পত্রিকা

জয়দীপ মিত্র

পুরবাইয়া, কানহাইয়া, লড়াই, বেগুসরাই

‘চন্দ্রশেখর সিং-এর হাতে কমিউনিস্ট হয়ে কানহাইয়ার দাদু আমৃত্যু সি.পি.আই থেকে যান। স্কুল ছেড়ে কানহাইয়ার বাবা তখনও নিষিদ্ধ সি.পি.আই (এম-এল) দলে যোগ দেন ও তারা পরে নকশালবাড়ির পথ থেকে হটে এসে সংসদীয় গণতন্ত্রে আস্থা স্থাপন করলে চূড়ান্ত হতাশায় রাজনীতি থেকে সরে আসেন। ভালো করে জ্ঞান হবার আগেই কানহাইয়া কুমারের ডাফলি-বাজানো-গান শেখা শুরু বেহাত গ্রামের আই.পি.টি.এ শাখায়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে এ.আই.এস.এফ-এর ক্ষুরধার ছাত্রনেতা টুপ করে আকাশ থেকে জে.এন.ইউ ক্যাম্পাসে ঝরে পড়েন নি। কার্যকারণ সম্পর্কটা স্পষ্ট।’ কানহাইয়া কুমারের সঙ্গে কয়েকদিন।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

‘প্রতিদ্বন্দ্বী’র টুকরো-টাকরা

‘ছবিটা কর্কশ। শুধু সংলাপে প্রচুর ‘শালা’, ‘শুয়োরের বাচ্চা’ ছড়ানো আছে বলে নয়, যেখানেই সিদ্ধার্থ যাক হাঁটুক দাঁড়াক তার পিছনে পাশে প্রতিবাদী পোস্টার বা রাজনৈতিক দেওয়াল-লিখন থাকে বলে নয়, সিদ্ধার্থর বাড়িতে সবসময় চাপ-চাপ অন্ধকার থাকে বলে নয়, ছবিটার পাত্রপাত্রীদের অ্যাটিটুড আমাদের প্রকৃত ইট-পাটকেলগুলো মারে।’ ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’র সত্য।

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবব়া কা থ্যাবড়া ৫৮

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

অনুপম রায়, শুভ চক্রবর্তী

বেঙ্গালুরুতে অ্যান্টনি: পর্ব ১

২০১৫ সালের পর আর অ্যান্টনিকে দেখা যায়নি। কে জানে এতগুলো বছর কোথায় গা ঢাকা দিয়ে ছিল! এখন অবশ্য ও বেঙ্গালুরুতে, কিন্তু নির্ঘাৎ জীবন ঘেঁটে ঘ। সাত বছর বাদে এটা তার দ্বিতীয় অ্যাডভেঞ্চার। এবারে ওর আগের জীবনের দুঃখের সঙ্গে এই জীবনের দুঃখের তুলনামূলক আলোচনা করে দেখতে হবে, সেটা বাড়ল না কমল!

পৃথিবীর সেরা দশটি পৌরাণিক কাহিনি: পর্ব ২

‘আদম এবং ইভ ঈশ্বরের হুকুম মেনে চলত, তবে শয়তান একদিন সাপের রূপ ধরে এসে ইভকে ভুল বুঝিয়ে ফলে একটি কামড় বসাতে বাধ্য করল। এরপর ইভও আদমকে বাধ্য করলেন ফলটি খেতে। ফল খাবার পরে অকস্মাৎ দুজনের নিষ্পাপ চরিত্র উধাও হয়ে গেল। তাঁরা প্রথমবার নিজেদের নগ্নতা দেখে লজ্জা পেলেন এবং চেষ্টা করলেন নিজেদের শরীর পোশাক দিয়ে ঢাকার। ঈশ্বর তাঁর সৃষ্টিদের এই অবাধ্যতায় বড় হতাশ হলেন এবং এই প্রথম পাপ, এই প্রথম অবাধ্যতার অপরাধে তাঁদের ইডেন উদ্যান থেকে বহিষ্কার করলেন।’

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ১৪

চারশো বছরের বাজার পাল্টেছে কালের নিয়মে, তবে মূল চরিত্র বদলায়নি। এখনও এটি সর্বজনের সহায়, চকবাজার কাউকে ফেরায় না। প্রসাধনী, রাসায়নিক দ্রব্যাদি, চিকিৎসাপণ্য, কাপড়, প্লাস্টিক দ্রব্য, বেকারিপণ্য, অলংকারসামগ্রী, খেলনাপাতির পাইকারি বাজার আর এসবের খণ্ডাংশ হিসেবে বহু খুচরো দোকানের সমাহার। কিন্তু এত কিছুর পরও চকবাজারের নাম শুনলেই ঢাকাবাসীর মনে আসে দুটো কথা— কাবাব, ইফতার আর রঙিন পুঁতির দেশ। ঢাকার চকবাজারের ইফতার।

