের গায়ে প্রায় নিরালম্বভাবে ঝুলে থেকে যেসব কালো লেমুর খনিজ জল চেটে খায়, তাদের মতো করে এতদিন ঝুলে থেকেছি আমি। প্রেমে অত্যন্ত হ্যাংলা। সেসব ডাকপিয়ন হবার জন্য নয় নিশ্চয়ই। প্রেমের অপ্রাপ্তি।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

Uttarbanga Diary: Part 7

‘…It didn’t really matter to us that it was the Hill Cart Road that took us to the Darjeeling mountains. We gave it as much – or little – respect as we did to the awareness of the forces of gravity that prevented us from falling when we walked or ran. This changed when I walked into Deshbandhu District Library in Darjeeling one afternoon.’ Lost history of a hill station.

শুভময় মিত্র

আমি বুদ্ধদেবকে দেখেছি

‘কোনও কথা বলার আগে, ‘এই নাও’ বলে একটা খাম ধরিয়ে দিলেন। সস্নেহে অনেক কথা বললেন, আমরা পালাতে পারলে বাঁচি, খামে কী আছে কে জানে, ‘কেমন লাগল বোলো কিন্তু, ইচ্ছে হলেই চলে আসবে’, দুদ্দাড় করে বেরিয়ে এসে আলিয়াতে ঢুকে খাম খুললাম। লেখা। বুদ্ধদেব গুহর লেখা।’ বুদ্ধদেব গুহর স্মৃতিচারণ।