পত্রিকা

শ্রীজাত

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ১১

খেয়াল করলে দেখা যাবে বৃষ্টির কবিতা সংখ্যায় বেশি। কেন? কারণ বৃষ্টির কাছে গচ্ছিত থাকে অতীত, স্মৃতি, অনেক রকম শহর, অনেক রকম বেদনা আরও অজস্র অনুভূতি। তা-ই কবিতা লিখতেও বোধ হয় বার বার বৃষ্টির কাছে ফিরে যেতে হয়। কবিতার আড্ডাঘর জুড়ে অবিশ্রান্ত বর্ষণ।

ন’টা লেজওয়ালা শেয়াল

‘কিছু গল্পে দেখা যায়, শেয়ালেরা অন্য প্রাণীর রূপ ধারণ করছে, যাতে কোনো গরিব পরিবার তাদের বিক্রি করে কিছু পয়সা অর্জন করতে পারে। বিক্রি হবার পরেই তারা নিজমূর্তি ধারণ করে। এইভাবে একই পরিবার বারবার নানা রূপে তাদের বিক্রি করতে পারে, এবং ধীরে-ধীরে বিত্তবান হয়ে ওঠে। এইসব পরিবারদের বলা হয় শেয়ালের মালিক পরিবার।’

Fox With Nine Tails

‘There are stories of foxes turning into different animals, allowing a poor family to sell them to make money. As soon as they are sold, they return to their fox state. This enables the family to sell them, repeatedly, in different forms, helping them to become rich.’ The myth of the fox as spirit animal.

মকরে প্রখর রবি

‘পৌষের সংক্রান্তি হল উত্তরায়ণ সংক্রান্তি। আমাদের দেশে সেই সনাতন যুগ থেকে এই উত্তরায়ণ কালকেই যাবতীয় শুভকাজের প্রশস্ত সময় বলে মনে করা হয়। এই উত্তরায়ণেরই আরেক নাম মকর সংক্রান্তি। কামশক্তি মকরকে আর মাথায় চড়তে না দেওয়ার প্রার্থনা করা হয় এইদিনে।’ মকর সংক্রান্তির ইতিহাস।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ১৬

‘ আমাদের থিয়েটার কোনও মারাত্মক মার্কেট, বড় অঙ্কের আয়, দশতলা বাড়ি, চাড্ডি গাড়ি প্রভৃতির শর্ত দেয় না। সে একটু প্রান্তিক। এবং সেই প্রান্তিকতাই হল তার অন্যতম শক্তি। যেখানে এইসব হিসেব-নিকেশের বাইরে আছে সঠিকভাবে শিল্প চর্চা করার চাহিদা ও শিক্ষা। তাই কর্মী আর দর্শকের সমাগমের অভাব নেই।’ অতিমারী পেরিয়ে বাংলা থিয়েটার।

জয়ন্ত সেনগুপ্ত

হেঁশেলের হিস্‌সা: পর্ব ১১

‘‘বাংলার খাবার’ নামে একটি অসামান্য নাতিদীর্ঘ গ্রন্থের প্রণেতা প্রণব রায়ের মতে বাগবাজারের নবীনচন্দ্র দাশের হাতে ১৮৬৮ সালে স্পঞ্জ রসগোল্লা সৃষ্টির বছর দুয়েক আগেই বেনিয়াটোলার সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটের দীনু ময়রার পূর্বপুরুষ ব্রজ ময়রা হাইকোর্টের কাছাকাছি এক দোকানে রসগোল্লা আবিষ্কার করেন।’ রসগোল্লার নানা কথা।

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ১১

‘পিঠা উৎসবে গিয়ে দেখা গেল, পিঠার নকশায় রকমারি বাহার। তার চাইতে বাহার পরিবেশনে। খেতে যাঁরা এসেছেন তাঁরাও পৌষ-মাঘের অনুকূল পোশাক পরেই হাজির হয়েছেন। এই নাগরিক উৎসবের পিঠায় একটা বড় পার্থক্য যেটা সহজেই চোখে পড়ে, সেটা পিঠার আকার।’ ঢাকার পিঠে উৎসব।

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৪৭

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৪৬

‘গুরু আমার কথায় অবাক হয়ে গেল। সে যেন আমার কথায় নিজেকে খুঁজে পেল। আমি বললাম— আপনি কি বেশিদিন কাউকে ভালোবাসতে পারেন? আপনার যে সবাইকেই কিছুদিন পরে একঘেয়ে লাগে।’ মহাবলীপুরম্‌-এ গুরুর সান্নিধ্য।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়েরি: পর্ব ১১

‘…আমার কাছে যেটা লক্ষণীয়, তা হল কীভাবে এই প্রবাদ নদীমাতৃক একদল মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, কীভাবে তাঁদের দিনের এবং কথার ছন্দ নদীর ঢেউয়ের সঙ্গে বয়ে চলে— নদী প্রত্যহ কিছু নিয়ে ভেসে যায়, ফেলে রেখে যায় জীবন।’ তিস্তা-জীবন আখ্যান।

শিল্পসত্তায় পরিশীলিত রুচির পরিচয়

‘সত্যজিৎ একটি সাক্ষাৎকারে বলেন যে বেঠোফেন ওঁর প্রথম ‘মিউজিকাল হিরো’ ছিলেন, কিন্তু আমি ওঁর সঙ্গীতরচনায়, বিশেষত আবহসঙ্গীতে, চাইকভস্কির প্রভাব দেখতে পাই। বেঠোফেনকে উনি নিশ্চয়ই খুবই পছন্দ করতেন, কিন্তু ওঁর সঙ্গীতে, ‘শাখা প্রশাখা’-র একটি দৃশ্য ব্যতিরেকে, বেঠোফেনকে উনি কখনই ব্যবহার করেননি।’ সত্যজিতের চলচ্চিত্র এবং পাশ্চাত্য শাস্ত্রীয়সঙ্গীত।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ২২

এ-গ্রহের অতি নির্বোধ লোকও মালুম পেয়েছে, কোভিড ধাঁ করে উবে যাবে না, একে সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে, একটু হাঁচো-কাশো, তারপর সাতদিন ঘরে কাটিয়ে ফের নাচো-হাসো, পরবর্তী সংক্রমণে ধুত্তোর বলে পুনরায় ঘরে ঢুকে পড়ো— এই প্যাটার্নই আগামীর থিম।