পত্রিকা

উপল সেনগুপ্ত, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ১১

ডাম্পটি পাঁচিল থেকে পড়ে গেছিল, রাজার সেনাবাহিনী অলৌকিক আঠা দিয়ে তাকে জুড়ে দেয়, কিন্তু উল্টো করে। ফলে তাকে নিয়ে প্রকাণ্ড হাসাহাসি। তারপর কী করে সে বদলে যায় প্রতিরোধের প্রতীকে? আর গানে বলা হয়, ‘তোরা ইয়ার্কি, আমি অ্যানার্কি। সিনেমা স্যাঁতস্যাঁতে, ক্যামেরা জার্কি। প্রাইজ চেটে খেলে তোর বাবার কী?’

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১২

এক কথায় বললে, তাঁর কবিতা প্রবাদের মতন। আশ্চর্য গীতিময়তা, তার সঙ্গে কল্পনার ব্যাপ্তি— এই দুই বৈশিষ্ট্য তাঁর কবিতাকে করে তুলেছে অনন্য। কেউ-কেউ এমনও বলেছেন, তিনি কবিতায় নাকি নক্ষত্রের রহস্য ভেদ করতে পারতেন। শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার দুনিয়ায় তাই একবার ঢুকে পড়লে, তা থেকে বেরোনো মুশকিল!

প্রত্যয় নাথ

যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা

‘আসল যুদ্ধের মতোই খেলাতেও গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া যায় শত্রুর দেহ, কম্পিউটারের পর্দায় দেখা মেলে তার রক্তমাখা দেহের, যদি না শত্রু আগেই নিশানা করে ঝাঁঝরা করে দেয় আমাকে। যুদ্ধ কতটা কঠিন হবে— সহজ, মাঝারি, শক্ত, না কি খুব শক্ত— তা আগে থেকে ঠিক করে নেওয়া যায় মাউসের ক্লিকে।’ যুদ্ধের খেলা এবং আমাদের হিংস্রতার সুপ্ত প্রবৃত্তি।

ক্যাসেট কথা: পর্ব ১৩

শুধু কান্ট্রি মিউজিক নয়, প্রকৃত অ্যামেরিকানা যাকে বলা যায়, সেই গানের কিংবদন্তী জন ডেনভার।
গায়ক-গীতিকার ডেনভারের গান বাঙালি ঘরে-ঘরে গায়। ‘টেক মি হোম, কান্ট্রি রোড্স‌’, ‘অ্যানিজ সং’, ‘লিভিং অন আ জেটপ্লেন– এই সব গানের সুর-কথা আজও বাঙালিমানসে উজ্জ্বল। কী ভাবে ডেনভার হয়ে উঠলেন বাঙালির প্রিয় আমেরিকান গায়ক?

নীলোৎপল মজুমদার

অন্ধকার যেমন কালো হয়

‘পাড়ার লোকের জন্য ব্যাকুল মাসির এক অনবদ্য উপহার এই কুলগাছ। পুরো আকাশটাকেই যেন ঢেকে রেখেছে অগুন্তি শাখা-প্রশাখার নিখিল সংসার। বিস্তৃত ডালপালার বুননে এক সবুজ মৌচাক। চারিদিকে নেমে এসেছে শ্যামলীদির মতো খোলা বেণির আলুথালু চুলের জঞ্জাল। আরেকটু হলেই জানু ছোঁবে মাটি।’ নতুন গল্প।

পার্থপ্রতিম মৈত্র

রাষ্ট্রহীনের কবিতাগুচ্ছ

‘এখানে যামিনী বিল, এখানে সহস্রঘর কৈবর্তের বাস/ ঊর্ধ্বে চোখ রাখো, দ্যাখো কাঁটাতারে ঢেকেছে আকাশ/
পর্চা আছে? থাকলে ভাল। তা নাহলে খর্চা আছে জোর/ কী করে প্রমাণ করবি এই দেশ, এই মাটি তোর?’ নতুন কবিতা।

সুদেষ্ণা রায়

ব্যাকস্টেজ: পর্ব ১০

‘ঋতু কোনও প্রসাধন করতে দিত না ওর অভিনেত্রীদের। কিরণ নিয়ে এসেছিল ম্যাক-এর কম্প্যাক্ট। সকালে এসেই লুকিয়ে লাগিয়ে নিত প্রলেপ। ঋতুর চোখেও ধরা পড়েনি সেই আস্তরণ। অবশেষে বারুইপুরে রূপা গাঙ্গুলি ধরে ফেলে কিরণের কীর্তি।’ ‘বাড়িওয়ালি’র শুটিং-অভিজ্ঞতা।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৪৮

‘মাদ্রাজে গুরুর সামনে বসে গল্প করতে করতে এই সব কথাগুলোই কেবল মনে পড়ত। ভাবতাম এ-মানুষটা যে হাসে, অভিনয় করে, গল্প করে এটাই তো একটা বিস্ময়! আর এ মানুষটা যে ঘুমোতে পারে না, এটাই তো স্বাভাবিক! যদি ঘুমোতে পারত তাহলেই আমি হয়তো বেশি অবাক হতাম।’ কেন গুরু বিনিদ্র।

উপল সেনগুপ্ত

অ্যাবরা কা থ্যাবড়া ৪৯

কথা থাকবে না, শুধু ছবি। মানে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র। অবশ্য শুধু ব্যঙ্গ কেন, থাকবে হিহি, খিলখিল, ঠোঁট টিপে মুচকি, একলা দোকলা ফোকলা হাসি। ব্যঙ্গচিত্র কখনও হবে বঙ্গ-চিত্র, কখনও স্রেফ তির্যক দৃশ্য। ছোট্ট ফ্রেম, বিশাল ক্যানভাস।

সত্যজিতের গা ছমছম-হাতছানি

জার্মান ভাষায় ‘উনহাইমলিখ’ শব্দটির মানে হল, আনক্যানি বা বিদঘুটে। তা বাসা বাঁধে অতি সাধারণ পরিস্থিতির বুকেই। যা কিছু মামুলি, তা নিজেকে পালটে হয়ে ওঠে অস্বাভাবিক। আর আমাদের মনের মধ্যে তৈরি হয় গা-ছমছম করা একটা অনুভূতি। সত্যজিৎ রায়ের গল্প পড়লে যা ফিরে-ফিরে আসে।

Ray and His Uncanny Universe

‘The term unheimlich was first used by German psychiatrist Ernst Jentsch in his essay ‘On the Psychology of the Uncanny’. ‘Unheimlich’, which literally means ‘un-homely’, is the German word for uncanny. Unheimlich suggests that the uncanny builds its nest in the most normal circumstances, such as the home, and at some point, something that feels recognisable becomes completely alien.’ The mundane extraordinary in Satyajit Ray’s short stories.

শাঁওলি কথা, অমৃতসমান

‘ব্যক্তির সামর্থ্যের সীমারেখা নিয়ে বারবার শাঁওলি মিত্র তাঁর জীবনে ভাবনাসঙ্কুল হয়ে থাকবেন। তাঁর অভিনীত প্রতিবাদী চরিত্ররা বারবার হেরে যাবে, আবার মাথা তুলে দাঁড়াবে, আবার হেরে যাবে, কখনও-কখনও তাঁদের হারিয়ে দেবেন অভিনেতা বা নির্দেশক শাঁওলি মিত্র নিজেই।’