পত্রিকা

তরুণ মজুমদার

সাক্ষাৎকার: তরুণ মজুমদার: পর্ব ১

সিনেমার নেশা একদিন তাঁকে সত্যি-সত্যিই পরিচালক করে তুলেছিল! কিন্তু কেমন ছিল ওই যাত্রাপথ? সেই সব দিন-রাত্রির কথাই উঠে এল এই আলাপচারিতায়। ‘যাত্রিক’-এর ইতিহাস থেকে ভি শান্তারামের সান্নিধ্য, ‘পলাতক’ থেকে ‘ফুলেশ্বরী’র নির্মাণ-কাহিনি জানালেন তরুণ মজুমদার। সঙ্গে তাঁর সিনেমাভাবনা। কথোপকথনে শান্তনু চক্রবর্তী।

রজতাভ দত্ত

আশ্চর্য পরিমিতিবোধের পরিচালক

‘প্রথম থেকে অভিনয়ে অতিরিক্ত নাটকীয়তাকে সত্যজিৎ বর্জন করেছেন। যার জন্য, গ্রামের মেয়ে সর্বজয়া যখন আঁতুড়ঘরে ছটফট করে, তখনও তার মুখ থেকে প্রসবযন্ত্রণার দরুন আর্তনাদ বেরোয় না। আবার পরে, সন্তানশোকে সে যখন কান্নায় ভেঙে পড়ে, তখন তারসানাই দিয়ে তার সেই চিৎকার ঢেকে দেওয়া হয়।’ পরিচালকের বাস্তবতা।

সাগুফতা শারমীন তানিয়া

ভবদীয়: পর্ব ১

‘রেবতী কি আর অত বোঝে? জন্ম-জন্মান্তর ধরে তাদের একটিই আরাধনা ছিল, নরকের কুণ্ডের মতো চিরকাল পুড়তে থাকা পেটের আগুন নেভানো। প্রশ্ন সে তেমন করে না, কখনোই করেনি। এমনকী অ্যাগ্নেস চলে যাবার পরেও তো তার মনে প্রশ্নের উদয় হয়নি যে তার বউ কোথায় গেল, কার হাত ধরে চলে গেল, চলেই যে যাবে তা যেন কেমন করে জানত সে।’ নতুন উপন্যাস।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ১৯

‘ফ্রিডা বা জেডি, সবাই প্রণম্য স্মরণীয় ও ঝুঁকে পড়ে অনুধাবনীয়, কিন্তু ভারতের একটা জঙ্গলে রাতদুপুরে সন্তানের কঙ্কালের পাশে এলিয়ে পড়ে থাকা, পচা-গলা নারীর করোটি এঁদের (ও অন্য আরও বহু চিরজ্যোতির্ময়ের) শিল্পগুলোর দিকে এক নির্ভেজাল খ্যাঁকখ্যাঁক ছুড়ে দেয়, ক্রমাগত।’ শিল্প বনাম জীবন।

প্রতীক

বেড়াল-স্মৃতি

‘তারা বলত ‘বড়দি আসলে ব্যাটাছেলে। মেয়েছেলের অত মেজাজ হয়?’ সব শুনে আমার মনে তৈরি হয়েছিল একজন দশাসই মহিলার ছবি। চোখে মোটা চশমা, নইলে তাকালেই আগুন বেরিয়ে এসে ছাত্রীদের পুড়িয়ে ছাই করে দিত। আমাদের বাড়ির দরজার সমান লম্বা আর জানলার সমান চওড়া।’ নতুন গল্প।

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১০

অল্পে যিনি অনন্ত দেখাতে পারেন তিনিই সার্থক কবি। তেমনই একজন বরেণ্য কবি বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়। যাঁর অনায়াস যাতায়াত সাধু-চলিত ভাষায়। একটি চলিত শব্দের পাশে এমন ভাবে একটি সাধু শব্দ বসিয়ে তিনি ভাবের বৃত্ত সম্পূর্ণ করতে পারতেন, তা সত্যিই মুন্সিয়ানার পরিচয় দেয়। অদেখা কবির কবিতার স্বাদ।

সিদ্ধার্থ দে

মিশে গেছে আঁধার আলোয়

পাঁচটি পৃথক অংশে বিভক্ত এই বইটিকে প্রবন্ধোপন্যাস বলা যায়। ইংরেজিতে যাকে বলে ‘essayistic novel’। ওলগা তোকারজুক বা জুলিয়ান বার্নস এই ধরনের উপন্যাস লিখেছেন। কিন্তু এই বই আরও কিছুটা আলাদা। এর আখ্যানশৈলী বরং খানিকটা docu-feature গোত্রের।

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ৯

‘রাস্তার দু’ধারে, ফুটপাথে, বাজারের সন্নিকটে, যেখানেই গোল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ, সেখানে গেলেই দেখা যাবে উপগ্রহের মতো অজস্র চিতই পিঠা লোকের হাতে-হাতে ঘুরছে। বছর দশ-পনেরো আগেও চিতই পিঠা এমন নাগরিক হয়ে ওঠেনি। তখনও শহরে চিতই পিঠা বিক্রি হত, তবে তা কিছু-কিছু জায়গায়।’ ঢাকার পিঠে।

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৩৯

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৩৮

‘…গুরুর তখনকার অবস্থা আমি দেখেছি। তখন সে খাওয়ার কথা ভুলে যায়, সন্তানের কথা ভুলে যায়, আরামের কথা ভুলে যায়। তখন সে বড় নির্দয় মানুষ।’ স্বামী-স্ত্রী এবং শিল্প।

দীপেশ চক্রবর্তী

অ-বাঙালিকে নিয়ে যে বাঙালিত্ব

‘মনের একটি দিক যেমন স্মৃতিবেদনার মালা গাঁথে, অন্য একটি দিক কিন্তু বাঙালি হিসেবেই দু’হাতের আঁজলা ভরে যা অজানা, অচেনা, নতুন ও অপর তাকে গ্রহণ করে— কিছুটা বাঙালি মনের মাধুরী মিশিয়েই— তার রসাস্বাদন করতে থাকে। যে-মনের এই প্রসার ঘটে, সেই মনটাও তো বাঙালি!’ বাঙালি মনের স্বরূপ।

উপল সেনগুপ্ত, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ৯

হ্যানসেল ও গ্রেটেল সারাদিন খায় এবং ফোন দ্যাখে। শোধরাতে না পেরে, বাবা তাদের জঙ্গলে রেখে আসে। তারপর একসময় তারা বাড়ি ফেরে বটে, কিন্তু বাবা-মা’র পক্ষে তা খুব ভাল হয় না। আর গানে, বাঙালিকে বলা হয় নস্টালজিয়া নট্ট, পিছমুখো রায়– মানে যারা ষাটের দশকেই এখনও শোয়, সত্তরের দশকেই ঢুলতে থাকে। রোমন্থনই যাদের একমাত্র কাজ।