অর্ণব চক্রবর্তী

সারপ্রাইজ: পর্ব ২

‘মায়ের সাথে বাবার অনেকটা তফাত। মননে, ভাবনায়, বিশ্বাসে। ঘরের মধ্যে আটকা পড়লে বাবার চোখে-মুখে ডিপ্রেশন পিঁপড়ের সারির মতো ছড়াতে থাকে। ভ্যান গঘের ‘স্টারি নাইট’-এ যেমন মেঘগুলো-তারাগুলো ডাইনামিক হয়ে ফুটে থাকে, বাবার চোখে-মুখে ডিপ্রেশনও তেমন। অপ্রকাশিত, অথচ যেন ফেটে পড়ছে। আর মা ঠিক উলটো। ঘরের মধ্যে কী প্রাণবন্ত! এই জামা ভাঁজ করছে, চাদর টানটান করছে, কাপড় মেলছে, পনিরের তরকারি ফ্রিজের মধ্যে ঢোকাচ্ছে।’ নতুন গল্প।

10 best mythological tales from around the world: Part 2

God created the world out of nothingness in six days and rested on the seventh day. He created the first man, Adam, in his own image, and the first woman, Eve, from Adam’s rib. He told Adam and Eve to enjoy the wonderful Garden of Eden, but not to eat the fruit of the Tree of Knowledge. That was the Forbidden Fruit!

শ্রীজাত

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ১৩

অন্য কথায়, অন্য মানুষের কথায় মিশে থাকা নিজের মনের অনুভূতি। এ কবিতা যেমন অন্যের, তেমন তাঁরও। এ কবিতা আদত উদুর্তে জাভেদ আখতারের, অনিবাদে শ্রীজাত। কিন্তু কবি যে কখন অনুবাদকের অনুভূতির মধ্যে চাড়িয়ে গিয়ে তৈরি করেন আশ্চর্য এক মিশেল, তা বোঝা দায়। তাই এ কবিতা যেমন জাভেদ আখতারের, তেমন শ্রীজাতর। আসলে অনুবাদ কবিতা না ভেবে বরং, মিশ্র-অনুভূতির কবিতা বলাই ভাল।

সিমি গারেওয়াল

দুলি আর ওয়ার্ড-গেম

‘আমরা থাকতাম ছিপাদহর জঙ্গলে, যেখানে তখনও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি, কলের জলের বালাই নেই, আর বাথরুমে ফ্লাশ থাকা তো চিন্তারও বাইরে। কিন্তু এসব কিছুই আমাকে তখন কাবু করতে পারেনি। কারণ আমি তখন বাংলার তাবড় তাবড় অভিনেতা পরিবৃত— সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, রবি ঘোষ, শমিত ভঞ্জ। রাত্রিবেলা চাঁদের আলোয় আমরা হাঁটতে বেরোতাম। এই শুটিংটা সত্যিই আমার জীবনের সেরা স্মৃতি হয়ে থেকে যাবে।’

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ২৮

সারা পৃথিবী যখন বুচা নিয়ে আঙুল তুলছে, রাশিয়া যে ঘনঘন ঘাড় নেড়ে বলছে, ‘না, না, আমি করিনিকো’, সে-ই এক আশ্চর্য। বলতেই পারত, যুদ্ধ মানেই রাষ্ট্রের খেয়ালে নিরপরাধ মানুষের প্রাণ নেওয়া ও তার স্কোর রাখার উৎসব। নগর পুড়লে দেবালয় এড়ায় না, আকাশ থেকে বোম ফেললে হাসপাতালেও টপকে যায়। মৃত্যু উদযাপনের উৎসব: যুদ্ধ।

গ্র্যামি, রাজনীতি, ধন্যবাদজ্ঞাপন

গ্র্যামি-বিজয়ী ‘ভারতীয়’ শিল্পীরা তাঁদের পুরস্কার গ্রহণের ভাষণে ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে, দেশ-দর্শনে ত্যাগ-তিতিক্ষা-সহিষ্ণুতার কথা বললেন, কিন্তু সুকঠিন বাস্তবের কোনো প্রসঙ্গ তুললেন না। আর তাই প্রশ্নগুলো রয়েই গেল— এই অন্তর্ভুক্তি, এবং প্রধানমন্ত্রী-অভিবাদিত এই গ্র্যামি, ঠিক কোন ভারতের?