পত্রিকা

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ১৮

আজ ইজরায়েল আর প্যালেস্তাইনের মধ্যে ক্রিকেট খেলা হলে, বা আফগানিস্তান ও আমেরিকার মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচ হলে, অথবা জার্মান বনাম ইহুদি কবাডি টুর্নামেন্ট হলে, তা শুধু স্কোরবোর্ড-সর্বস্ব হয়ে থাকবে? খেলা কেবল খেলা নয় হয়তো।

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

কাছে যেও না, খিমচে দেবে

তার উপচে পড়া শরীর, তার বগল ছেঁড়া নাইটি, তার রাত-বিরেতে গোঙানি, তার ঋতুস্রাবের সময় অবুঝপনা, গোটা ঘরে লেপ্টালেপ্টি করে নোংরা করে রাখা— সব সামলাতে হিমশিম খেয়ে যেতে হয় বাড়ির লোকেদের। মানসিক অসুস্থ ভাই-বোন, বাড়ির গলগ্রহ।

কমলেশ্বর মুখার্জি

সমস্তটা দেখতে পেতেন

‘হোলিস্টিক অ্যাপ্রোচ, অর্থাৎ সামগ্রিক ভাবে দেখতে পাওয়া, এটা শিল্পের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমার মতে সত্যজিৎ রায়ের কৃতিত্ব এখানেই, অনেক টুকরো ডিটেলিং দিয়ে তিনি নানান হোলিস্টিক ছবি, শব্দ, এমনকী সঙ্গীতও তৈরি করেছেন। পুরোটাকে তিনি একসঙ্গে দেখতে পেতেন।’ সত্যজিতের মূল্যায়ন।

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ: পর্ব ৮

‘আমি আবার একা হয়ে গেছি। এদিক-ওদিক দেখছি। আবার যদি সেই ভ্যানটা ফিরে আসে? নিষিদ্ধ বই বিক্রির খবর কি চাপা থাকে নাকি? ঝামেলায় জড়ানোর কোনও মানে হয় না। এক-পা দু-পা করে পিছিয়ে চম্পট দেবার তাল করতেই সবাই মিলে দৌড়ে এসে আমাকে ধরে ফেলল।’ আচমকা ঘেরাও।

দোলন গঙ্গোপাধ্যায়

ভাইফোঁটার চিঠি

অনেক কিছুই তুই করতে পারতিস,দাদা। এখনও পারিস। তুই বুক ফুলিয়ে আমার পাশে দাঁড়াতে পারতিস। বাবা-মার সঙ্গে আমার হ’য়ে কোমর বেঁধে ঝগড়া করতে পারতিস। পাড়ার লোকের সঙ্গে পাঙ্গা নিতে পারতিস। পালিয়ে যাওয়া বোনের অ্যাখ্য়ান।

দেব রায়

রাখি কি সৌগন্ধ

আসলে ফিল্মে পাড়াতুতো মাস্তান দাদা সংক্রান্ত ট্রোপ টেমপ্লেট মোটের ওপর এর আশেপাশেই ঘোরাফেরা করে। বিপথগামী যুবক, উদ্ধত, বেপরোয়া। কিন্তু পাতানো বোনের রাখি কি সৌগন্ধ অথবা ভাইফোঁটার দিব্যি, জান লড়িয়ে দেবে। কোমল-হৃদয় পাড়ার মাস্তান দাদা।

শ্রীজাত

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ৯

অসহায়তা যখন অক্ষম আক্রোশে ফেটে পড়ে, জন্ম নেয় কবিতা। সর্বনাশের পরেও সাহসের কুঁড়ি ফোটে, জন্ম নেয় কবিতা। বিদীর্ণ মন কুঁকড়ে যখন ছোট্ট হয়ে আসে, জন্ম নেয় কবিতা। সে কবিতায় স্ফূরণ থাকলেও ফূর্তি থাকে না। ধ্বংস কাব্যগ্রন্থে তাই বিদীর্ণতার সমাহার।

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৩৭

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

অরুণাভ সিংহ

দিল্লি ডায়েরি: পর্ব ৭

‘…বহু দিন হল সারা দেশে একটা ধারণা হয়েছে, দিল্লির কলেজে না পড়তে পারলে জীবন বৃথা। যদিও প্রত্যেক বছর যে শ্রেষ্ঠ কলেজের তালিকা বেরোয়, তাতে অন্যান্য শহরের বহু কলেজ আছে।’ রাজধানীর আডমিশন-পাগলামি।

অনুপম রায়

ম্যাকি: পর্ব ৯

‘কোন কেমিক্যাল ইম্ব্যালেন্সের জন্য মানুষ দুঃখ পায় আমরা এখনও জানি না, সেটা বুঝে গেলে আমরাও দুঃখ সিমুলেট করে দেখিয়ে দেব। দু’দিন মেশিন অন করতে পারবেন না। ম্যাকির দুঃখ হয়েছে। সকালে উঠে হঠাৎ দেখবেন এসি থেকে জল ঝরে ঘর ভেসে যাচ্ছে। সারারাত এসি কেঁদেছে।’ যন্ত্রের দুঃখ।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৩৬

‘…যারা একটু বেশি আত্মসচেতন তারাই গুরুর মতন ছটফট করে। ঘুমের মধ্যেও তারা অশান্তির স্বপ্ন দেখে, শান্তির মধ্যেও তারা ভবিষ্যতের অশান্তির আভাস কল্পনা করে নিয়ে আঁতকে ওঠে। তাই সে বিনিদ্র।’ নিদ্রাহীন রাতের কথা।

জয় অর্জুন সিংহ (Jay Arjun Singh)

‘ম্যান ফ্রম ইন্ডিয়া’ থেকে ‘জালিয়ানওয়ালাবাগ’

‘জন্ম হয় ‘জালিয়ানওয়ালাবাগ’ নামে স্কিৎজোফ্রেনিক একটি সিনেমার, যার নির্মাণ ১৯৭৭ সালে সম্পূর্ণ হলেও বিভিন্ন বাধাবিঘ্নের কারণে তা মুক্তি পায় ১৯৮৭ সালে— এবং বিনোদ খান্নার রুপোলি পর্দায় প্রত্যাবর্তন নিয়ে আগ্রহ তৈরি হওয়া সত্ত্বেও, এই সিনেমা দ্রুত লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যায়।’ সিনেমার গল্প।